কবিতা (১) বিরতিতে নিজেকে গুটিয়ে নেয় ঘোলা জলের জিওল, অল্প অক্সিজেন মেনে নেয়। ফিরনি স্কিনে মোলায়েম রাখে রোখ,নোনা পানি। পিতল ইজ্জত আর জোড়া বুকে সেজে ওঠে অবুঝমারের ঈশ্বর আবিষ্কার করা মেয়ে। সঠিক পরিমাপে জান আর থোপা জলে ধরা নরম কছুয়া… এই তো হেঁসেল। বেলেল্লার প্যাস্টেল শেডের মুড, জরিবুটি, চামচে গুলি নয় কলিজা ব্যালান্স। তা হোক। বেসিনে যারা পুরুষাঙ্গ ধোয় তারাও তো অলৌকিক ঘটনার পরে পারলৌকিক চিতল কিনতে ভালোবাসে। (২) বিজ্ঞাপনদাতা আয়োজিত অনুষ্ঠান এইমাত্র শেষ হোলো, শূন্য মেগাহার্টজ-এ আপনারা শুনবেন নৈঃশব্দ্য। মৃত মানুষের স্বপ্ন দেখতে ভিখারীকে বারণ করেছে অঘোরী। ছেঁড়া ঘুমে…
Read MoreCategory: এই সময়
জিৎ পালের কবিতাগুচ্ছ
৬. পথ শেষ হবে না জেনেও এই এই পথ চলা তোমার উদ্দেশ্যে চলা… এমন বিরোধাভাস তোমার সমীপে যাওয়া হবে না কখনও ক্রমশ ফুরিয়ে যায় জীবনের আয়ুরোদ… তাপ মধ্যাহ্ন সায়াহ্নে ঢলে… সকলের… অমোঘ নিশ্চিত সম্মুখে দুরপনেয় পথ… অগম্য সংকেত… অন্ধকার জীবনের… আমাদের… ব্যবহারহীন এই প্রাণ অজ্ঞেয় অবোধ্য ক্রমচলমান প্রাণ… একে একে মুছে যাবে পথ শেষ হবার আগেই… মুছে যায় ব্যবহারবিধি তার জানাই হবে না ৭. হোঁহোঁচট খেয়েছি পথে তোমার হোঁচট ভরা পথ বন্ধুর গোলোকধাঁধা… অবিচল… অন্ধকার… ঘন আমার অন্ধত্ব ছিল উপলব্ধিহীন এতকাল তোমার হোঁচট দিয়ে বুঝিয়েছ… এভাবে বোঝাও বিবিধ শব্দের ঘাতে…
Read Moreঅরূপ গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতাগুচ্ছ
যৌনতার দিকে দুপাশে মাধবীলতার ঝুঁকে পড়া ভারের ভেতরে মানুষটা হেঁটে যাওয়া একাকী নির্জন রাস্তা, কাঁকরমেশানো, নম্র বুকের ওপর দিয়ে হেঁটে যায় মেঘ, ময়ূরীর পেখম- উচ্ছ্বাস, আবেশে এলানো, ভিজে রাস্তা ক্রমশ ঘন হয় আসে— দ্রুত চেপে ধরে, ফর্সা ও গোলাপী পায়ের রূপোলি নুপুর উষ্ণতা ছড়িয়ে দিয়ে ময়ূরী শরীর— লজ্জায় কেটে ফেলে জিভ চারপাশে পাতাদের ওড়াউড়ি মুছে দেয় চলমান পদরেখাগুলি অন্য পৃথিবীর কথা কবেকার বাঁধা গানগুলি ফাটছে হাওয়ায়; পাঁজরে পাঁজরে ভালবাসা খসে পড়ছে, শূন্যে জ্বলছে পুরাণ-পাখির ডানা সাপেরা মেতেছে উৎসবে, অতিশকুনেরা লুব্ধ চাটে গোটা পানশালা বড়োরা কিছুটা জানে, শিশুরা জানে…
Read Moreসংযম পালের কবিতাগুচ্ছ
পুঞ্জ ১. খুব ছোট রসের পাহাড়ে চড়লাম। পড়ে গিয়ে হাড় গুঁড়ো হল। ওঠার সময়ে বেশ যথাসাধ্য মনে হয়েছিল। উঠে গেলে পাথর আলগা লেগে গেল। দুটো হাড় ভেঙেছে, অনেক দাঁত খুঁজে এখনো পাইনি। ছেঁড়া মাংস দিয়ে এইবার বড় শক্ত পাহাড় বানাব। ২. কেউ কাটবে, ভুল ধরিয়ে দেবে। কেউ লালে মুখ চুবিয়ে দেবে। এত জীবিতের মধ্যে আমার ভূতের ভাবনিধি বিরক্তিই টেনে আনবে। অতীত ও ভবিষ্যৎ জীবিতের দ্যাখার কথা না। পুজো আর প্রেমের গীতিকাগুলো অন্ধের হাসির মতো। জীবিতের ওটাই প্রলাপ। ৩. বলব না ভেবে কথা অনেক বলেছি। বলে ফেলা ঝোঁকটা কবিতা। জীবিত থাকার…
Read Moreপিয়াস মজিদের কবিতাগুচ্ছ
অলীক সব পেয়ে গেছ তবু আমার স্তব্ধতা তো পাও নি! এত এত চোখের ধু ধু, ভরা পেটে ভয় ধরিয়ে দেয় না? রাস্তায় হঠাৎ হরিধ্বনি , রিকশার পাশ ঘেঁষে চলে যায় নতুন কফিনবাহী পুরানা গাড়ি। নিশ্চয়ই নিশ্চই, কবরের শান্তিতে ছেয়ে যাবে জিন্দা লাশের চরাচর! যেতে যেতে এই রাস্তা কতটা ট্রেন্ডি, দেখা যাক আজ। স্মৃতির শাহেনশাহিতে বিস্মৃতিরও আছে অধিকার। দুনিয়ার দূর কোনও ক্যাফেতে আমার কথা মনে করে কে আর ০১ কাপ কফি বেশি ঢালে,বলো! পলকা কানে ভারী বোধ হয় কি কোনও আর বিকট আতশ? খাঁ খাঁ এহেন সন্ধ্যায় এমন হেরে যাওয়া শহরের…
Read Moreবাপি গাইনের কবিতাগুচ্ছ
শীতের সন্তাপগুচ্ছ ১. খুব যত্নে এলোমেলো হয়ে আছে অন্য কারও বাঁশি এই অন্ধকার চর্চা দু এক মুহূর্তের হাওয়া ছাড়া কেউ না এই পরমার্থ মেঘের দেশে এসেছি ভ্রমণ হেতু দু একটি সাড়াশব্দ শেষে কারও নির্জনে ঝরে যাব হৃদয়ের প্রান্তিকে পথ হবে অন্য কারও সংসার সমগ্র যেভাবে পায়ের চিহ্ন চলে যায় ঠোঁট যাবে, আয়ু যাবে মেঘ থেকে নিভে যাবে মেঘের সূচনা সম্মতি। ২. শীতের প্রভাব কমে এসেছে এখন বাইরের পৃথিবীতে রোদ এসেছে আর ঘরের বাইরে বেরোতে শুরু করেছে যারা মানুষ অথচ ভীষণ রকম পাখি টিন আর কাঠের এই স্বেচ্ছা নির্বাসন আমাকে অসামাজিক…
Read Moreউজান-এর কবিতাগুচ্ছ
মরে গেছি তবু ১. রাষ্ট্র তোমায় দেবতা ছাড়া দেয়নি কিছু। নীচু তাই বুকের থেকে অনেক নীচু পেটের কাছে- সেই ভগবান ভাতের মতো দাঁড়িয়ে আছে। ২. শব গুনতে ভুল করেছি, গুনেছি কেবল কার্তুজ; আত্মহত্যাকে কবির বিষাদ ভেবে গিয়েছি স্নানে নদী খুঁজি – সে তো গেছে শব গুনতে, ক্ষেতের মাঝখানে। ৩. দুর্ঘটনা একলা ঘটে। আমরা যারা চারপাশে তার হঠাৎ জুটি, তারা জানি সুরক্ষিত রাগ বিদ্বেষ হাল্কা কত, হৃদয় কেমন শয্যাশায়ী ; ভোর হলে তো সেই দেখা যায় অক্ষত মুখ, মুখোশ পরে রাষ্ট্র জাগে চিরস্থায়ী। ৪ রাষ্ট্র কেন নিয়ম দিল, প্রেম দিল…
Read Moreসব্যসাচী মজুমদারের কবিতাগুচ্ছ
কতটা সিগাল তুমি কতটা সিগাল তুমি ,সে জানে আমার গুল্ম … গুল্ম বলতে মেঘ বুঝো ,বুঝো তার কবীরের হাড় যেন পড়ে আছে মাঠে… মাঠে কত ভোরের মনসা ! মনসা মানেই গাছ … সিঁদুরের ফলা এ ধার ও ধার … পরনে কয়েক রতি সহজ পাথর পাথরের নীচে গ্রাম,বিশ্ব সাহিত্যের টুকর টুকর… — এ তুমি পড় হে, তুমি, কমলা লেবুটি , বুঝো পাহাড়ের ওপাশে পাহাড় পাখি নেমে আসে যেন জীবনে লেখেনি কেউ তাকে … কাকচক্ষু কাকচক্ষু ফুটে আছে অপর্যাপ্ত ফসলের ক্ষেতে ঘটল মানুষের শক্তি মানুষের অপরাধ বৃত্তি ঘটেছে অপরিসীম চিন্তা-ভাবনাময় মনোবল…
Read Moreশিশির আজমের কবিতাগুচ্ছ
গোল্লা স্কুলের পরীক্ষায় রচনা লিখন এসেছিল ‘গরু’ আমি কিছুই লিখিনি টিচার আমায় গোল্লা দিয়েছিলেন আমি আদৌ ঘুমিয়ে ছিলাম না আর গরু বিষয়ে আমি জানি যদিও এখনো আমার মাথায় আসেনি টিচার আমায় গোল্লা দিলেন কেন গরু নিরীহ আর মহৎ একটা প্রাণি ওকে নিয়ে কী লিখবো আমি আচ্ছা আমাকে নিয়ে যদি রচনা লিখতে বলা হয় গরু কী লিখবে তাহলে টিচার ওকে কত নম্বর দেবেন ওই গরুকে না কি ও-ও পাবে আস্ত এক গোল্লা যে কথাটা বেমালুম চেপে যাওয়া হয় উয়ারী আর বটেশ্বর দুটো গ্রাম অথবা একটাই…
Read Moreবর্ণালী কোলের কবিতাগুচ্ছ
চন্দ্রের আকর্ষণ ও প্রহার ফসল জোয়ারের প্রবল জলস্রোত। চন্দ্রের আকর্ষণ ও প্রহার। ধুইয়ে দিয়ে গেছে। অজস্র নতুন পলি জমেছে আমার দেহে। অবিরাম ঢেউ শেষে উর্বর শস্যভূমির মতো জেগে আমার শরীর। আবাদ করো। মানচিত্র কথারা সব চুপ আর্তিরা চুপ কেন এটা হল, কেন,কেন ভুল বুঝেছ, সব অভিযোগ স্তব্ধ শীত রাত্রির মতো যেন রাতের সায়েন্স সিটি বুকের মধ্যে অজস্র স্পন্দন নিয়ে ঘুমে যেন অঘ্রানের মাঠ ফসল কাটার শব্দ নিয়ে নিদ্রিত যেন মহাকাশ থেকে দেখা রাতের পৃথিবী কয়েকটি আলোর অগ্রসর নিয়ে ঘুমিয়ে সম্পর্ক ইউরেনাস, নেপচুন গ্রহের মতো…
Read Moreহাসনাত শোয়েবের কবিতাগুচ্ছ
হারানো সন্তানদের জন্য প্রার্থনা ৩৭ পিটার বিকসেলের গল্প থেকেই বেরিয়ে এসেছিল সে বুড়ো। যে চেয়েছিল সব কিছুর নাম বদলে দিতে। ইতিহাসকে সে বদলে দিয়েছিল পৌরনীতিতে৷ তার গল্পে কবিরা হয়ে উঠেছিল সর্বনাশা জুডাস৷ রাজ্যের পর রাজ্য দখল করে নিয়েছিল তারা। হলদে পাখির গায়ে সে পরিয়েছিল কালাশনিকভের জামা। রোদকে সে ডাকত নমরুদ আর তার পৃথিবীতে যুদ্ধগুলো সব ছিল প্রার্থনা। ভাষার এই প্যাচে সে দেবদূতদেরও ফেলে দিয়েছিল বিভ্রান্তিতে৷ দুনিয়াজুড়ে স্থায়ী হতে শুরু করল নিপীড়কদের অত্যাচার। রাষ্ট্রের পর রাষ্ট্র আচ্ছাদিত হয়ে গেল বিষণ্ণ দেবদারু গাছে। হত্যা, যুদ্ধ, প্রতারণা, জিঘাংসা সবকিছুই লেখা…
Read Moreমণিশংকর বিশ্বাসের কবিতাগুচ্ছ
মুনমুন আপনার সঙ্গে আমার কখনও যৌনতা হয়নি হওয়া সম্ভবও ছিল না তবু আপনার সঙ্গে আমার যে কত যৌনস্মৃতি কত যে স্মৃতিকাতরতা! আপনার নামের ভিতর দু’ দু’বার ‘চাঁদ’ শব্দটা আছে সেটা আমি বুঝি ঠিক এভাবে: একটা ট্রেন টানেলের ভিতর ঢুকছে আর আলোয় ভরে উঠছে কামরার ভেতরটা তারপর ট্রেনটা যখন বাইরে বেরিয়ে আসছে বাইরেটা আবার আলোঝলমলে দুঃখ ২ ইমতিয়াজ মাহমুদ ভাই লিখেছেন, “অসুখী মানুষ যখন ঘুমায় তখনও তার চেহারায় দুঃখ জেগে থাকে।” এটা পড়েই আমার মনে পড়ল, মৃত্যুর পরে বাবার মুখখানা— বাবা যেন হাসছেন! মানুষ মরে গেলে তাহলে…
Read Moreদেবাঞ্জন দাসের কবিতাগুচ্ছ
ঐ পথ জন্মের ১. ঐ পথ জন্মের বলে বিকেল ছুঁয়ে অমল চিনেছে ওরা আলোর শিশুদের নাচে যখন মোরগ রঙ হল রক্ত হল মাংস থেকে ইমানের ছবি উঠেছিল আকাশে বলো, ভালো লাগছে না কাঁচের গুলিতে মিশে যাওয়া চোখ এই প্রসব দেখছে লাল হচ্ছে আঙুরের বিভ্রম… ২. না থেমে চলেছে মাঠ এ’ভাবে সব ভালো থাকা ঝরে শীতে এগুলো সত্যি হবে ভেবে ডিম থেকে পাখিরা ফেরে পাখনায় রাত হয় বিপাশার মুখে চাঁদ ওঠে ঝড়ের স্বপ্নে এক দ্রুত ফড়িং দেখি যেন শেষ পাফের কাশিতে এই পৃথিবীর যত শব্দ জল-জঙ্গল-যুদ্ধের যত…
Read Moreকৌশিক ভট্টাচার্য-র কবিতাগুচ্ছ
সন্ধ্যায়, আনমনে ১ হাওয়ার মর্মবেদনার গায়ে চুম্বনটুকুর রেখে আসে যে রেশ তারে তুমি বীজের সম্ভাবনা দিও প্রেম শিশিরের নিশিডাক শুনে যে জীবন ব্রাত্য রয়ে গেল তার হৃদকমলে তুমি ফুটে উঠবে সন্ধ্যামণি ফুল? এদিকে এ দেহে কৃষিকাজের সম্ভাবনা নেই বলে পাড়ায় পাড়ায় কী ভীষণ বদনাম রটে গেছে বদনখানি তার আলুথালু পড়ে থাকছে বস্ত্রহীনের ডেরায় চোখে একদিন ঘুঙুর বেজেছিল এই তার অপরাধ নিঃশ্বাসে একদিন নদী ডেকেছিল এই তার অপরাধ? আলোর আস্তানা দেখে মাটির ময়লা যে ঝেরে ফেলেনি তার খোঁপায় তুমি একদিন তারা হয়ে দুলো, দুলে উঠবে তো জোনাকি? …
Read Moreতন্ময় ভট্টাচার্য-র কবিতাগুচ্ছ
সময়জ্ঞান চোখ বুজলেই মৃত একটা শরীর। হাত বাড়িয়ে বলছে টেনে তোলার কথা। মৃত, অথচ দেখে মনে হয় ঘুমন্ত—এমন ভুলচুক দিন আমাদেরও কেটেছে অনেক। তালু থেকে ছিটকে পড়েছে জলের ঝাপট। সাড়া না-পেলে সন্দেহ গাঢ় হয়। কান গিয়ে হাজির হয় বুকের ওপর। যে শরীর মৃত, সে কি টেনে তুললে বসে থাকতে পারে? ভাবতে পারে, হাসপাতালের পথেই জীবের ক্রমমুক্তি? সাতপাঁচ ভেবে চোখ বুজে ফেলি। কেউ এসে হাত ধরে টানুক, আমি জানি, বসতে পারব ঠিক। বন্ধুরা পৌঁছয় ঠিকই, দেরি করে খুব— সীমাবদ্ধ শুরুর খানিক পরই বোঝা যায়, এ কোনো নতুন…
Read Moreধৃতিরূপা দাসের কবিতাগুচ্ছ
লেখা বাছাই ধর্ গোটা শহরটার সরকারি নল খোলা। জল পড়ে এর বাড়ি ওর বাড়ি রাস্তা পার হচ্ছে আর একজলেই হাফ কাটা ফুল কাটা তর্জনী-মধ্যমার দুইটি পা ধুচ্ছে কেউ। ধর্ অসীমতমের পর ফের প্রথম বই-সাজের এই আয়ু! ফের বমির কফ ঘেঁটে ন্যাংটোকে শুশ্রূষার পর লালা ফেলবে হাঁ। বিস্মিত হওয়া ঠিক নয় তখন। যুক্তিহীন- তর্কহীন মন দিয়ে শোল মাছের রক্ত খুব ডলতে হয় শেখাচ্ছেন শস্যকে তক্খুনি গ্রস্ত-মা। ততদিনে ততদিনে পায়ের পাতা মিশতে মিশতে কার মতো নয়? শনি ছোঁয়া প্রসাদ ঘরে নেওয়া বারণ, হেই দেবতা ছেড়ে যেতে দেওয়া কি ঠিক এখন তোকে?…
Read Moreবাপি গাইনের কবিতাগুচ্ছ
বাপি গাইন-এর কবিতা ১ লোকটা সিলিং জুড়ে আয়না লাগিয়ে ছিলো বেডরুমে। বালিশ ছাড়াই তার অভ্যাস হয়ে গেছে এখন। ডাক্তারবাবুর বারণ। আরো অনেক বারণের মধ্যে একমাত্র বালিশটাই ছুঁড়ে ফেলা গেছে। বালিশ, নির্জন আসবাব, প্রতিবাদ পারেনি। না প্রতিবাদের ভেতর হু হু মেঘ, মেঘভর্তি তুলোবীজ, বৃষ্টিহীন তুলোবীজ … ২ কীভাবে হৃদিকে বোঝাবো যতই বিষয় দিয়ে আড়াল করি পেট প্রিয়তম, সব নেশা ছুটে যায় ইহজন্মের। সন্ধের দিকে ঝুঁকে পড়া বাবাটির চোখে আজও একফালি ছাদ লেগে থাকে। আমি তার যোগ্যতর সন্তান, কবিতা লিখি। কতদিন লিখবো – বলতে পারিনি। অন্ধকার ঘনিষ্ঠ হলে বাবাকে…
Read Moreসার্থক রায়চৌধুরী’র কবিতাগুচ্ছ
বসন্ত উৎসব আজ আকাশ রঙ করার দিন, হাওয়ায় নেশা মিশিয়ে দেবার দিন আজ, আজ পুরোনো পাতা পুড়িয়ে বর্ষার মেঘ তৈরি করার দিন, রাধাকান্ত আর গোপাল কে সিনেমার টিকিট কেটে দেবার দিন আজ, আজ তোমার গহন স্পন্দনে আতর ছড়ানোর দিন, পাগলের শরীর থেকে আজ ছেলেদের ঢেলে দেওয়া আলকাতরা সরানোর দিন, আজ গরম ভাতের থেকে মুছে দেওয়ার দিন সমস্ত রঙিন মস্করা। নভেম্বরে আক্রমণ করো দেখি রক্ত বিভাবরী, আপাত কালো শূন্যময় আলোর ব্যাপারী দু’একটি নক্ষত্র রেখে সান্ধ্য পিলসুজে ভাবছ আলো ছড়িয়ে যাবে দুঃখ বুঝে বুঝে! তুমি তো হিংস্র প্রাণী, তুমি তো…
Read Moreঅভিষেক নন্দী’র কবিতাগুচ্ছ
কালি দিয়ে আঁকা চাঁদ ১ এভাবে পিছু ডাকতে নেই শরীরের অনেক ভেতর ঘুমিয়ে থাকা সমস্ত রাখালের মাথা তোমার দিকে হেলে পড়ছে— যেন লোকাল ট্রেনের আশ্চর্য মায়া! চোখের টকটকে লাল দেখে, নিজমাংসে আয়োজিত পিকনিক ফেলে এসে অস্ত্রব্যবসায়ী, তার মূল্যবান সময় নষ্ট করবে গলির মোড়ে যেখানে দাঁড়িয়ে অস্বীকার করেছি প্রেমকে, আর ফেরার পথে আমারই শরীর থেকে ছায়া সরে এসে সে এক আস্ত পুরুষকে ভালোবেসেছে ঠিক তোমার মতো! ২ ছুটে বেড়াচ্ছি এক ঘর থেকে অন্য ঘর দরজার সামনে নিজেকে উলঙ্গ দেখি এই বারান্দায় গোলগোল ভূতের বসবাস— কেবল শুনি, মুকুটের চূড়া…
Read Moreবৈশাখী মিত্র’র কবিতাগুচ্ছ
হে হরিণশিশু ১. ক্ষিতিপদ্মাসনে তোমার চন্দনগন্ধ রেখে আগুন জ্বেলেছি সন্ধিপুজোর কমলের মতো ফুটে উঠেছে শরীর বৃষ্টিমাসের জলে কাদার আশ্লেষে ফুটে উঠেছে চারা আঙুল থেকে খুলে যাচ্ছে কুশাঙ্গুরি ! তোমার গ্রীবাভঙ্গির কাছে নত হয়ে বসি দু-একটা স্ফুলিঙ্গের আগুনে ফুটো হয়ে যাক গরদ স্তুতি করি মৃত্যুর, এসো ২. তোমার মতো ঐন্দ্রজালিক দেখেছি স্বপ্নে শ্বেত মর্মরে বলিদানের রক্ত সে মুছে দিয়েছিল মন্ত্রে আকাশ থেকে কবুতর পেড়ে তার দম্ভের বুক শূন্য করে প্রজাপতি উড়িয়েছিল, হাততালি! তুমি মরুপ্রদেশে গমক্ষেত বুনেছো তন্ত্রীর মেদসুতোয় বাজিয়েছো ভৈরবী একশো শিখায় পুড়ে গেছে আমার নাভি ৩. ঝুরো…
Read More