রাতে নার্সিং হোম থেকে ফিরে বাথরুমের বিরাট আয়নাটার সামনে নগ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে আস্তে আস্তে তার ক্লান্তিটা কেটে যায়। তখন ও নিজের চেহারাটার ওপর খুব তীক্ষ্ণ একটা পর্যবেক্ষণ চালায়। সে আর পাঁচটা সুন্দরী মেয়েদের মত রূপবতী হয়ত নয় কিন্তু তার চেহারার মাপজোক এমনই অসামান্য যে পথফিরতি পুরুষদের চোরা নজর সে সবসময় আকর্ষণ করে। তবু যত দিন যায় তত যেন আয়নাটাকে সে কখনও কখনও এড়িয়ে যেতে পারলে বাঁচে। প্রতিদিন যারা অত্যন্ত যত্ন নিয়ে নিজেদের চেহারার দিকে তাকায় ছোটখাট পরিবর্তন কিছুতেই তাদের নজর এড়ায় না। সে যেমন কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছে তার…
Read Moreহৃষিকেশ বাগচী
লেখক পরিচিতিঃ জন্ম ৩ জুন, ১৯৭৭। পেশায় চিকিৎসক, অধ্যাপক। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে কর্মরত। নেশা পাহাড় জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো আর ছবি তোলা। প্রিয় বিষয় ল্যান্ডস্কেপ ও বার্ড ফটোগ্রাফি। অবসরে লেখক ও পাঠক। পুরনো ভাবধারা এবং নতুনধারা কোনটাকে সার্বিকভাবে গ্রহণ করবেন তা বুঝে উঠতে পারেন না। তাই লেখক হিসেবে সবসময় একটা উদ্বায়ী অবস্থায় থাকেন। গত বছর সৃষ্টিসুখ প্রকাশনী থেকে একটি ছোট প্রবন্ধ ও রম্যরচনা সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। “মুখোমুখি”। ওটিই প্রথম বই। এ বছর প্রকাশিতব্য বই, “একের পিঠে পাঁচ”। পনেরটি ছোটগল্পের সংকলন। তবে যাই লিখুন না কেন, ভ্রমণসাহিত্য লিখে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পান।
রূপকুন্ড ট্রেকিং
ভূমিকাঃ অন্য সবার মত আমারও ট্রেকের অভিজ্ঞতা শুরু হয়েছিল সান্দাকফু আর ফালুট ট্রেকের সাথে। সেখানেই আমাদের পঞ্চপান্ডবের এক হওয়া। আমাদের মধ্যে একজন অনিয়মিত হলেও আমরা বাকি চারজন প্রতি বছর একটা ট্রেকে একবার একসাথে হবই। এটা আমাদের একটা কমিটমেন্ট হয়ে গেছে। সারা ভারতে যারা ট্রেক করেন সান্দাকফু ছাড়াও রূপকুন্ড, রূপিন, গোয়েচালা আর তপোবন এই কয়টি ট্রেক অন্তত না করলে ট্রেকারেরা ঠিক জাতে ওঠেন না। আর শুনেছি রূপকুন্ড করতে পারলে নাকি লোকেরা বলে, ও আপনি রূপকুন্ড করেছেন তাহলে অমুক ট্রেক তো আপনার কাছে কোনো ব্যাপারই না। তাই সবাই মিলে ঠিক করলাম বিড়ালকে…
Read More