আমাদের কোনও নিজস্ব জমিজমা নেই। নেই সোনা সোনা মাটি কিংবা উগলে হীরে মোতি। আমরা যারা মফস্বলে বড় হয়েছি, শহরকে চেনার চেষ্টা ছিল খুব দূর থেকে। গ্রাম, আমাদের ফ্যান্টাসির পৃথিবীতে সেভাবে আসেনি। অগ্রহায়ণ। শ্রেষ্ঠ ধান্য। কেন শ্রেষ্ঠ? কেনই বা শ্রেষ্ঠ? আমাদের রোজ রাতে রুটি আর আখের গুড়ের পয়সা বাঁচানো নিম্ন মধ্যবিত্ততার ভেতর এসব প্রশ্ন হুমড়ি খেয়ে পড়ত। কারণ সন্ধে হলেই লোডশেডিং। আর অনেক দূরে স্টেশন পেরিয়ে দেখা টিমটিম আলোর গ্রামে ওদের বাড়িতেও সেভাবে আলো থাকত না। ওরা মানে যারা কাজ করে। বৈশাখ। বছরের শুরু। কেন? এত গরম, এত অজস্র দুর্যোগচিন্তার মাঝে…
Read Moreঅনির্বাণ ভট্টাচার্য

জন্ম মার্চ, ১৯৮৩, চন্দননগরে। পড়াশুনা বোলপুর উচ্চবিদ্যালয়, বিশ্বভারতী ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরিবেশ বিজ্ঞানে গবেষণা শেষ ক’রে সদ্য প্রসার ভারতীর অধীনে শান্তিনিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্রে প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ-এর কাজে যোগ দিয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখিতে আগ্রহ। পিতা প্রদীপ ভট্টাচার্য সম্পাদিত ‘১৪০০ সাহিত্য’ দিয়ে লেখালেখি শুরু। লেখা প্রকাশিত হয়েছে ‘দেশ’, ‘বৃষ্টিদিন’, ‘নতুন কৃত্তিবাস’, ‘শুধু বিঘে দুই’, ‘ভাষানগর’, ‘লালন’, ‘আহির’, ‘আদরের নৌকা’, ‘ক্যানেস্তারা’, ‘মধ্যবর্তী’, ‘বাক’, ‘মাস্তুল’, ‘কালিমাটি অনলাইন’ ইত্যাদি বিভিন্ন মুদ্রিত ও বৈদ্যুতিন পত্রপত্রিকায়। ২০১৫ সালে ধানসিড়ি থেকে প্রকাশিত হয়েছে লেখকের প্রথম কবিতার বই ‘সন্ত নিকোলাসের হাড়গোড়’। ২০১৬ সালে আঙ্গিক-মাস্তুলের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছে দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ছেঁড়া কাঁথা, অনন্ত সৎকারগাথা’। শখ – সাইকোথ্রিলার ছবি, তিকিতাকা ফুটবল এবং জন ডেনভার।
টু স্যার, উইথ লাভ
রেস্পেক্টেড স্যার, চিঠির তো একটা সাব্জেক্ট হয়? পড়িয়েছিলেন তো? কী লিখব? পিছু ফেরা? হিসেব নিকেশ? না স্যার, ওটা ব্ল্যাঙ্ক থাকুক। ফিল ইন দ্য ব্ল্যাঙ্কস। ওপারে গিয়ে দেখা টেখা হবে স্যার? সেসব হয় নাকি? আমি তো মেট্রোর দরজাটা জানি। একবার বন্ধ হয়ে চলতে শুরু করলে তার দরজা অন্তত সেই স্টেশনে আর থামবে না। তাই … হাত তুলতাম। একটা, অনেকগুলো। রেড ফ্ল্যাগ ধরা ছবিগুলোর মতো। আপনি পড়া ধরতেন। পড়া মানে ইতিহাস। ইতিহাস মানে ম্যানচেস্টারের সুতো, শিল্প বিপ্লব কিংবা চটকল ধর্মঘট। অবনী স্যার। অবনী। আধেকলীন হৃদয়ে আমি পড়াশুনোর কাছাকাছি কিছু একটা ঘাঁটি অবসরে।…
Read More