শূন্য-স্থানে তাকাও

নব্বইয়ের কবিতায় যে বিশ্বায়ন এসেছিল, শূন্যের কবিতায় তা যুগোচিতভাবেই সুদূরপ্রসারী । কোনো একটি বিশেষ প্রবণতার দিকে ঝুঁকে দলগতভাবে লেখালেখির উদাহরণ শূন্যে বিরল নয়। শূন্য দশক এই সময়কাল এর মধ্যে অনেকগুলি প্রবণতাকে প্রত্যক্ষ করা যায়। এই বহুমাত্রিক সম্ভাবনা তৈরি করতে পারাই যে কোনো দশকের কবিতাচর্চার সার্বিক সাফল্য। শূন্যে দশকে এসে যন্ত্রসভ্যতার সুফল এবং কুফল দুই-ই মানুষ পেতে শুরু করেছে। যার ফলস্বরূপ ভোগপণ্য, যন্ত্র, পাউচ প্রবণতা মানুষকে সম্যক শান্তি দেয়নি। এখন এই নাথিংনেস যে শূন্যের কবিতায় সঞ্চারিত হবে তাতে বিস্ময় কী ! এই যন্ত্র এবং স্ট্রিট রিয়েলিটি নির্ভর কাব্যচর্চাকে অনেকাংশে ঐতিহ্যরহিত এবং…

Read More

শুভম চক্রবর্তীর গুচ্ছ কবিতা

নির্মাণ আমার শরীর নেই আমি থাকি কিছুটা শরীরে বাকি সব ঝুলকালি কুয়াশা কুয়াশা বোঝাপড়া তোমার শরীর ছুঁয়ে ফিরে এসে মনে হয় আসলে শরীর নেই যা আছে ভীষণ মনগড়া !   সংকেত নৈ:শব্দ কিছুই নয় ঝিম হয়ে রয়েছ আড়ালে শুকনো পাতারা দূরে ঝরে ঝরে ক্ষয়ে গেল আয়ু নৈঃশব্দ কিছুই নয় মর্মগহীনের নিচে থেঁতলে যাওয়া কিছু বাদাবন আমার আরতি জাগে প্রত্যেক মায়াবী ঘোরে নৈঃশব্দ কিছুই নয় একটি রমণ ভেঙে অসংখ্য রমণ…   সংলাপ ছোবল মারোনি তাই প্রতি রাতে আক্ষেপ বেড়েছে ছোবল মারোনি তবু অতিবিষে নীল হয়ে যাই তোমার ফাটানো জিভ অতিচেতনার কালো…

Read More