‘তোমরা আজকালকার ছেলেপুলেরা ভাবো বটে যে তুড়ি মেরে সব কাজই হাসিল করে ফেলা যায়, তবে বিশ্বাস করো আর নাই করো জানবে মূর্তি ভাঙ্গা মোটে সোজা কথা নয়।’ গোলাম সাইদি তার অশক্ত, কাঁপা কাঁপা হাত আর ধূমায়িত চায়ের কাপ সহ ফ্রেমে ঢুকে পড়েন। ডিরেক্টর ছোঁড়া ভিউ ফাইন্ডারে চোখ রেখে ভাবে বটে, ‘বয়েসের গাছ পাথর’ না থাকার বাগধারা এর চে সার্থক প্রয়োগ হয়ে তার সামনাসামনি এভাবে সশরীরে এসে দাঁড়ায়নি কখনো, এই আপাত অভিব্যক্তিহীন, বলিরেখাময় অতিবৃদ্ধ জনৈক গোলাম সাইদি, যাকে অনায়াসে গত শতাব্দীর কোনো ফারসি কবি অথবা আরো অনেকদূর পিছিয়ে আগুনের ঐশী জ্ঞানলব্ধ…
Read Moreহিয়া মুখোপাধ্যায়
জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা কলকাতায়৷ বর্তমানে পদার্থ বিদ্যায় গবেষণারত। লেখালেখির পাশে ভালোবাসা: অ্যাসটেরিক্স, সুকুমার রায় আর বিটলস। পোষা হুলোদের নাম: উধোলাল ও বুধোলাল। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: মোহময় পেস্ট্রির দিন।
হিয়া মুখোপাধ্যায়ের কবিতাগুচ্ছ
মন্টানা হোমস্টে ১. সরলরেখার মত দিনগুলো কাটছে৷ অনুত্তেজক। অনুশোচনাহীন। মাঝেমধ্যে টুপটাপ রক্তপাত। সেটুকু অভিপ্রেত। বাকিটা ঘুমঘুম কমফর্টার। রোদে জড়ানো ফার্নে বিকেলের ছায়া দোলে। মৃদু পোর্সিলিনের নীচে বসে ছড়া গাঁথার দিন এসব। শিস দিতে দিতে টি এস্টেটের আলোগুলো একে একে নিভিয়ে দেওয়ার দিন। আপাতত সব ঠান্ডা। দু একবার শিরশিরে হাওয়া দিলে শুধু সবার অলক্ষ্যে ট্যাবলেটের ভাষায় তুমি জানি কাকে ডেকে উঠছো। ২. আবার এসেছো তুমি বিষণ্ণ গ্রীলের পাশে। অতর্কিতে আবার দাঁড়িয়েছো হা হা করা খাদের পাঁচিলে। হাওয়ায় পাইন দুলছে। নিভু নিভু শ্রমিক কলোনী। দূরদূরান্ত অব্দি কেউ নেই, শুধু একা তুমি।…
Read More