দেবারতির কবিতাবিশ্ব

বাঁশের সাঁকোটি জলে ভেসে গেছে, ঘাটে এসে উবজো ভূত দাঁড়িয়ে রয়েছি একা একা- ঝুপসি অলক্ষ্মী পানা, শিকড়বিহীন সাদা স্রোত, শামুকখোলের মতো ভারী মেঘ; ‘আমি তবে যাই’ হঠাৎ জলের ঘুর বলে উঠল মালতীর ভাই। যা থেকে আমার নিজের কোনো অর্জন নেই তা আমি পড়ব কেন? কেন ফিরে যাই দেবারতি মিত্র-র মত কবির কাছে বার বার? কেননা তিনি তাঁর কবিতায় ও ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথায় যা দেন তা প্রচুর। অমোঘ। অজস্র। এই পোড়া দেশে একজন প্রকৃত ও মহৎ কবিকে চিনে নিতে অক্ষম পাঠককুলের কাছে তুলে ধরতে হয় কবির জীবনযাপন। প্রকৃত সাধক…

Read More

ধুমুহা

প্রচুর আম হয়েছে এবার। এই এপ্রিলের শুরুতেই পথেঘাটে দেখা যাচ্ছে আমগাছগুলো ফলভারে নুয়ে পড়ছে। পাতার ফাঁকে ফাঁকে  গাছে গাছে আম ঝুলে আছে । যেন পান্নার কুচি। স্পষ্ট সবুজ সুন্দর। কেমন লম্বা বোঁটায় ঝুলে থাকা নিটোল আমের ওই আকৃতি। ছবি যেন।  ছবি নয় শুধু।  বিজ্ঞাপনের ছবি। এই দ্যাখো, এই দ্যাখো বলে চোখ টানছে। নিজেকে  দ্যাখাচ্ছে। আমাকে  দ্যাখো গো, আমার নাম আম। গ্রীষ্ম কালে ফলি, রসে টুসটুস করি।  সেই সেবার কাজিরাঙা গেসল আন্টি আর স্যার । সুলতাকে নিয়ে গেসল। ওদের সঙ্গে হাতিও চড়ল সুলতা। নইলে বুবুকে ধরবে কে? বুবুকে রেখে যাবেই বা…

Read More

স্ববিরোধ, মহানতা, ক্লিশে

“মহান শিল্পীদের জীবনীতে প্রায়শই পড়ি তাঁদের অকল্পনীয় নিষ্ঠুরতা কথা। পড়ি, এবং ভীষণ বিভ্রান্তবোধ করি। ভাবি যে, যে-মানুষ ব্যক্তিজীবনে এতটা হৃদয়হীন এবং নির্মম, তাঁর শিল্পের আদৌ কী দাম আমি দেব? যতই মহৎ হোক সেই শিল্পকীর্তি, তবু আমি তার কানাকড়ি মূল্যও দেব কি? পণ্ডিতেরা বলেন, ভুল, এই বিচার ভুল। শিল্পীও একজন মানুষ, আর সব মানুষের মতো তার ভিতরেও রয়েছে একই সঙ্গে সাধু এবং শয়তান। এবং নিজের ভিতরে এই সাধু-শয়তানের দ্বন্দ্ব থেকেই সৃষ্টি হচ্ছে তার শিল্প। সুতরাং, শিল্পীর ব্যক্তিজীবন দিয়ে তার শিল্পের বিচার এক মারাত্মক ভুল। পণ্ডিতেরা সর্বদাই এত ঠিক কথা বলেন! এত…

Read More