রিমঝিম আহমেদের কবিতাগুচ্ছ

  রাক্ষস   তুমি মাংসখেকো এ কথা জানা– কেন তাও পাঠালাম পাগল নিশ্বাস? ভেতরে এতটা রাক্ষস পুষে দুইবেলা তোমার নিরামিষ ভোজন। তোমার জিভ থেকে, লালা থেকে উদগ্র কামনাগন্ধ তেড়ে আসে। দাঁতে মাংসলাগা হাসি। আমি কি বিষণ্ণ হব? আমি কি কেঁদেকেটে মাথায় তুলব পাড়া? ছড়াব আর্তচিৎকার রাত্রির বিষাক্ত ক্ষরণে? দু’হাতে তোমাকে সরিয়ে দিই। বোধের অঙ্গন থেকে উপড়ে নিতে চাইছি সমস্ত কামনাফল। ছুরির ফলার মতো নখ বিঁধে যাচ্ছে কণ্ঠে, নাভি ও ঊরুতে। স্ববিরোধ অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে আমার মুখ। আর হা করলেই হড়বড় করে বেরিয়ে আসছে লালারক্ত। আমি ধুয়ে নিতে চাইছি তাবৎ রক্তরিরংসা।…

Read More

নারীর কবিতা, মানুষের কবিতা

ভাবনা কোথা হতে আসে ! ভাবনারও নিশ্চয় প্রেক্ষাপট আছে , আর সে প্রেক্ষাপট ভিন্ন কবি কি লিখতে পারে ? কবির অন্তর্গত ক্ষরণ, বেদনা, হাহাকার, সুখানুভূতি ব্যতিত ভাবনার উদয় হয় কি! সেসব অনুভূতিসমূহের আন্দোলন ছাড়া তো ভাবনা আসে না। কবিতা কবির কাছে নৈঃশব্দ্য ধ্যানের এক নাম। সমস্ত যাপন থেকে ইচ্ছে পালানোর নাম। মেঘের ওড়া, বৃষ্টির ঝরেপড়া, পাতার মর্মর, ঘাসের ডগায় ফড়িঙের বসার ভঙিমা এসব চিরাচরিতের মাঝে নতুর রঙ এনে দেয়া এক হকিয়ার। কবিতা কবির একচিলতে উঠোন যেখানে ইচ্ছেমত পাতা ফেলা, নিকোনো, ঝাটপাট দেয়া, রোদ পোহানো, কিংবা জোছনা মেখে শুয়ে থাকা চলে।…

Read More