ফৌজি কওয়াল

(আজিজ মিঁয়া: ১৯৪২ – ২০০০)   দৃশ্য ১: করাচির জৈনাব মার্কেট, আটের দশক। জুম্মার নামাজ শেষে কাওয়ালির আসরে ভিড় করেছেন কয়েকশ মানুষ৷ ‘কওল’ দিতে আসছেন আজিজ মিঁয়া, কওয়ালির ‘বেতাজ বাদশা’। তাঁর কওয়ালি শুনতে ভেঙে পড়েছে শহরের মানুষ। কিন্তু একি! কওয়ালির আসরে পুলিশ কেন? বিস্ময়ে সবাই দেখে, বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘিরে রেখেছে গোটা অঞ্চল, যেন কোনও যুদ্ধের প্রস্তুতি। তারাও বুঝি কওয়ালি শুনতে এসেছে! নাহ, সে রাতে পুলিশ এসেছিল পরিস্থিতি সামলাতে৷ আজিজ মিঁয়ার সুরের এমনই জাদু, লোকেরা পাগল হয়ে যায়, শুরু হয় মাতলামো, ভাঙচুর, চরম বিশৃঙ্খলা। সেই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি আটকাতেই পুলিশের আগমন।…

Read More

পঞ্চ আবের সুরে

সুমিরন কর লে মেরে মন সাল ১৫০৬ খ্রীস্টাব্দ, আনুমানিক। নীলাচল। সন্ধ্যা নেমেছে পুরীতে। দূরে জগন্নাথ মন্দিরে শুরু হয়েছে মঙ্গলারতি। বাজছে ঘন্টা, মন্দ্রিত শঙ্খধ্বনি। সময় হয়েছে মহাপ্রভুর সান্ধ্যভোজের। মন্দিরে পূজারীরা সোনার থালা, বাটিতে একটু একটু করে পরিবেশন করছেন ‘মহাভোগ’। আকাশ-বাতাস ম ম করছে তার অপার্থিব সুগন্ধে। এ সময় ঈশ্বর খেতে বসেন। বড় পবিত্র, বড় মায়াবী এ সময়। সমুদ্রতট থেকে দেখা যাচ্ছে মন্দিরচূড়া। গৈরিক পতাকা উড়ছে হাওয়ায়। চন্দন কাঠের মিষ্টি গন্ধ পাক খাচ্ছে বাতাসে। সেই ঈশ্বরিক পরিবেশ ভেদ করে সমুদ্রের ধারে এসে স্থির হল দুটি ছায়া। দুটি মানুষ। তাদের গায়ে লেপ্টে আছে…

Read More

“এতই সহজ আমাদের মেরে ফেলা” সাহিত্যে দশক বিলাসিতা ও ‘শূন্যে’র অবস্থান

সৃষ্টির আদিতে শূন্য। অন্তে, অনন্তেও। এখানেই সবকিছুর শুরু। এখানেই শেষ। এত যে শূন্যতা ঘিরে থাকা, তবু শূন্যের প্রতি আমাদের অবজ্ঞা, অচেতনতা, উদাসিনতার বুঝি শেষ নেই। হয়তো এটাই স্বাভাবিক। যা কিছু বোধ বা চেতনের বাইরে, তাকেই ‘অস্বাভাবিক’ বলে দাগিয়ে দেয়া আমাদের ‘স্বাভাবিক’ প্রবনতা। আর সেই ক্ষয়িষ্ণু প্রবনতা ক্রমেই ‘উন্মাদনা’র আকার নেয়, যখন সেই সত্যের প্রকৃত মূল্যায়নে অক্ষম হই আমরা। তা সে দার্শনিক চেতনা, বোধই হোক অথবা বাংলা সাহিত্যের শতক ও দশকের কুম্ভিপাকে পাক খেতে খেতে তিরতিরে, অবিরত জেগে ওঠা ‘শূন্য দশক’ নামক ব-দ্বীপ’টির অস্তিত্ব স্বীকার। কালক্রমে যা বিরাট মহাদেশে রূপান্তরিত হতে…

Read More