নীরব কেটলিতে ফুটে চলে জল আর শব্দ

  অক্ষর যেখানে সতত সচল, দৈনন্দিনের তারে টানটান করে বাঁধা, সেখানেই নিভৃতে বেজে ওঠে তাঁর কবিতা। এক আটপৌরে গৃহস্থের মাঝেও কখনও রান্নাঘর, কখনও বা ছবির অ্যালবাম, কখনও আবার পুরনো পত্রিকার গন্ধ, নীরবতায় মুদ্রিত ষাটের দশকের এই নিভৃতবাসিনীর আত্মকথা। কী নির্ভার অথচ অমোঘ সেই সব কবিতা। পঞ্চাশের দশকের কবিদের ভাষা তখন সুপ্রতিষ্ঠিত, কবিতামঞ্চ সেজে উঠেছে পুরুষ কবিদের সশব্দ উচ্চারণে, তেমন সময়েই দেবারতি মিত্র এলেন তাঁর কবিতার সম্ভার নিয়ে। নারীর ভাষ্যে ফুটে উঠল তার যাপনের নানা সংলাপ, প্রেম-শরীর-যৌনতা যেন কবিতাশরীরে এক নতুন ছন্দ পেল, যেখানে কোনো রাখ-ঢাক নেই, নেই কোনো নিষেধাজ্ঞার ফতোয়া।…

Read More

সৈকত সরকারের কবিতাগুচ্ছ

দক্ষিণের পিঞ্জরা ১. আরেকটু কথা বললেই কথা ফুরিয়ে যাবে যেমন বই ফুরিয়ে গেলে বন্ধ থাকে বইয়ের দোকান। আরেকটু গাছ চিনলেই, থাকবে না আগ্রহের খেলা, তোমাকে লাট্টু হাতে ধরিয়ে দিয়ে কেড়ে নিয়েছে সুতো, ঘোরানোর। যদিও কক্ষপথ থাকে আর ঘুরপাক খাওয়া তোষামোদ তোমাকে প্রদক্ষিণ করে যায় প্রতিবারের মতো…   ২. সন্ধির সমস্ত শর্ত মেনে নিয়ে টুংটাং শৈশব বাজায় ছেলেটা; হাতে কোনো বাঁশি নেই, কপালে নেই লটারি-প্রকোপ; আমার ভারাক্রান্ত মধ্যাহ্নে ভোরের চিঠি ফেরি করে তার মায়া ; আমি দেখছি দড়ি বেয়ে হেঁটে যাচ্ছে ছেলেটির মা, দুহাত প্রশস্ত পাশে, দুলে উঠছে দুপায়ে ছোবল; সন্ধির…

Read More

মৎস্যপুরাণ

গলির মোড়েই একটা ফুলের দোকান। রোজ সকালে সিধুদা নৈহাটি থেকে আসে ডাউনের ট্রেনে চড়ে। মাথার বোঝাটা নামাতে বেশ কষ্ট হয়। ট্রেনে ওঠার সময় কেউ কেউ ঝাঁকাটা ধরে তুলে দেয়। আবার কখনও লোক পাওয়া যায় না৷ এত দোপাটি, গোলাপ আর রজনীগন্ধার ভার বয়ে চলে সিধুদা। শুধু বুধবার ওর ছুটি। ঐদিন গাঁদা, গোলাপেরও ছুটির দিন। পাড়ার গৃহস্থ বাড়ির নিত্যপুজোর ফুল সেদিন মোল্লার হাট থেকে কিনে আনতে হয়। “মোল্লার হাট” নামটা বহুকাল ধরেই চলে আসছে, তাতে মোল্লা হোক বা মালাকর কারোরই কিছু আসে যায় না। তিন্নির জ্যামিতি বক্সে একটা মাছের ছবি আঁকা। অনেকটা…

Read More

সৈকত সরকারের কবিতাগুচ্ছ

একাদশী ও ম্যালিগন্যান্ট ভোর ১. লোহা ছুঁয়ে থাকলে রাতের পরব গায়ে লাগে না। টেম্পোর খোলা মঞ্চে তখন মড়া নিয়ে তুমুল মোচ্ছব পয়সায় পয়সায় টোকা লেগে তাল দিচ্ছে শোকের বিতানে লোহা ছুঁয়ে আছি সশস্ত্র লোহার কোনো হিতাহিত জ্ঞান থাকে? যেমন আলোর থাকে কাফের মাড়ানো অপরাধ   ২. গুলমোহরের শুভেচ্ছা পৌঁছতে দেরি হয় বর্ষার ছবিও তো হরিদ্রাভ তোমারই রঙের ফুলদানির কৌলীন্য মেখে যেসব মরশুমি লেখাগুলো হেঁটে গেছে কলম উঁচিয়ে তুমি তার প্রুফ-না-দেখা প্রমাদ প্রতি সৌজন্য সংখ্যায় কেমন চড়ুই-সমারোহে ফুরিয়ে যাও শোকের মতন!   ৩. হাত পা ছড়ানো কিছু আকার দিতে গিয়ে প্যাস্টেল…

Read More

প্রিয় কবিতার বই: সৈকত সরকার

সত্তর পরবর্তী দশটি প্রিয় কবিতার বই বেছে নিলেন সৈকত সরকার  জেনেসিসের সাতদিন – রাকা দাশগুপ্ত জন্মবীজ – প্রবালকুমার বসু উপাদানকারক – প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় স্ত্রীর পত্র – সুতপা সেনগুপ্ত থার্মোমিটারের ওপ্রান্তে – তন্ময় ধর শয়তানের জয় হোক – সংযম পাল কম্বিনেশিয়া – শ্রীজাত লোকটা পাখি ওড়া নিয়ে বলছে – ইন্দ্রনীল ঘোষ অঙ্কে যত শূন্য পেলে – পিনাকী ঠাকুর ঈশ্বরের চোখ – রণজিৎ দাশ

Read More