রাহুল পুরকায়স্থ এর কবিতাগুচ্ছ

রঙিন কবিতা এক জল, তরঙ্গজলের ধ্বনি, ছড়িয়ে পড়ছে লোকালয়ে দেখো তার অঙ্গের বাহার, মৃত্তিকার কাছাকাছি সে-ও দুলে দুলে চলে হাওয়াকলের গায়ে তার রেণু লেগে আছে, রক্তবর্ণ, বায়ুচর, হেলে আছে খানিক উত্তরে এই পথে তিনি আসবেন — ভেবে ভেবে সাজিয়ে তুলেছি ছায়াপথ, নগরসীমান্তে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছি যেন ইহজন্ম, পরজন্ম, ভ্রমজন্মব্যাপী, বাউল, ফকির, খ্যাপা খেপি, মিশে যাচ্ছে অক্ষরে-অক্ষরে শ্বাসমাত্রা প্রলম্বিত, শূন্য এক গ্রামের ইস্কুলে চাঁদ ওঠে! চাঁদের আলোয় বাজে বাঁশি ওই বাঁশি জলধ্বনি, এইমাত্র জেনে বেকুব মাস্টার আমি শব্দরূপে অর্থ দিতে চাই হে তুমি অন্ধের ঈশ্বর আজ আমি নিজেই নিজেকে দেখো কীরূপে…

Read More

রাহুল পুরকায়স্থের কবিতাগুচ্ছ

হেমন্তে লেখা এক মূক ও বধির হাওয়া, নিশীথে পেতেছ বায়ুজাল। আমি ধরা পড়ে গেছি। আমার চশমা দেখি উড়ছে বাতাসে! খরস্রোতা দৃষ্টি আজ ভ্রমের সাঁকোয় দুলে ওঠে ! পারাপার ভাবি তোমাকেই। মক্ষিকাও ভাবি। মাতাল মক্ষিকা। পেরিয়ে অযূত সাঁকো আহত ভাষার কাছে বসি। বলি, আমাকে বিপুল দাও, আমাকে বিনাশ দাও। পাতাল-ধুলোয় অবিনাশী গলিত অক্ষরে যেন ভেসে যেতে পারি। জল দিতে পারি যেন বিষাদের বংশলতিকারে।   হেমন্তে লেখা দুই সব কবিতাই হেমন্তের। ধূসর ঈশ্বরীতলা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এই কথা মনে এল আজ। আবছা সন্ধ্যায় ছায়া-ছায়া চা-দোকান থেকে মৃদু হিম স্বর ভেসে আসছিল। ভেসে…

Read More

রাহুল পুরকায়স্থ’র সঙ্গে আলাপবিস্তারঃ শেষপর্ব

সঙ্ঘমিত্রা হালদারঃ রাহুলদা, আগের কথার সূত্র ধরে এবার একটা কথা বলি। ধরো, আমার চারপাশের মানুষজন খুব খারাপ আছেন। সামাজিক স্থিতি বলতে কিছু নেই। তুমি-আমি শাদা চোখে যেমন দেখছি, একজন ‘কবি’ও দেখছেন। তাঁর অনুভূতির তারটা খাদে ও সপ্তকে সমান কার্যকরী, ফলে তাঁর সংবেদনক্ষমতাও তীব্রতম সেখানে। এমতাবস্থায় যিনি ‘কবি’, তাঁর তো অসহায় লাগবেই। যাঁরা, যেসব কবি-লেখক বেছে বেছে প্রতিবাদ করেন, নিশ্চিতভাবেই তাঁদের কথা বলছি না। কিছু- কিচ্ছু হবে না জেনে তিনি হয়ত তাঁর সাধ্যানুযায়ী একটা বিরুদ্ধতার রাস্তায় হাঁটতে চাইবেন। হয়ত কেবল তাঁর মুক্তির জন্যই। সেটা হতে পারে তাঁর কলমকে হাতিয়ার করে। হতে…

Read More

রাহুল পুরকায়স্থ’র সঙ্গে আলাপবিস্তার

( এটি কোন প্রথামাফিক সাক্ষাৎকার নয়। একদিন এক বিরামহীন আড্ডায় রাহুল পুরকায়স্থের সঙ্গে প্রসঙ্গ থেকে প্রসঙ্গান্তরের শাখা প্রশাখায় আমরা ঘুরে বেড়িয়েছি। শুধু কবিতার শর্তে। দীর্ঘতম সেই আড্ডার এটি ১ম পর্ব। )   রাহুল পুরকায়স্থঃ  ক’দিন আগে একটা মজার কাজ করেছিলাম, বুঝলি, শক্তিদার একটা লেখা নিয়ে। লেখাটা কার, ২৩ জনকে আমি ফোন করে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, শুধুমাত্র সুবোধ সরকার বললেন যে এটা শক্তি হলেও হতে পারে। সেখানে নামকরা সব তরুণ  কবি, অধ্যাপক, পাঠক আবৃত্তিকাররা ছিলেন। শক্তিদা’র আমরা ‘তোমায় পড়লো মনে’ এই সমস্তই পড়ি। পুরো শক্তিকে পড়ি না। এইসব লেখা কোথাও পাঠ্যও না।…

Read More