পায়ে পায়ে ফ্রেঞ্চ আল্পস

  ফ্রেঞ্চ আল্পস ১ : মর্জিনের পথে  শুরুটা মোটেও সুখকর ছিলনা। বার্মিংহাম থেকে আমস্টারডাম হয়ে জেনিভা পৌঁছনোর কথা দুপুর দুটোর মধ্যে। সেখান থেকে বাসে করে মর্জিন (Morzine)। ফ্রান্স আর সুইজারল্যান্ডের সীমান্তে অবস্থিত মর্জিন ফ্রেঞ্চ আল্পস ঘেরা একটা ছোট্ট শহর । আমরা যাচ্ছি কয়েকদিন আল্পসকে এই প্রথম কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখার এবং চেনার আশায়। আল্পস হিমালয় নয়। অত সুউচ্চ পর্বত শিখরের দাবিও করে না। কিন্তু নিজের স্বমহিমায় পৃথিবীতে বিরাজ করছে।  হিমালয় সৃষ্টির ২৫০ মিলিয়ন বছর আগে সৃষ্ট এই ভঙ্গিল পর্বতমালা দক্ষিণ ইউরোপের ফ্রান্স থেকে আলবেনিয়া অবধি ১২০০ কিলোমিটার জুড়ে বিরাজ করছে…

Read More

রূপকুন্ড ট্রেকিং

ভূমিকাঃ অন্য সবার মত আমারও ট্রেকের অভিজ্ঞতা শুরু হয়েছিল সান্দাকফু আর ফালুট ট্রেকের সাথে। সেখানেই আমাদের পঞ্চপান্ডবের এক হওয়া। আমাদের মধ্যে একজন অনিয়মিত হলেও আমরা বাকি চারজন প্রতি বছর একটা ট্রেকে একবার একসাথে হবই। এটা আমাদের একটা কমিটমেন্ট হয়ে গেছে। সারা ভারতে যারা ট্রেক করেন সান্দাকফু ছাড়াও রূপকুন্ড, রূপিন, গোয়েচালা আর তপোবন এই কয়টি ট্রেক অন্তত না করলে ট্রেকারেরা ঠিক জাতে ওঠেন না। আর শুনেছি রূপকুন্ড করতে পারলে নাকি লোকেরা বলে, ও আপনি রূপকুন্ড করেছেন তাহলে অমুক ট্রেক তো আপনার কাছে কোনো ব্যাপারই না।    তাই সবাই মিলে ঠিক করলাম বিড়ালকে…

Read More

ব্রাজিলের কেক, ব্রাজিলের মিষ্টি

ডিসেম্বর মাস পড়তেই ব্রাজিলে “কেকের রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়’ হয়ে উঠেছে। দোকানে রঙিন বাক্সতে মোড়া বাহারি কেকের পসরা  চারিদিকে। কেকদের রাজত্বে বাকি সব  কিছুই ঢাকা পড়ে যায়।কিছু কেক ছবির মত সুন্দর। সাদা বুড়ির চুল দিয়ে নকল বরফ, চিনি দিয়ে গোলাপ বা ভ্যান গগের স্টারি নাইট  এমন সব শৌখিন কেক দেখে কেটে খেতেও ইচ্ছা করে না মনে হয় তাদের না ছুঁয়ে, না ঘেঁটে দূর থেকে সৌন্দর্য উপভোগ করি। শৌখিনতার সাথে যেহেতু বিত্তবানের একটা সম্পর্ক আছে তাই বেশিরভাগ ব্রাজিলিয়ানরা নিজের সাধ্যমত  বাড়িতেই কেক বানায় যাকে বলে  পানেতোনি। আড়ম্বরহীন  খুব সাধারণ কেক কিন্তু ভিতরে…

Read More

এথেনার দেশ—এথেন্সে

পায়ের তলায় সর্ষে চলল ভোলা রইলো ঝোলা এই ভেবে বেরিয়ে পড়তে পারলে আর কোনো চিন্তাই থাকে না। ডেস্টিনেশন গ্রীস ও টার্কি। মার্চ মাসের কোনো এক সন্ধ্যায় অফিস থেকে বাড়ি  ফিরছিলাম, অটোয় বসে অনন্ত অপেক্ষা অন্য যাত্রীদের জন্য। বসন্ত নেমে আসা হলুদ হ্যালোজেনের আলোর সাদার্ন এভিনিউ, কাছের বন্ধুরা যে যার মতো বেড়াতে গেছে, কোনো পিছুটান না রেখেই আমিও মাথার মধ্যে প্ল্যান বানাতে থাকলাম। দু তিন বছর আগে আমি আর অদ্রীশ ভেবেছিলাম যাব, আমাদের সেই অসম্পূর্ণ ইচ্ছের বাস্তব রূপ দিতে। পৃথিবীর ইতিহাসের আদিতম রূপকে চিনে নিতে। লিস্টে ছিল রোম, গ্রীস আর ইজিপ্ট।…

Read More

গন্তব্য এখন উরুগুয়াই

প্লাতা নদী – ছলাৎ ছলাৎ জলের শব্দে মাতোয়ারা চারিদিক। জলের আওয়াজ কোথা থেকে শুরু, কোথায় শেষ কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। দৃশ্যের পর দৃশ্য জুড়ে ধু ধু অন্ধকার। অন্ধকারের অন্তরঙ্গ থেকে ফুটে উঠেছে রঙ বেরঙের কতগুলি আলোর বিন্দু। কখনও তা উজ্জ্বল আবার কখনও ঝাপসা। অনেকটা বেশি পাওয়ারের চশমা পড়লে যেমন দেখতে পাই। প্লাতা নদীর ধার বরাবর রয়েছে কাঠের রাস্তা। আমার পা ফেলার আওয়াজ ছলাৎছলাৎ শব্দের সাথে মিশে যাচ্ছে। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে , চোখ গোল্লা গোল্লা পাকিয়ে, ঈষৎ ঝুঁকে, দেখে নিলাম, কাঠের তক্তার নীচে কি আছে ? যদি ভেঙ্গে যায় কোথায় গিয়ে…

Read More