যা-তা খাতার পাতা আমার একটা প্রিয় খাতা আছে বহুদিন। মোটা কাগজের বেশ মোটা একটা খাতা। আমি বলি ‘কাঁচামালের খাতা’, কখনোবা ভালোবেসে ‘যা-তা খাতা’। মশকরা করি হিন্দিতে, “ইয়ে খাতা যা-তা চীজ খাতা হ্যায়” আর যখন যা মনে হয়, তখন তাই-ই সে খাতায়। খায়ও সে । ফলত তার পাতাগুলো বদলে যায়, প্রায়শই। এক ছবি হতে হতে কেউ হয়ে যায় অন্য আরেক ছবি। একটা ক্ষুদ্র সম্ভাবনার দাগ নিয়ে কেউ একা পড়ে থাকে অনেক মাস ও বছর। কেউ কেউ চলে যায় অন্য মাধ্যমে, সংসার পাতে। কেউ ছিঁড়ে যায়। ক্কচিৎ হারিয়ে গ্যাছে এই ভাবে যত্নে…
Read Moreশমিত রায়
শমিত রায় - নব্বইয়ের দশকে উত্তর কলকাতার হামাগুড়ি থেকে পিঠে চাইনিজ পেনে আঁকা ডানা গ্রাফিক্সে বদলে নিয়ে উড়ে গেছিলেন দূরবর্তী নগরে। শিকড় ভেবে সঙ্গে নিয়েছিলেন দু’একটি সাহিত্যের ক্লাসঘর আর ফেলে দেওয়া কবিতাসমূহ। নানা ঘাটের নানাবিধ জল ও বাতাস খেয়ে এখন এক পণ্যচিহ্নের রাখাল। নিজের আধখাওয়া সময়ে অ্যানালগ আর ডিজিটালের মাঝে বাঁধা এক অদৃশ্য দড়ি বেয়ে যাতায়াত করেন এ পাড়া থেকে ও পাড়ায়; দত্তক নেন রেখা ও অক্ষরের অনাথ সন্তানদের। শব্দের শবটুকু রেখে কেটে ফেলা দ থেকে দৃশ্য বানাতে থাকেন। ভাবেন ইতিহাস লিপিবদ্ধ করছেন আগামী এক লিপিহীন সময়ের।