না ঘুমোলেই হত। এখন মরে গিয়ে মনে হচ্ছে, না ঘুমোলেই হত। জেগে থাকলে টের পাওয়া যেত, হয়তো, মরছি। তাতের লাভের লাভ এই হত যে, হ্যাঁ, এটা তো ঠিক যে গোছগাছের তো কিছু থাকে না; কিন্তু ওই, ঘুমনোর আগে পাখাটা চালিয়ে দিয়ে যাওয়ার সময়ে ঝুনুবউকে একটু ডেকে বসানো যেত। যদি এরকমটা হত, তাহলে খুরশেদ ঘুমের মধ্যে নয়, ঝুনুবউকে দেখতে দেখতেই মরত। কী এমন হত আর একটা বেলা না ঘুমোলে। না ঘুমোলেই হত। এখন মরে যাওয়ার পর, ঝুনুবউকে ভাবলে, মনে হচ্ছে, অনিডা কিংবা সন্তোষের শাদা-কালো পোর্টেবল টিভিতে দেখা ছেলেবেলার রোদ যেন। দেখছি…
Read Moreঅর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায়

জন্ম ঃ ১৯৮৫-র জুলাই। লেখক, অনুবাদক। পেশা ঃ গণমাধ্যমকর্মী। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সংবাদের সঙ্গে জড়িত। বিশ্বাস করেন, লেখা একটি বিষ নির্গতকরণ প্রক্রিয়া। না লিখলে বিষক্রিয়ায় মরে যেতে হত। প্রকাশিত গল্প সংকলন ঃ ডি মেজর (২০১৬), উপন্যাস ঃ বঙ্কিমচন্দ্র (২০১৭), নভেলেট ঃ মরণ-অন্তরালে (২০১৮)। ভালোবাসেন বাজার করতে, রাঁধতে এবং ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত।