আমাদিগের চক্ষুলজ্জা নাই। দয়িত আলোয় যে অশ্রুকণার দপদপা তাহা গড়াইয়া পড়িলে উৎপন্ন হয় শব্দগুচ্ছ। উহার না আছে আঁধার, না আছে অতল। অক্ষর ছিন্নবস্ত্রা হেতু আপোষে বহন করিতেছে শুধুমাত্র অর্থ; তাও গুটিকতক। ফলত স্নানরতা রাজিয়াকে ‘সুলতানা’ উপাধিতে ভূষিত করিয়া রাবেয়া ভাবিতেছিল ইয়ার্কি। ঠেঁস। যাহার গঠন নভিস নিবন্ধের মতো শীর্ণ, টীকা ও টিপ্পনী নাই; ফলত স্নানঘরে জলের শব্দছটায় সে অনুমান করিতে পারে মাই-এর কাঠামোতে কুঞ্চিত চামড়ার ব্যাভিচার, দুই কুড়ি পেরোয়নি এখনো, ইতোমধ্যে কাষ্ঠ – জলকণা গাত্রে আটকাইয়া যায়, যেন বা বনস্পতির কাণ্ডে পিপিলিকার সারিবব্ধ গমন; ফাটাফাটা রোঁয়া ওঠা সোয়েটার যেমন…
Read Moreসাদিক হোসেন
সাদিক হোসেনের জন্ম ১১ই ডিসেম্বর, ১৯৮১। মহেশতলা অঞ্চলে। পেশায় গ্রাফিক ডিজাইনার। প্রকাশিত বইপত্র – দেবতা ও পশুপাখি ( কবিতা, ২০০৭ ), সম্মোহন ( ছোট গল্প, ২০০৯ ), মোমেন ও মোমেনা ( উপন্যাস, ২০১০ ), গিয়াস আলির প্রেম ও তার নিজস্ব সময় ( ছোট গল্প, ২০১৩ ), রিফিউজি ক্যাম্প ( ছোট গল্প, ২০১৭ )। ‘সম্মোহন’ এর জন্য ২০১২ সালে পেয়েছেন সাহিত্য অকাদেমি যুব পুরস্কার।
সংকেত
দুনিয়া যখন দশদিন ধরে টানা কেঁপে উঠছে – সেই সময় এইরকম ভুলভ্রান্তি করা কি আদৌ মাফযোগ্য? রতন বারুই রোজ সকালে যা করে, আজও তা-ই করল, প্রথমে জানলাটা ফাঁক করে চোরের মত দোকানটার দিকে ঠায় তাকিয়ে থাকল, তারপর ভেতর ভেতর টেনশানে ক্ষয়ে গেল। গতরাতে ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল। দোকানটার সাইনবোর্ড তাতে হেলে গেলেও বৃষ্টিজলে ধুয়ে খানিকটা সাফসুতরো হয়েছে। ফলে হলুদের উপর লাল রঙ দিয়ে ‘মহম্মদ আলি, এল এল বি’ লেখাটা প্রায় নতুনের মত জ্বলজ্বল করছে। রতন বারুই আর একবার চারপাশটা দেখে নিতে চাইল। কোথাও কোন সন্দেহজনক কিছু ঘটেছে কিনা তা তার জেনে রাখা…
Read More