গৌতম সেনগুপ্ত

অপেক্ষা

অপেক্ষা

হর্হে লুই বোর্হেস

অনুবাদ : গৌতম  সেনগুপ্ত

অনুবাদকের কথা :

[ ১৯৪৯ এ  দি আলেফ বলে বোর্হেসের গল্প গ্রন্থের লা এস্পারা গল্পটি এন্দ্ড্র ু হার্লি ইংরিজিতে অনুবাদ করেন দ্য ওয়েটমে  ।এটা তারই তরজমা ।

বোর্হেসের জন্ম ২৪ অগাস্ট ১৮৯৯ বুয়েন্স এয়ার্সে ,মৃত্যু জুন ১৪ ১৯৮৬ ভিয়েনায় । ছোটবেলা থেকেই চোখের সমস্যা ,শেষ জীবনে প্রায় অন্ধ হয়ে যান ।গল্প ছাড়াও লিখেছেন অজস্র কবিতা, প্রবন্ধ ।অনুবাদ করেছেন একাধিক ধ্রুপদী সাহিত্যের ।

আর্জেন্টিনার লোক হলেও বোর্হেসের লেখার সঙ্গে ল্যাটিন আমেরিকান ঘরানার কোনও মিল নেই । প্রায় সবসময়ই তাঁর লেখার বিষয় বই ,পুরনো বই ,বইয়ের ছেঁড়া পাতা । হামেশাই গল্পের মধ্যে ঢু কে পড়ে  গল্প ।

এখনও অবধি  যা লিখলাম  বোর্হেস অনুরাগীদের  সকলেরই জানা ।তাই পুরস্কার ইত্যাদির  তালিকায় না ঢুকে আমি বরঞ্চ বোর্হেসের জীবনের একটা বিশেষ দিনের কথা বলি ।মনে হয় বোর্হেসের লেখা যাঁরা পছন্দ করেন তাঁদের মজা লাগতে পারে ।

২৭-১১-১৯৬৫ ,নিজের ছোট্ট পড়ার ঘরে অস্থির পায়চারি করছেন বোর্হেস । ৬৬ বছরের বিশিষ্ট বিদ্যাবিশারদটি আজ বড়ই বেহাল ,বেচাল ,ব্যাজার ,ব্যাকুল,ব্যথিত ।সারারাত  চোখের পাতা এক করতে পারেন ।কি করে পারবেন ? তাঁকে না করে দিয়ে ছে মারিয়া । হোক হাঁটুর বয়েসি কিন্তু তিনি তো  বোর্হেস ,জানেমানে লেখক বোর্হেস ।তাঁর মতো পন্ডিত ,সাহিত্যবোদ্ধা পৃথিবীতে কজন ?

অনেক ভেবে ঠিক করেছেন তলস্তয়ের ফাদার সিয়ের্গির মতো আঙুল নয় একটা দাঁত উড়িয়ে দেবেন ।কিন্তু  তাঁর মতো প্রায়ান্ধ প্রতিভাকে ,আধুনিকতার প্রায় শেষ মোহিকানকে ফিরিয়ে দিয়েছে তিন –তিনজন ডেন্টিস্ট । ডাক্তারি কারণ ছাড়া সুস্থ ,সবল দাঁত তোলা নাকি তাদের এথিকস্ এর বাইরে ।

এথিকস্ ! দেশ কে দেশ অকারণ উজাড় হয়ে যাচ্ছে আর ব্যাটাদের যত এথিকস্ কিনা এসে ঠেকেছে দাঁতে ! অনেক ভেবে ভক্ত স্যামের কথা মনে পড়ে ।বছরখানেক হল ডেন্টিস্ট হয়েছে ।তাকেই খবর দিলেন ।তারপর আর কি, সে এসে  চেম্বারে নিয়ে নিচের পাটির (শেষ থেকে )৩ নম্বর দাঁতটা তুলে  পৌঁছে দিল বাড়িতে ।ওই সময়ের তীব্র ,তেতো মত্ততা চারিয়ে যায় ১৯৬৪ তে বেরনো কাব্যগ্রন্থের ১৯৬৬ র সংস্করণে । El oltro elmismoর অংশে যুক্ত হয় ১৯৬৫ নামের ২-২ টো তমসাচ্ছন্ন সনেট।যার ধ্রুপদী খেদক্তিগুলো (উদাহরণ হিসেবে যার একটার  প্রথম লাইনটা তুলে দিলাম )  আমার  বিবেচনায়  সাহিত্যের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। The world is no longer magical by –today you have only /The faithful memory and empty days.]

 

দূরপাল্লার লাক্সারি বাসটা নামিয়ে দিল শহরের এক্কেবারে উত্তরে, ৪০০৪ নম্বর বাড়ির সামনে, তখন ৯টাও বাজে নি। সারিসারি গাছগুলোর গায়ের দাগ, জমে থাকা জঞ্জাল, বারান্দাওলা ভদ্দরলোকের বাড়ি, ওষুধের দোকান, রং আর লোহার দোকানের নোংরা জাল, সবমিলিয়ে  দিব্যি লাগলো। জানলা ভাঙ্গা হা। সপাতালের লম্বা পাঁচিল ওইপাশের ফুটপাতটাকে পুরো ঢেকে দিয়েছে । অর্কিড হাউসের কাচে ধাক্কা খেয়ে সূর্য নেমে আসছে নীচে। এগুলো (একইসঙ্গে  এলোমেলো, একটার সঙ্গে একটার কোনো যোগ নেই, ঠিক যেমনটা স্বপ্নে হয়। ) সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চয় চেনাজানা হয়ে যাবে, বিশেষ করে যেগুলো দরকারী সেগুলোর সঙ্গে

ওষুধের দোকানের জানলায় লেখা “ব্রেসলাউয়ের”ইহুদিরা ইটালিয়ানদের তাড়িয়েছিল, ইটালিয়ানরা এখানকার বাসিন্দাদের। ব্যাবস্থা ভালোই, লোকটা ভাবে। আসলে নিজের জাতের লোকেদের সঙ্গে সে একেবারেই মেলামেশা করতে চায় না।

ড্রাইভারের সঙ্গে  ট্রাঙ্কটা নামালো। তারপর বেশ কিছুক্ষণ ধাক্কাধাক্কির পর দরজা খুলল ক্লান্ত বা আনমনা চেহারার এক মহিলা। এরমধ্যে ড্রাইভার নিজের জায়গা  থেকে উঠে তার দেওয়া ২টো কয়েনের ১টা ফেরত দিল। এটা উরুগুয়ের ২ সেন্টোভা,  মেলোর হোটেলের ওই রাত থেকেই  পকেটে ছিল। লোকটা ৪০ সেন্টোভা দিয়ে ভাবে এখনই এমন কিছু করতে হবে যাতে ভুল ২টো এখনই ঢাকা পড়ে। প্রথমত বিদেশি কয়েন দিয়েছি। তারপর তা নিয়ে লোকটার সামনে এমন ভাব করেছি  যেন একটা ভীষণ ব্যাপার।

লম্বা দেউড়ি পেরিয়ে মহিলার পেছন পেছন সে গেল। তার ঘর ১ নম্বর চাতালের পর, ২ নম্বর চাতালের আগে। লোহার খাটের নকশাগুলো চটে গিয়ে আঙুরখেতের চেহারা নিয়েছে। একধারে পাইনকাঠের ড্রয়ার দেওয়া আলনা, ছোট টেবিল। একটা বুকশেলফ যার নিচের তাকটা বইতে ঠাসা।

২টো বেমানান চেয়ার, বেসিন, বাটি, সাবানদানি সঙ্গে ১টা ঘষা কাচের ডিক্যান্টার। দেয়ালে ক্রশে বেঁধা যিশুর পাশে বুয়েনস এয়ারস্-এর নানা প্রদেশের ম্যাপ। দেয়ালটা গোলাপি কাগজে মোড়া। তাতে পেখম তোলা ময়ূর। একটাই দরজা,সামনে খোলা চাতাল।

ট্রাঙ্কটা রাখতে গিয়ে চেয়ারগুলো সরাতে হল। বোর্ডার হিসেবে এমন একটা ঘরে ঢুকতে পেরে  বেশ ভালোই লাগলো। মহিলা নাম জিগ্যেস করায় বললো, ভিয়েরি। না, কিছু লুকোনোর গোপন তারিকা বা পুরনো  অপমানের বদলা নেবে বলে নয়।

 এই নামটা তাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছিল। তাছাড়া ওই সময়ের মধ্যে  নতুন কোনো নামও  সে ভেবে উঠতে পারেনি। তবে 

 গপ্পো-উপন্যাসের মতো শ্ত্রর নাম নিজের বলে চালানোর মতো কোনো ভুল সাহিত্যচিন্তা তাকে কখনই পেড়ে ফেলে নি।

শুরু শুরুতে ভিলারি ঘর থেকে একদম বেরতো না। হপ্তা কয়েক পর সন্ধ্যের দিকে বেরোতে শুরু করে। এক রাতে তো তিন তিনটে রাস্তা পেরিয়ে ঢুকে পড়েছিল সিনেমা হলে।বরাবরই সে বসতো পেছন দিকে, পর্দা থেকে দূরে। বেরিয়ে আসতো শেষ হবার আগে।

অপরাধজগতের দুঃখের গল্পগুলোতে প্রচুর গরমিল থাকলেও এর বেশ কিছু তার পুরনো জীবনের সঙ্গে মিলেও যেত। যদিও ভিলারি এগুলোকে একেবারেই পাত্তা দিত না। বাস্তবের সঙ্গে শিল্পের দৈবী মিল সম্পর্কে তার কোনো ধারনা ছিল না। সে গোটাটা খুব মন দিয়ে দেখত। ভাল লাগানোর চেষ্টা করতো, বুঝতে চাইতো এইসব ফিল্মের উদ্দেশ্যটা কি?

পাঠকদের মতো ভিলারি নিজেকে কখনোই কোনো উপন্যাসের চরিত্র হিসেবে কল্পনা করে নি। চিঠি তো দূর, তার কাছে কখনো কোনো নোটিস-টোটিসও আসে নি। তবু কেন কে জানে কিসের আশায় কাগজের একটা বিশেষ বিভাগ সে রোজ সকালে পড়তো। বিকেলে গোমড়া মুখে চুমুক দিত মাতে-র গ্লাসে, তখন চোখ আটকে থাকতো উল্টোদিকের উঁচু দেওয়াল ঢাকা লতানো গাছগুলোর দিকে।

নিঃসঙ্গতা তাকে শিখিয়েছিল যে  স্মৃতিতে দিনগুলো সবসময় সমান হতে চায় অথচ তা  কখনোই সম্ভব নয়, তা সে জেলেই হোক বা হাসপাতালে। ওসব দিন চমকহীন, বিস্ময়ের ছিটেফোঁটা নেই। আগে, একা থাকার সময়, সে  দিনের হিসেব তো বটেই, এমনকি ঘন্টা গোনার লোভও সামলাতে পারতো না।

এবারের ব্যাপারটা অবশ্য একেবারেই অন্যরকম। এবারে  খবরের কাগজ পড়েই যেতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না অ্যালজেনড্রো ভিলারির মরার খবর না বেরয়। অবশ্য এমনও হতে পারে ভিলারি হয়তো এর মধ্যেই মরে গেছে আর তার এই জীবনটা স্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়।

এই চিন্তাটা বেশ প্যাচেঁ  ফেলে দেয় কারণ সে বুঝতেই পারে না এটা সৌভাগ্য না দূর্ভাগ্য। এটা একেবারেই আজগুবি, এটাকে ঝেড়ে ফেলাই  ভাল, সে নিজেকে বলে। পুরনো দিনের কথা  ভাবে। কোনভাবেই ফেরানো যায় না এমন কিছু ঘটনার জন্য, ততো পুরনো নয় এমন দিনগুলোকেও পুরনো মনে হয়। একসময় বহু কিছু করার জন্য সে সব কিছু  পণ রেখেছিল। বেশিরভাগ লোকই তার এই মরিয়া চেষ্টাকে ভীষণ অপছন্দ করত।যদিও কিছু মহিলা এটা বেশ পছন্দ করতেন। এখন তার কোনো চাহিদা নেই। কোনো কিছুর শেষ দেখতে সে চায় না। চায় সমস্ত কিছুকে মেনে নিতে। মাতে, কালচে তামাকের স্বাদ, চাতালের চারপাশে জমে থাকা ঘন ছায়ার রেখা__এগুলোই তাকে বাঁচিয়ে রাখে।

এই বাড়িতে একটা নেকড়ে-তাড়ানো ধেড়ে কুকুর আছে। তার সঙ্গে ভিলারির জোর দোস্তি। এর সঙ্গে হিস্পানি বা ইটালিয়ানে ভিলারি কথা বলে। কখনো সখনো ছোটবেলায় শোনা দু চারটে গ্রাম্য বুকনিও ঝাড়ে। স্মৃতিহীন বর্তমানের মধ্যে বাঁচার মরিয়া চেষ্টা চালায়। ফেলে  আসা সময়ের চেয়ে বর্তমান তার কাছে অনেক জরুরি। বেশ শক্তপোক্ত একটা বর্তমান।

একইসঙ্গে ভিলারি ভাবে পুরনো সময়টার সঙ্গে তার এক না একদিন দেখা হবে,হবেই। হালের সময়টা তার কাছে দ্রুত বদলানো অতীত ছাড়া কিছু নয়। এক এক সময় অবসাদও বেশ তৃপ্তিদায়ক। এরকম অবস্থাতেও সে কখনো কুকুরটার মতো জটিল হয়ে পড়ত না।

একরাতে দাঁত ব্যথায় ভেতর অবধি শুকিয়ে গেল। অসহ্য হাড়কাঁপানো যন্ত্রনাটা মাঝে মাঝে কমে, ২/৪ মিনিট বাদে ফিরে আসে ফের। ভোররাত অবধি এরকম চলার পর সকালে ক্যাব ডেকে গেল উনসেতে , ডেন্টিস্টের চেম্বারে। দাঁতটা তুলতে হোলো। তোলার সময় ভিলারি আর ৫টা লোকের মতোই ছটফট করেছিল তবে সে যে খুব ঘাবড়ে গেছিল এমন নয়।

কদিন পর নাইট শো দেখে বেরনোর সময় কেউ একটা ধাক্কা দিল । রাগে বিরক্তিতে বেশ কড়া করে একটা খিস্তি দিয়ে লোকটার মুখোমুখি হলো। লোকটা অবশ্য তখনই কাঁচুমাচু মুখে ক্ষমা চেয়ে নিল। দেখে লম্বা চুলো এক ছোকরা। বাড়ি ফিরে ভিলারি বারবার নিজেকে বোঝালো সে এদের চেনে না। যদিও এরপর ৪/৫ দিন সে বাড়ি থেকে বেরোয় নি।

তাকের বইগুলোর মধ্যে আন্ড্রেওলির ভাষ্য দেওয়া ডিভাইন কমেডি  ছিল। কৌতুহল তো ছিলই তার সঙ্গে একটা দায়িত্বের বোধও চেপে বসলো। ভিলারির মনে হল এইবার এই মহৎ সাহিত্য কর্মটি সে নির্ঘাত পড়ে ফেলবে। রোজ ডিনারের আগে ১টাকরে চ্যাপ্টার। ভাষ্যটাও পড়তে হবে খুব মন দিয়ে।

পড়তে পড়তে নরকের কোনো শাস্তিই খুব আজগুবি  বা বাড়াবাড়ি বলে মনে হয় নি। অবশ্য তখনো ভিলারি ভাবতেও পারে নি যে দান্তে তাকে নরকের শেষ চক্করে আসার পর দোষী সাব্যস্ত করবেন। মানে ওই সময়টায় যখন উগলিনোর দাঁত মোক্ষম কামড় বসাবে রুগ্ গিয়েরির ঘাড়ে।

দেয়ালের গোলাপি কাগজে বসানো ময়ূরগুলো রাখা আছে যেন বা দুঃস্বপ্ন দেখার জন্যই।ভিলারি অবশ্য জীবনে কখনো স্বপ্নে পাখিশুদ্ধু গাছ দেখে নি। শুধু ভোরের দিকে অনেকসময় একটা শব্দের মধ্যে ঢুকে পড়েছে আর একটা স্বপ্ন। বিষয় এক, শুধু  সামান্য বদল ঘটেছে পরিস্থিতির।

ভিলারি আর ২ টো লোক রিভ্লবার হাতে ঘরে ঢুকছে। বা, সিনেমা হল থেকে বেরনো মাত্র তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। ধীরে ধীরে ওরা সেই লোকটা হয়ে যাচ্ছে যে তাকে ধাক্কা মেরেছিল। কখনো তাকে চেনে না এরকম মুখ করে করে দাঁড়িয়ে  থাকে চাতালটায়।

স্বপ্নের শেষে বিছনার পাশের ড্রয়ার থেকে সে রিভলবারটা বার করে (সত্যি সত্যিই ওটা ওখানে ছিল ) চালাবে। তারপর ওই শব্দেই জেগে উঠবে। ফলে আর একটা স্বপ্নে ঢুকে লোকদুটোকৈ  খুন করতে হবে।

জুলাই মাসের কোনো ভোরে ,অচেনা যে লোকগুলো এসছিল (দরজা খোলার শব্দটা ও শুনতে পায় নি ) তাদের পায়ের শব্দে ওর ঘুম ভাঙে। ঘরের আধো অন্ধকারে ওদের ছায়ামূর্তির মতো লাগে। অথচ স্বপ্নে কিন্তু ওরা ছিল ভীষণরকম স্পষ্ট। ওরা ছিল স্থির শান্ত ও সতর্কভাবে তাকে দেখছিল। পিস্তলের ভারে বুজে আসছিল ভিলারির চোখ।

হয়তো পড়েই যেত  একটা লোক  ধরে ফেলে। সে অপেক্ষা করতে বলে পাশ ফিরে শোয়, ঘুমটা শেষ করবে বলে। এটা কি সে করে যারা খুন করতে  এসেছে তাদের মনে দয়ার উদ্রেক করবে বলে?  নাকি কোনো ঘটনা কল্পনা করা বা সেই ঘটনার জন্য অপেক্ষা করার চেয়ে যা ঘটছে তা সহ্য করা ছিল অনেক সহজ। নাকি সে ভেবেছিল এই ঘরে বহুবার ঘটে যাওয়া স্বপ্নের মতো এটাও একটা স্বপ্ন।

সে যখন স্বপ্নের ম্যাজিকে মশগুল ঠিক তখনই রিভলবারের গুলি তাকে চিরকালের মতো ঘুম পাড়িয়ে দেয়।

 

Facebook Comments

Related posts

Leave a Comment