অলীক
সব পেয়ে গেছ তবু আমার স্তব্ধতা তো পাও নি! এত এত চোখের ধু ধু, ভরা পেটে ভয় ধরিয়ে দেয় না? রাস্তায় হঠাৎ হরিধ্বনি , রিকশার পাশ ঘেঁষে চলে যায় নতুন কফিনবাহী পুরানা গাড়ি। নিশ্চয়ই নিশ্চই, কবরের শান্তিতে ছেয়ে যাবে জিন্দা লাশের চরাচর! যেতে যেতে এই রাস্তা কতটা ট্রেন্ডি, দেখা যাক আজ। স্মৃতির শাহেনশাহিতে বিস্মৃতিরও আছে অধিকার। দুনিয়ার দূর কোনও ক্যাফেতে আমার কথা মনে করে কে আর ০১ কাপ কফি বেশি ঢালে,বলো! পলকা কানে ভারী বোধ হয় কি কোনও আর বিকট আতশ?
খাঁ খাঁ এহেন সন্ধ্যায় এমন হেরে যাওয়া শহরের
গ্লানি মুড়ে যায় রশিদ খাঁর জানাজায়…
সংবিধিবদ্ধ
কাছেই সাগর
আমি আগুন-টলটল
যাব না
আমি নামলে
সমুদ্র পুড়ে যেতে পারে
ডিসেম্বরের ০১টা দিন
অস্তমিত অঘ্রাণে যা যা আলট্রাভায়োলেট নাশতার আগে না পরে গোসল গিজারের মেহনত সব ধুয়েমুছে বেদখল রাস্তায় রূপকথার ধূলা ছুঁয়ে অল দোজ আফটারনুন কাফকার লাশে আগরবাতি জ্বেলে লেবুর রসে মন চুবিয়ে বিকালের বোঁটা-চোষা বদমাশ দাঁত লংমার্চ করতে করতে হে আমার ঘৃণিতা তোমার গাউনের আশেপাশে ঘাঁটি গেড়ে কুয়াশার কেল্লাফতে রতিরাষ্ট্র করে দেওয়া অযৌন আত্মার শীঘ্রপতন রোধ করার বেলা বয়ে যাওয়ার আ গেআগে প্রায় ৪০ ডিসেম্বরের মৃতদেহ মাড়িয়ে এখনও আমার ভাঙচুর অটুট আছে ভাঙা ভাঙা আমারই ভিত্তিভগ্নস্তূপে!
উচ্ছন্নে
নভেম্বরের কমজোর সন্ধ্যা
আসন্ন ফুলের সম্ভাবনাগুলো
গার্বেজ হতে গিয়ে
২০২৩-এর বাংলা কবিতায়
যেসব শব্দ ব্যবহার করা উচিত না
সেইসব হাস্যাস্পদকে
‘বুকে আয় ভাই’ বলে
আমি
তোমার ঝুরিনামা চোখে ছুঁড়ে মারতে আগ্রহী
কচি কচি অন্ধ সুবাস
প্রবাহ
ঝরে গেছি
ডাল থেকে
তুমি গাছ হয়ে
দাঁড়িয়ে থেকে
মজা দ্যাখো
দেখতেই থাকো
শত শত শীতকাল ধরে
দুনিয়ার দেশে দেশে
হারানো উইন্টারে
ঝরে গিয়ে
আমি তো নির্ভার
কখনও কোথাও থেকে
ঝরে যাওয়ার
আনন্দ অপার
কিন্তু
আমার
ঝরে যাওয়ার
কঠিন ভার
তুমি গাছ হয়ে
পারবে তো
কোমল কাঁধে
বহন করতে
আসন্ন
শত শীতে
দুনিয়ার দেশে দেশে
হারানো উইন্টারে?
তুমুল
আবার কেন হালকা হিমহাওয়া!
হেমন্তের ইত্যাদি লুতুপুতুর আগেই তো
ভালো বেসেছিলাম
ঘৃণা বেসেছিলাম,
ভাদ্রমাসের কুকুর;
হে তোমার বসার ভঙ্গির দিকে হেলে পড়া
না-ন্যাতানো ঘেউভাষা
রোদে ভেজাভাজা
টানটান জারি থাকা লালা
পরিস্থিতি
পাথরের ভেতর যে সমুদ্র শায়িত
তার গর্জনকে নস্যাৎ করে
স্তব্ধতাকে দেখেছি
তোমার চোখে মুকুলিত।
সেরেনিটি
এমন ০১টা ভাদ্র মাস খোঁপায় বেঁধে
পৃথিবী এখনও কীভাবে এতটা
তোমার ছায়ার সর্বনাম!