১ বিষাদ ভুলিয়ে দিচ্ছেন জীবন যেন তাকের আড়ালে রাখা ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ ধুলো ঝেড়ে নাম লেখাচ্ছে হিজড়েদের দলে আর পাড়ায় জমছে অশান্তিতুতো হ্যান্ডসামরা যেদিকে তাকাই শুধু ধূ-ধূ শরীর যত্নআত্তি না পেয়ে ক্রমশ শরীর শুকোচ্ছে মন রয়ে যাচ্ছে মনে দ্রুত ব্যস্ততায় হাতে সময় থাকছে না মানুষ মানুষকে ভালোবাসছে না আর ২ বর্ণময় অতীতের কাছে ফেলে আসছি ঘুম জীবদ্দশায় আর কোনো অশান্তি থাকছে না তোমার স্পর্ধার গায়ে এঁকে দিচ্ছি কালচিহ্ন অকস্মাৎ শরীরে ক্ষয় হৃদয়ে জলজ ডানার আর্তি এ নশ্বর দেহ তোমায় উৎসর্গ করে যাব হে ক্ষণকাল, হে পরাগমিলন …
Read Moreসুমন সাধু
সুমন সাধুর কবিতাগুচ্ছ
হাউ আগলি ইউ আর অভ্যাস ভেবে দু’হাতে বড়ো যত্ন করে তোমাকে সরাই। যার একটি হাত ‘শাস্তি’ গল্পের ‘মরণ’-এর মতো নিষ্পাপ। আর একটি ঋতুস্রাব মাসিক ঘোচায়। এখানে অল্পের চেয়েও দামী মাঘ মাস। বুকের কলিজায় লেখা এক মাঘে তো শীত যায় না। কত কত মাঘ গেল। মৃতপ্রায় হয়ে ঘুমিয়ে রইলে। ভেজা ডানা শুকোতে শুকোতে তোমার ছটফটানি। এ কথা মেনে নিলে তোমার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে না। বরং চলো, আরেকবার ডানা ছাঁটি। তোমাকে সরিয়ে ফেলি— যত্নে— যন্ত্রণায়। স্ট্রেঞ্জ কাপল ফ্রিদাকে দেখেছিলাম দরবেশে যুদ্ধ চলাকালীন। মাথায় গোলাপি ফুল। আঙুলে বাহারি আংটি। ঠোঁটে রক্তজবা।…
Read Moreসুমন সাধুর কবিতাগুচ্ছ
পৃথিবীর সাতরঙা মাছ আরেকটা কলকাতার হেরে যাওয়া দেখছি আমি। শহীদ মিনার থেকে দেখছি উড়ে চলেছেন প্রেমিক যুগল, ডানা ঝাপটানোয় সামান্য আদানপ্রদান। নাগরিক ম্যানহোল জার্নি, তাতে ডুবে যাওয়া হাসি- সবটাই খেয়ে নেবে রাত-বিছানা। আমরা ঘাঁটি ঘড়ির সেকেণ্ড কাঁটা- সময়োপযোগী বিফ রোলে বেশ ছটফটটি হয়ে তর্কে ওড়াই ধুলো, স্লোগানে হাঁটি আর মিছিলে বুজি ঠোঁট। ট্রান্স আর হিজড়াদের দেখি এক, তফাৎ মানিনা তাদের। স্বপ্ন? ধুস ধুস! যেদিকে মন চায় আমি সেদিকেই হুস। সটান চুমু খেয়ে জাপটে ধরে লজ্জা পাই, নাক লম্বা তাই গলাই। ধর্ম মানিনা, ঈশ্বর মানিনা, এ শহরের ভিড়ে আমরাই কালজয়ী, আমরাই…
Read More