সংযম পাল

সংযম পালের কবিতাগুচ্ছ

পুঞ্জ

১.

খুব ছোট রসের পাহাড়ে চড়লাম।
পড়ে গিয়ে হাড় গুঁড়ো হল।
ওঠার সময়ে বেশ যথাসাধ্য
মনে হয়েছিল।
উঠে গেলে পাথর আলগা লেগে গেল।
দুটো হাড় ভেঙেছে, অনেক
দাঁত খুঁজে এখনো পাইনি।
ছেঁড়া মাংস দিয়ে এইবার
বড় শক্ত পাহাড় বানাব।

২.

কেউ কাটবে, ভুল ধরিয়ে দেবে।
কেউ লালে মুখ চুবিয়ে দেবে।
এত জীবিতের মধ্যে আমার ভূতের ভাবনিধি
বিরক্তিই টেনে আনবে।
অতীত ও ভবিষ্যৎ জীবিতের দ্যাখার কথা না।
পুজো আর প্রেমের গীতিকাগুলো
অন্ধের হাসির মতো।
জীবিতের ওটাই প্রলাপ।

৩.

বলব না ভেবে কথা অনেক বলেছি।
বলে ফেলা ঝোঁকটা কবিতা।
জীবিত থাকার জন্য এরকম হয়।
বলতে গিয়ে টানগুলো প্যাঁচগুলো
সতর্ক বিশ্বাসগুলো (মিথ্যে বিশ্বাসগুলো)
ভাষাতেই পায়।
ভাষাটা শুধুই জল, বহুদিন ধরে বইছে, মূক
দীপক মন্ডল।

৪.

মানুষ সবাই এক, এরকম ভাবা আর
সম্ভব হল না।
দু’ইঞ্চি ছ’ইঞ্চি আর কখনো বা একফুট তারা
আকাশে বাগানে বসে
ছেলে আর মেয়ে সেজে আছে।
তাদের ফাইলে আমি কখনো একইঞ্চি আর
কখনো বা বারোইঞ্চি কীট প্রজাপতি।
বৈচিত্রে আনন্দ বেশ জাতীয় বিষাদ।

৫.

দলে থাকা লোকদের
আকাট ভেড়ার মতো লাগে।
তারা লোম দিয়ে দ্যায়
কারখানার মালিকের টাকার ইচ্ছেয়।
শ্রমিকেও কাজ পায়, ক্রেতারা আরাম।
দলে লাগা লোকদের
যথেষ্ট দরদী মনে হয়।

৬.

কত হাসি, দূরের পাহাড়ে।
কাছের এ জলাশয়ে হাসি।
সব যেন এখনো শিম্পাঞ্জি,
কিছু কাজ করতে পেরে হাসি শিখে গেছে।
দাঁত দ্যাখা যাচ্ছে আমারও।
কিন্তু সেটা শক্ত আর ক্যালসিয়াম নয়।
বৃষ্টি বা পেপারমিলে শেষ।
সে রাতে চমৎকার হইহই হল।
শ্রাদ্ধদিনে হাসির বাজার।

Facebook Comments

Related posts

Leave a Comment