বসন্ত উৎসব
আজ আকাশ রঙ করার দিন, হাওয়ায় নেশা মিশিয়ে দেবার দিন আজ, আজ পুরোনো পাতা পুড়িয়ে বর্ষার মেঘ তৈরি করার দিন, রাধাকান্ত আর গোপাল কে সিনেমার টিকিট কেটে দেবার দিন আজ, আজ তোমার গহন স্পন্দনে আতর ছড়ানোর দিন, পাগলের শরীর থেকে আজ ছেলেদের ঢেলে দেওয়া আলকাতরা সরানোর দিন, আজ গরম ভাতের থেকে মুছে দেওয়ার দিন সমস্ত রঙিন মস্করা।
নভেম্বরে
আক্রমণ করো দেখি রক্ত বিভাবরী,
আপাত কালো শূন্যময় আলোর ব্যাপারী
দু’একটি নক্ষত্র রেখে সান্ধ্য পিলসুজে
ভাবছ আলো ছড়িয়ে যাবে দুঃখ বুঝে বুঝে!
তুমি তো হিংস্র প্রাণী, তুমি তো সংযম
কখনো দেখাওনি মানে এত পরাক্রম
কয়েকটা হত্যা শুধু? অভিনিবেশ নয়!
এমনকি হতে পারে? এরকমই হয়!
আক্রমণ তীব্ৰ হোক, রক্তধারা আজ…
ঢেকে দিক শব্দের সমারূঢ় সাজ।
ইচ্ছাপত্র
অপ্রতিরোধ্য তোমার অস্বীকারের সামনে ক্রমাগত আমি খাড়া করছি একটা পরিত্যক্ত সভ্যতার জঞ্জাল। ওই সমস্ত আবাসস্থল, মনোহারি বিপণি, প্রমোদের ছাই আর পুড়ে যাওয়া খাদ্যের স্তূপে যে দংশনচিহ্ন আমি চাই সেগুলি তুমি লক্ষ্য করে যাও, লক্ষ্য করো একটি সুদীর্ঘ আল্পনা কেউ দিয়েই চলেছে আর আমি তার ধার ঘেঁষে গত কয়েক শতাব্দি হেঁটে শিল্পীর নাগাল পাচ্ছি না। কোথা থেকে ভেসে আসছে দগ্ধ চাঁপার গন্ধ! সম্ভবত সেখানে জলের শেষ…
গমের ক্ষেতের ভিতর যে বাঁশি ডেকে আনতো অজস্র ময়ূর, যে সঙ্গীত প্রার্থনা নয় তবু নাবিয়ে আনত স্বয়ং ঈশ্বর, যে ডাক কারো উদ্দেশ্যে নয় তবু সকলেই সাড়া দিয়ে উঠত একদিন… সে সব কোথায় চলেছে? তবে কি নদীরও বদল হল দেশ? দেশেরও বদল হল ভূমি? ভূমিরও রূপান্তরে জেগে উঠল এই গভীর উষ্ণ খাদ
ভাঙ্গাচোরা ধোঁয়াটে প্রান্তর!
আমি যে কল্পনার শেষ দেখবো বলে হেঁটে চলেছি ওই অর্পিত আনন্দ ছেড়ে… আমি চাই
তুমি তা লক্ষ্য কর কিছু।
ফটোশপ
আমাদের ফাঁকা পাতে কারসাজি করে
খাবার বসাচ্ছ! আমাদের চোখে –
মুখে আনন্দের স্বাদ!
যাদের জীবনে কোন শান্তি নেই তাদের আশেপাশে ছড়িয়ে দিচ্ছ হাসি!
যাদের শান্ত জীবন তাদের খাটের পাশে
কয়েক ফোঁটা রক্তের দাগ।
এসব বুঝতে পারি। তোমার নিয়ন্ত্রণে সব,
সব শব্দ, সব গন্ধ, শব…
দাও দেখি বোবার মুখে
তোমার অসংখ্য স্তুতি,
তোমার অযুত সংস্তব।