বাঁশের সাঁকোটি জলে ভেসে গেছে, ঘাটে এসে উবজো ভূত দাঁড়িয়ে রয়েছি একা একা- ঝুপসি অলক্ষ্মী পানা, শিকড়বিহীন সাদা স্রোত, শামুকখোলের মতো ভারী মেঘ; ‘আমি তবে যাই’ হঠাৎ জলের ঘুর বলে উঠল মালতীর ভাই। যা থেকে আমার নিজের কোনো অর্জন নেই তা আমি পড়ব কেন? কেন ফিরে যাই দেবারতি মিত্র-র মত কবির কাছে বার বার? কেননা তিনি তাঁর কবিতায় ও ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথায় যা দেন তা প্রচুর। অমোঘ। অজস্র। এই পোড়া দেশে একজন প্রকৃত ও মহৎ কবিকে চিনে নিতে অক্ষম পাঠককুলের কাছে তুলে ধরতে হয় কবির জীবনযাপন। প্রকৃত সাধক…
Read MoreCategory: মাইলফলক
ভেসে যায় নৌকো কোনখানে
১ কার সাথে কার কবে কোথায় প্রথম ও শেষ দেখা হবে, এসবই নাকি দৈবনির্ধারিত হয়ে থাকে। কে জানে, হয়তো আমরা এরকমই ভাবতে ভালোবাসি। কবিদম্পতি মণীন্দ্র গুপ্ত ও দেবারতি মিত্র-র সাথে এভাবেই একদিন আমার আলাপ হয়েছিল, এক শুভ লগ্নে। আশির দশকের শুরুতে জামশেদপুরে যখন কৌরব পত্রিকার সাথে আমি যুক্ত হয়েছি, মাঝে মাঝে ওঁদের কবিতাও পড়েছি, কিন্তু আলাপ ছিল না, স্বচক্ষে দেখাও হয়নি। ভাবলে আশ্চর্য লাগে, আরো অনেকগুলো বছর পিছিয়ে গেলে, ১৯৬২ সালে, যখন ওঁদের নামও শুনিনি, আমি তখন উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারে বাস থেকে নেমে পিঠে ব্যাগ নিয়ে রামধন মিত্র লেন…
Read Moreখুকি ও তার ভূতেরা
‘খুকু’ দেবারতি মিত্রের ডাকনাম। এ-তথ্য জানা গিয়েছে তাঁর ছোটবোন দেবার্চনা সরকারের সঙ্গে কথাবার্তায়। নিজের দিদির সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে দেবার্চনা জানাচ্ছেন: “…ওর ডাকনাম খুকু, তা কিন্তু শুধু বাবা-মায়ের কাছে নয়, বিশ্বজগতের কাছেও তাই। আমিও ওকে খুকু-ই বলি। আমাদের ভাইজিরাও এমনকী ওকে খুকু বলে। আজকের মানুষেরা নিজেকে প্রোজেক্ট করতে চায়, ও ঠিক উলটো।” ছোটবেলা থেকেই, থমকে যাওয়া, আত্মবিশ্বাসহীন, রক্তমাংসের দেবারতিকে এই কথাবার্তায় দেবার্চনা যে নৈর্ব্যক্তিকতার সঙ্গে উপস্থাপনা করেছেন, দেবারতির কবিতা পর্যালোচনার ক্ষেত্রে তা অপরিহার্য সহায়ক হয়ে উঠবে ভবিষ্যতে। যদিও আপাতত এই নিবন্ধের মুখপাতে দেবারতির ডাকনাম সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে যাওয়ার উদ্দেশ্য একটাই।…
Read MoreSelected Poems of Debarati Mitra
Translated from Bengali by Animikh Patra In the drawing room Our evening was a library. Friends are born as books this time – Aroma wafting through their bodies, They are black birds against white clouds: In the woods of Shami trees at night fire walks stumbling. My brother is a moth, He wanted to get inside the books repeatedly, Sisters were incense smoke wrapped in the leaves. And I am a glass almirah. Shadow of the southern hemisphere in the small room. In Paloma College No dust gathered this…
Read Moreদেবারতি মিত্র-র ১৫টি কবিতা
নির্বাচন: অরণি বসু ভূমিকা – অনিমিখ, দেবারতিদির দশটি কবিতা নির্বাচনের যে দায়িত্ব তুমি আমাকে দিয়েছিলে এবং আমি সেই প্রস্তাব সাগ্রহে গ্রহণ করেছিলাম, কাজটি করতে বসে বুঝলাম দেবারতি মিত্রের মত একজন কবির অসামান্য সব কবিতার মধ্যে থেকে দশটি কবিতা নির্বাচন করতে যাওয়ার চেষ্টা করাও অপচেষ্টা মাত্র। বাছাই প্রক্রিয়া থেকে কবিতাসমগ্রের কবিতা প্রথমেই বাদ দিলাম। কবিতাসমগ্র প্রকাশের পরবর্তীকালের গ্রন্থিত ও অগ্রন্থিত কবিতাবলীর মধ্যে থেকে দশটি নয় পনেরটি কবিতা আমি নির্বাচন করলাম। দেবারতি মিত্রের সমগ্র কবিতাবলীর বিচারে আমার পছন্দসই কবিতার তালিকার প্রেক্ষাপটে এই নির্বাচন হিমশৈলের চূড়ামাত্র। তবুও আমার নির্বাচন পাঠকের পছন্দ স্পর্শ করতে…
Read Moreআমার আর কিছুই ভাল লাগে না
লোহার গেট ঠেলে আমার লাল সাইকেলটা সিড়ির পাশে রাখার পর উঠতে শুরু করলাম। অদ্ভুত সেই সিড়ি, তার চেয়েও অদ্ভুত উত্তরণ। পাতলা ধাপ। অন্যান্য সিড়িতে ওপরে ওঠার অভিজ্ঞতায় বড় করে পা ফেলার অভ্যাস এখানে কাজে লাগিয়ে ভুল হল। ঠিক পদক্ষেপ ভুলদিকে চালিত করে খাওয়াল হোঁচট। কারণ, পা ততক্ষণে ভেবে নিয়েছিল জমিতে সে পৌঁছে গিয়েছে। এবং দেহের সমস্ত ভর সামনের দিকে ঝুঁকে সেই পায়ে পৌঁছল, আর অতঃপর পাতালপ্রবেশের মতো অনুভূতি। আরও কয়েকবার এমন হওয়ার পর, মনে হল, বয়ে যাচ্ছি। বয়ে যেতে যেতে বেশ কয়েকবার এ দরজা, ও দরজা। ব্যাঙ্কের লকগেট। পড়শির…
Read Moreদেবারতি মিত্রের কবিতারা : তোলপাড় সমুদ্র আর ধূ ধূ সমুদ্রকে নিয়ে …
এক . এক একটা ভোরের স্বপ্নে জলে বুদ্বুদ ভাঙতে ভাঙতে গান নিজেই উজানে বৈঠা ভাসিয়ে দেয় | এই গান কেমন যেন ভূতে পাওয়া। সে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে গাইছে, ওগো মেঘ তুমি উড়ে যাও কোন ঠিকানায় ? কে তোমায় নিয়ে যায় দূর অজানায়,বলোনা আমায় ওগো মেঘ তুমি উড়ে যাও কোন ঠিকানায় ? আমি নই সে বিরহী আমার কাউকে বলার কিছু নেই তবু যেন কি বেদনা জমে উঠে হৃদয়ে মনে হয় আমার কেউ কেন নেই ঐ অলকায় ওগো মেঘ তুমি উড়ে যাও কোন ঠিকানায় ? আমি ঘুমের ঘোরে দেখি, এক দেবী…
Read Moreমণীন্দ্র গুপ্ত, যোগিয়া বাড়ি ও দেবারতিদি
১১ জানুয়ারি ২০২৪ এর সকাল পেরিয়ে বেলা দশটার দিকে সমাজমাধ্যমে জানতে পারলাম,অন্ধ স্কুলে আর ঘন্টা বাজবে না।আমি তখন স্টেটবাসের মধ্যে, কর্মস্থলের দিকে রওনা হয়েছি।বসেছি জানলার ধারে।বাইরে তাকালাম।কাচের জানলার ভেতর দিয়ে চলমান জীবন চোখে পড়ল।এর আগে যে কোনোদিন দেখিনি তা নয়।তবে আজ একজন কবির মৃত্যুর পরে এই চলমান জীবন ,তার ছন্দ আমার চোখে অন্যভাবে ধরা দিল।অথচ এই কবি,দেবারতি মিত্রের লেখায় তো বহির্জগতের ঘাত প্রতিঘাত ঢুকে পড়েনি সেভাবে।বরাবরই অন্তর্মুখী।লাবণ্য ও বিষাদে মেশা সম্পর্কের খুঁটিনাটি নিয়ে জীবনের গভীর জটিল স্তর ফুটে থাকে তাঁর কবিতায়।তবে কবির মৃত্যুর পর এই ছুটন্ত বাস-ট্যাক্সি মোটরবাইক, গতিময় চাকার…
Read Moreনীরব কেটলিতে ফুটে চলে জল আর শব্দ
অক্ষর যেখানে সতত সচল, দৈনন্দিনের তারে টানটান করে বাঁধা, সেখানেই নিভৃতে বেজে ওঠে তাঁর কবিতা। এক আটপৌরে গৃহস্থের মাঝেও কখনও রান্নাঘর, কখনও বা ছবির অ্যালবাম, কখনও আবার পুরনো পত্রিকার গন্ধ, নীরবতায় মুদ্রিত ষাটের দশকের এই নিভৃতবাসিনীর আত্মকথা। কী নির্ভার অথচ অমোঘ সেই সব কবিতা। পঞ্চাশের দশকের কবিদের ভাষা তখন সুপ্রতিষ্ঠিত, কবিতামঞ্চ সেজে উঠেছে পুরুষ কবিদের সশব্দ উচ্চারণে, তেমন সময়েই দেবারতি মিত্র এলেন তাঁর কবিতার সম্ভার নিয়ে। নারীর ভাষ্যে ফুটে উঠল তার যাপনের নানা সংলাপ, প্রেম-শরীর-যৌনতা যেন কবিতাশরীরে এক নতুন ছন্দ পেল, যেখানে কোনো রাখ-ঢাক নেই, নেই কোনো নিষেধাজ্ঞার ফতোয়া।…
Read Moreশিশির আজমের কবিতাগুচ্ছ
গোল্লা স্কুলের পরীক্ষায় রচনা লিখন এসেছিল ‘গরু’ আমি কিছুই লিখিনি টিচার আমায় গোল্লা দিয়েছিলেন আমি আদৌ ঘুমিয়ে ছিলাম না আর গরু বিষয়ে আমি জানি যদিও এখনো আমার মাথায় আসেনি টিচার আমায় গোল্লা দিলেন কেন গরু নিরীহ আর মহৎ একটা প্রাণি ওকে নিয়ে কী লিখবো আমি আচ্ছা আমাকে নিয়ে যদি রচনা লিখতে বলা হয় গরু কী লিখবে তাহলে টিচার ওকে কত নম্বর দেবেন ওই গরুকে না কি ও-ও পাবে আস্ত এক গোল্লা যে কথাটা বেমালুম চেপে যাওয়া হয় উয়ারী আর বটেশ্বর দুটো গ্রাম অথবা একটাই…
Read Moreফৌজি কওয়াল
(আজিজ মিঁয়া: ১৯৪২ – ২০০০) দৃশ্য ১: করাচির জৈনাব মার্কেট, আটের দশক। জুম্মার নামাজ শেষে কাওয়ালির আসরে ভিড় করেছেন কয়েকশ মানুষ৷ ‘কওল’ দিতে আসছেন আজিজ মিঁয়া, কওয়ালির ‘বেতাজ বাদশা’। তাঁর কওয়ালি শুনতে ভেঙে পড়েছে শহরের মানুষ। কিন্তু একি! কওয়ালির আসরে পুলিশ কেন? বিস্ময়ে সবাই দেখে, বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘিরে রেখেছে গোটা অঞ্চল, যেন কোনও যুদ্ধের প্রস্তুতি। তারাও বুঝি কওয়ালি শুনতে এসেছে! নাহ, সে রাতে পুলিশ এসেছিল পরিস্থিতি সামলাতে৷ আজিজ মিঁয়ার সুরের এমনই জাদু, লোকেরা পাগল হয়ে যায়, শুরু হয় মাতলামো, ভাঙচুর, চরম বিশৃঙ্খলা। সেই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি আটকাতেই পুলিশের আগমন।…
Read Moreব্লীডিং হার্ট
দুপুরের খাওয়া সেরে ইরার চোখে যখন ক্লান্ত দুপুরের আলস্য, সেই সময় পাঁচিলের ছায়া যতটুকু গড়ায়, বাগানের সীমানা সেইটুকুই । একচিলতে। একসময় আগাছায় ভরে ছিল, এখন সেখানে অনেক রং। ইরার হাতের নির্যাস থেকে এই রং ছড়িয়ে পড়েছে, এমনটা ভেবে ইরার বুকে একটা পাখি ডানা ঝাঁপটায় । যত গাছ লাগাতে চায়, ততো আর পারে কোথায়? অমূল্য বলে প্রতিটা গাছের বাড়ার জন্য একটা জায়গা ছাড়া চাই । শুধু তাই? সব গাছ সবার পাশে বাড়তেও চায় না দিদি। অমূল্যর নার্সারি আছে। সবুজপাতা নার্সারি, সেখান থেকেই চারা কেনে ইরা। সেটা কিরকম? শুধু আলো…
Read Moreকিস্যা কাহানি কা
‘ভাদ্র মাস যায় মিছে মিছে কথা না শুনে’ – এ জনশ্রুতি, জনসংস্কৃতি জনজীবনের এক খাঁটি আয়নার মতো। মিছে কথা। শুনতেই হয় ভাদ্রমাসে। তার মানে কি আশ্বিন থেকে শ্রাবণ সব সত্য কথা? অসত্য শুধুই ভাদ্র মাসে! মনে পড়ে ‘এ মাহ ভাদর এ ভরা বাদর? হ্যাঁ, ভাদ্রের ভরা বর্ষায় কাদা প্যাচপ্যাচে পথঘাট, টইটম্বুর মাঠপাথার। বুড়ি অঞ্জুমান বানু বলছিলেন এ সময় নদী বড়ো ফেঁপে ওঠে, পোয়াতির মতো ভরে যায়। সে সময় ছেলে-বুড়ো মেয়ে-মদ্দ সব ঘরবন্দী। কাজহীন নিস্তরঙ্গ জীবনে তখন রঙ্গরসিকতা, শোলোক-কাহানি, আলকাপ, কবিগান। মিছে কথা মানে গল্প কথা, কিস্যা, কাহানি… শোলোক বলা…
Read Moreটমাস ট্রান্সট্রোমারের কবিতা
বাংলা অনুবাদ: নান্নু মাহবুব অনুবাদকের কথা ভাষা রিয়েলিটিকে বর্ণনা করতে পারে না। তবু কবি নামের আলকেমিস্ট সেটাই করার চেষ্টা করেন। ট্রান্সট্রোমারের কবিতা সেই অসম্ভব প্রক্রিয়ার একটি সর্বোত্তম ফসল। সারাক্ষণই তিনি সেই দিগন্তে অবস্থান করেন, সারাক্ষণই তিনি ঝড়-জল-দুর্যোগ ঠেলে এগোতে থাকেন দূর সমুদ্রে অপেক্ষমাণ কাব্যদেবীর ক্যানভাসে অসম্ভব সেই ছবিটি আঁকবেন বলে। পাতালের অতলে তাঁর আত্মার ধূমকেতু ভেসে যায়। অসীম নির্জন আকাশে কান পেতে তিনি তারকাপুঞ্জের খুরাঘাত শোনেন। ২০১১ সালে ট্রান্সট্রোমারকে (১৯৩১-২০১৫) নোবেল পুরস্কার দেবার সময় নোবেল কমিটি লিখেছিল, “২০১১ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের প্রাপক তিনি, কারণ তিনি আমাদেরকে তাঁর ঘনবদ্ধ, স্বচ্ছ…
Read Moreবর্ণালী কোলের কবিতাগুচ্ছ
চন্দ্রের আকর্ষণ ও প্রহার ফসল জোয়ারের প্রবল জলস্রোত। চন্দ্রের আকর্ষণ ও প্রহার। ধুইয়ে দিয়ে গেছে। অজস্র নতুন পলি জমেছে আমার দেহে। অবিরাম ঢেউ শেষে উর্বর শস্যভূমির মতো জেগে আমার শরীর। আবাদ করো। মানচিত্র কথারা সব চুপ আর্তিরা চুপ কেন এটা হল, কেন,কেন ভুল বুঝেছ, সব অভিযোগ স্তব্ধ শীত রাত্রির মতো যেন রাতের সায়েন্স সিটি বুকের মধ্যে অজস্র স্পন্দন নিয়ে ঘুমে যেন অঘ্রানের মাঠ ফসল কাটার শব্দ নিয়ে নিদ্রিত যেন মহাকাশ থেকে দেখা রাতের পৃথিবী কয়েকটি আলোর অগ্রসর নিয়ে ঘুমিয়ে সম্পর্ক ইউরেনাস, নেপচুন গ্রহের মতো…
Read Moreপায়ে পায়ে ফ্রেঞ্চ আল্পস
ফ্রেঞ্চ আল্পস ১ : মর্জিনের পথে শুরুটা মোটেও সুখকর ছিলনা। বার্মিংহাম থেকে আমস্টারডাম হয়ে জেনিভা পৌঁছনোর কথা দুপুর দুটোর মধ্যে। সেখান থেকে বাসে করে মর্জিন (Morzine)। ফ্রান্স আর সুইজারল্যান্ডের সীমান্তে অবস্থিত মর্জিন ফ্রেঞ্চ আল্পস ঘেরা একটা ছোট্ট শহর । আমরা যাচ্ছি কয়েকদিন আল্পসকে এই প্রথম কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখার এবং চেনার আশায়। আল্পস হিমালয় নয়। অত সুউচ্চ পর্বত শিখরের দাবিও করে না। কিন্তু নিজের স্বমহিমায় পৃথিবীতে বিরাজ করছে। হিমালয় সৃষ্টির ২৫০ মিলিয়ন বছর আগে সৃষ্ট এই ভঙ্গিল পর্বতমালা দক্ষিণ ইউরোপের ফ্রান্স থেকে আলবেনিয়া অবধি ১২০০ কিলোমিটার জুড়ে বিরাজ করছে…
Read Moreহাসনাত শোয়েবের কবিতাগুচ্ছ
হারানো সন্তানদের জন্য প্রার্থনা ৩৭ পিটার বিকসেলের গল্প থেকেই বেরিয়ে এসেছিল সে বুড়ো। যে চেয়েছিল সব কিছুর নাম বদলে দিতে। ইতিহাসকে সে বদলে দিয়েছিল পৌরনীতিতে৷ তার গল্পে কবিরা হয়ে উঠেছিল সর্বনাশা জুডাস৷ রাজ্যের পর রাজ্য দখল করে নিয়েছিল তারা। হলদে পাখির গায়ে সে পরিয়েছিল কালাশনিকভের জামা। রোদকে সে ডাকত নমরুদ আর তার পৃথিবীতে যুদ্ধগুলো সব ছিল প্রার্থনা। ভাষার এই প্যাচে সে দেবদূতদেরও ফেলে দিয়েছিল বিভ্রান্তিতে৷ দুনিয়াজুড়ে স্থায়ী হতে শুরু করল নিপীড়কদের অত্যাচার। রাষ্ট্রের পর রাষ্ট্র আচ্ছাদিত হয়ে গেল বিষণ্ণ দেবদারু গাছে। হত্যা, যুদ্ধ, প্রতারণা, জিঘাংসা সবকিছুই লেখা…
Read Moreমণিশংকর বিশ্বাসের কবিতাগুচ্ছ
মুনমুন আপনার সঙ্গে আমার কখনও যৌনতা হয়নি হওয়া সম্ভবও ছিল না তবু আপনার সঙ্গে আমার যে কত যৌনস্মৃতি কত যে স্মৃতিকাতরতা! আপনার নামের ভিতর দু’ দু’বার ‘চাঁদ’ শব্দটা আছে সেটা আমি বুঝি ঠিক এভাবে: একটা ট্রেন টানেলের ভিতর ঢুকছে আর আলোয় ভরে উঠছে কামরার ভেতরটা তারপর ট্রেনটা যখন বাইরে বেরিয়ে আসছে বাইরেটা আবার আলোঝলমলে দুঃখ ২ ইমতিয়াজ মাহমুদ ভাই লিখেছেন, “অসুখী মানুষ যখন ঘুমায় তখনও তার চেহারায় দুঃখ জেগে থাকে।” এটা পড়েই আমার মনে পড়ল, মৃত্যুর পরে বাবার মুখখানা— বাবা যেন হাসছেন! মানুষ মরে গেলে তাহলে…
Read MoreFaces – Photography by Santanu Paul
দেবাঞ্জন দাসের কবিতাগুচ্ছ
ঐ পথ জন্মের ১. ঐ পথ জন্মের বলে বিকেল ছুঁয়ে অমল চিনেছে ওরা আলোর শিশুদের নাচে যখন মোরগ রঙ হল রক্ত হল মাংস থেকে ইমানের ছবি উঠেছিল আকাশে বলো, ভালো লাগছে না কাঁচের গুলিতে মিশে যাওয়া চোখ এই প্রসব দেখছে লাল হচ্ছে আঙুরের বিভ্রম… ২. না থেমে চলেছে মাঠ এ’ভাবে সব ভালো থাকা ঝরে শীতে এগুলো সত্যি হবে ভেবে ডিম থেকে পাখিরা ফেরে পাখনায় রাত হয় বিপাশার মুখে চাঁদ ওঠে ঝড়ের স্বপ্নে এক দ্রুত ফড়িং দেখি যেন শেষ পাফের কাশিতে এই পৃথিবীর যত শব্দ জল-জঙ্গল-যুদ্ধের যত…
Read More