কী সুন্দর নাম স্টেশনটার! কুন্তীঘাট! একটা নদী বয়ে যাচ্ছে গা ঘেঁষে। নদীতে ঘাট, ঘাটে বাঁধা নৌকো। এখানে নেমে পড়লে হয়। কিন্তু ইচ্ছে করলেই কি পৃথিবীর সব স্টেশনে নেমে পড়া যায়? সৃষ্টিধর যাচ্ছে এখন সমুদ্রগড়। পিসতুতো ভাইয়ের বাড়ি। সেখান থেকে নবদ্বীপ যাবে। ভাঙ্গা রাস দেখতে। ট্রেন চলতে শুরু করল। সৃষ্টিধরের হঠাৎ কী যে হল, একে ধাক্কা দিয়ে, ওকে গুঁতিয়ে সে নেমেই পড়ল কুন্তীঘাট। তার যদিও যাওয়ার কথা সমুদ্রগড়। সেখান থেকে নবদ্বীপ গিয়ে ভাঙ্গা রাস দেখবে, কিন্তু তার বয়সী একটা লোক ভাঙ্গা রাস দেখতে ভায়ের বাড়ি যাচ্ছে- এটা কেউ ভালভাবে নেবে না।…
Read MoreCategory: গদ্য প্রিজম
ঋত-এর পথে
প্রকাশনা জগতে ঋত পা রাখে ২০১৫ সাল। তখন নাম ছিল শুধুই ‘ঋত’। দলে ছিলাম আমরা তিনজন। আমি, সুমিতা সামন্ত এবং অন্য আরেক বন্ধু। ঠিক হয়েছিল ঋত প্রকাশ করবে শুধুমাত্র নানা বিষয়ের বই– কবিতা, গল্প, স্মৃতিকথা ইত্যাদি। আমাদের প্রথম প্রকাশিত বই নীলা দত্ত-এর স্মৃতিকথা ‘ছিন্নমূলের ডায়েরি’। চারফর্মার পেপারব্যাক বই। শুরু হল তুমুল উদ্যম। ওই একটি বই নিয়েই তখন কত ভাবনা। ধীরে ধীরে এগিয়ে এল বইপাড়ার বিপনন কেন্দ্রগুলি, বিশেষত দে’জ। স্থির হয়েছিল ঋত একবছর সময় হাতে নিয়ে বেশ কিছু বই প্রকাশ করবে, তারপর ২০১৭-র কলকাতা বইমেলায় পূর্ণমাত্রায় আত্মপ্রকাশ। উৎসাহ দিয়েছিলেন পাশে এসে…
Read Moreমৈমনশাহী উপাখ্যান – ৭
১২. বিপুল অবাক হয়ে শুনছিল অস্থির মিঞার কথা। অতীন হতবাক। বিপুলের মনে হলো এ সেই অথৈচন্দ্র, হাতিখেদা থেকে বেঁচে আছে এতকাল ধরে। তা না হয়ে হয় না। সুধীন্দ্রর কাহিনি আর অতীনের কাহিনি যেভাবে এক হয়ে যায়, ঠিক সেই ভাবে এর কাহিনি আরো কিছু উপাদান যোগ করে দিল মৈমনশাহী পালায়। অস্থির মিঞা বলছে সেই মেয়ে লীলাবতী না লীলাময়ীর রোষ ছিল খুব। তার মা জননী গারো পাহাড়ের মেয়ে, এই কংস নদীর ধারের এক বামুনের পোলার হাত ধরে নেমে আসে, তার ভিতরে পাহাড় ছিল। সেই কইন্যা ডাকসিল হস্তী, তুমু ঠিক বলতিস ? চন্দ্রকুমার…
Read Moreমৈমনশাহী উপাখ্যান – ৬
১০. বিপুল আছে অনেক পুরোন এক জেলা পরিষদ গেস্ট হাউসে। বাড়িটার চারদিকে নানান গাছ-গাছালি। রোদ এখানে ওঠে অনেক বেলায়। শীতের দিনে এমনিই চলে। গেস্ট হাউস বেজায় ঠান্ড, যাকে বলে হিম শীতল। একটি ঘরে চন্দ্রকুমার, অন্যটিতে বিপুল। গেস্ট হাউসে একজন কেয়ার টেকার আছে। যুবক। বিনু বৈরাগী। চাঁদবিনোদ বৈরাগী। বয়স বছর পঁচিশ। মোহনগঞ্জ হাওর এলাকায় বাড়ি। তার বাবা জেলা পরিষদে ডি-গ্রুপ কর্মচারী ছিল। বাবার মৃত্যুর পর সে চাকরিটা পেয়েছে, কিন্তু পার্মানেন্ট নয়। মাসে আট হাজার পায়। পাকা হয়ে গেলে মাইনে পনের হয়ে যাবে। কিন্তু কবে পাকা হবে জানে না। চন্দ্রকুমার বলল,…
Read Moreমৈমনশাহী উপাখ্যান – ৫
৮. হায় হায় কী কয় নতুন বৌ। কানে দিতে দিতে হাত কান অবধি পৌঁছায় না। কথায় বিষ হইলেও, তা বড় মিঠা। কচি মেয়ের মুখে এহেন কথা শুনে বড় মেজ, দুই বৌয়ের অবাক ভাব যায় না। ছোট বউ যেন গনগনে আগুন। এই বয়সে এমনই হয়। তাদের কুড়ি পেরিয়েছে। বুড়ি না হয়েও বুড়ি। বড়র তো তিরিশ হতে যায়। বড় একেবারের বুড়ি গিন্নি। মেজর তেজ বেশি, সে বলল, ও মা, মা, বুঝি নে, সবে তো একদিন, এক বাসর, তুই ওঁরে জাগাইয়া দে, না জাগাইলে যৈবন তুর কেমন সি যৈবন ! মু ও লকের…
Read Moreমৈমনশাহী উপাখ্যান – ৪
৭. লীলাবতী রাতে খায়নি। লীলাবতী ক্রুদ্ধ মারজারিকার মতো ফুঁসতে থাকে। হাত-পা ছুঁড়তে থাকে। লীলাবতী রাগ করে। লীলাবতী কাঁদে। তার সন্দেহ হচ্ছিল। তার জীবন নষ্ট করে দেবে বাবা শীতলচন্দ্র। মা খেত না। মা নীরবে কাজ করে যেত। লীলাবতীকে বলত, তার বাবা বলে পাহাড়িয়া বিবাহ করে পতিত হয়েছে, কুনকি। মা ছিল নাকি কুনকি। যে হস্তিনী ভুলিয়ে ভালিয়ে বন্য হস্তিকে গড়ে বন্দী করে ফেলে তার স্বাধীনতা হরণ করে। কুনকি হাতি তার বাবাকে ভুলিয়ে গড়ে বন্দী করেছে। মা মরলে ব্রাহ্মণের আবার উত্থান হবে। না খেয়ে খেয়ে মা রোগে পড়েছিল। সেই রোগেই মা মরে যায়।…
Read Moreমৈমনশাহী উপাখ্যান – ৩
৫. পাহাড় পিছিয়ে যেতে লাগল। কে কইসে পাহাড় পিছিয়ে গেছে ? কংস নদীর ওপারে যাও, একটু বাদে আর পাহাড় দেখা যাবে না। আগে দেখা যেত। মৈমনসিং নগর থেকেও দেখা যেত। এখন নেত্রকোনা থেকে দেখা যায় না। কিন্তু পাহাড় তো নিশ্চল। সে কী করে পিছিয়ে যায় ? তা কখনো হয়। এই যে তোমার ক্ষেত-জমি, তা তো তার জায়গাতেই থাকে। এই যে তোমার ভিটে-বাড়ি, তা কি মাইল মাইল দূরে চলে যায়। রাজার বাড়ি, রাজার বাড়ি তো রাজার বাড়িতেই থাকে। সেই যে কমলা সায়র, সে কি তার নিজের জায়গায় নেই? কংস নদী পার…
Read Moreনো রিফিউজাল নো অনার
আনন্দ সিনেমা হলের মুখের উল্টোদিকে, চোরাই জুতো বিক্রির গুটিয়ে থাকা দোকানগুলোর চোখের সামনে একটা কুণ্ডলী- সোৎসাহে ঝুঁকে পড়ে, বিবেচনাপ্রসূত হয়েই আশপাশের সন্দেহজনক পরিবেশ কুণ্ডলীটাকে একটা দুর্বোধ্য বৃত্ত হয়ে উঠতে যথাসম্ভব সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বৃত্তটার ঘনত্ব ক্রমশ বাড়ছে, বাড়ছে তাপমাত্রাও, পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করতে নিঃশ্বাসের চেয়ে মোক্ষম অস্ত্র আর কি-ই বা আছে? তবে ঘটনাটা ঠিক কী, তা আন্দাজের আওতায় পড়ছে না এখনও। ‘কিছু বুঝতে পারছেন?’ বৃত্তটাকে পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে সাহায্য করর একজোড়া বাটা স্যান্ডেলের দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বলে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ফুলহাতা শার্টের পকেট। পকেটের কাছে টাকা নেই, আছে একটি বলপয়েন্ট পেন,…
Read Moreনারীর কবিতা, মানুষের কবিতা
ভাবনা কোথা হতে আসে ! ভাবনারও নিশ্চয় প্রেক্ষাপট আছে , আর সে প্রেক্ষাপট ভিন্ন কবি কি লিখতে পারে ? কবির অন্তর্গত ক্ষরণ, বেদনা, হাহাকার, সুখানুভূতি ব্যতিত ভাবনার উদয় হয় কি! সেসব অনুভূতিসমূহের আন্দোলন ছাড়া তো ভাবনা আসে না। কবিতা কবির কাছে নৈঃশব্দ্য ধ্যানের এক নাম। সমস্ত যাপন থেকে ইচ্ছে পালানোর নাম। মেঘের ওড়া, বৃষ্টির ঝরেপড়া, পাতার মর্মর, ঘাসের ডগায় ফড়িঙের বসার ভঙিমা এসব চিরাচরিতের মাঝে নতুর রঙ এনে দেয়া এক হকিয়ার। কবিতা কবির একচিলতে উঠোন যেখানে ইচ্ছেমত পাতা ফেলা, নিকোনো, ঝাটপাট দেয়া, রোদ পোহানো, কিংবা জোছনা মেখে শুয়ে থাকা চলে।…
Read Moreমৈমনশাহী উপাখ্যান – ২
৩. ট্রেন রাত এগারটা পঞ্চাশে। বসেই যেতে হবে। সিটিং রিজারভেশন পেয়েছে তারা। না, স্লিপিং বার্থ খালি নেই। ইন্ডিয়ার মতো ট্রেনের ব্যবস্থা নয় এদেশে। হাওর-বাওর, নদী-নালার দেশ, ট্রেন লাইন বসানই কষ্টের। বছর বছর বন্যা। লাইন ভেসে যায়, উপড়ে যায় বন্যার জলের তোড়ে। আর বাস কোম্পানির কলকাঠি। ট্রেন হলে বাস বসে যাবে। তাদের ট্রেনের নাম হাওর এক্সপ্রেস। ঢাকা থেকে নেত্রকোনা হয়ে মোহনগঞ্জ যাবে। মোহনগঞ্জে হাওর আছে মস্ত, তা পেরিয়ে গেলে অবিভক্ত সিলেট জেলা। সুনামগঞ্জ। সুনামগঞ্জ নিজেই এখন জেলা হয়ে গেছে। চন্দ্রকুমার বলেছে, সন্ধে থেকে একটু ঘুমিয়ে নিন দাদা, রাত্তিরে ঘুম হবে…
Read Moreএক ধূসর অন্তহীন হাওয়া
যখন জানলেন মুখ থেকে বেরিয়ে আসা রক্তস্রোতের কারণ তাঁর যক্ষ্মারোগ, তখন প্রথম যে অনুভূতি হল কাফকার তা বিস্ময়ের। এই বিস্ময় তাঁকে যেন আস্তে আস্তে ফিরিয়ে নিয়ে গেল তাঁর শৈশবে আর অসুখই হয়ে উঠল যেন তাঁর মা। বন্ধু ম্যাক্স ব্রডকে লিখলেন, ‘In any case my attitude towards the tuberculosis today resembles that of a child clinging to the pleats of his mother’s skirts. If the disease came from my mother, the image fits even better.’ তাঁর মনে হলো যে নিঃসঙ্গতার ঘেরাটোপে ডুবে থাকা মা যেভাবে নিঃশব্দে তাঁর স্নেহ ভালোবাসা ও যত্নে…
Read Moreব্রাজিলের কেক, ব্রাজিলের মিষ্টি
ডিসেম্বর মাস পড়তেই ব্রাজিলে “কেকের রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়’ হয়ে উঠেছে। দোকানে রঙিন বাক্সতে মোড়া বাহারি কেকের পসরা চারিদিকে। কেকদের রাজত্বে বাকি সব কিছুই ঢাকা পড়ে যায়।কিছু কেক ছবির মত সুন্দর। সাদা বুড়ির চুল দিয়ে নকল বরফ, চিনি দিয়ে গোলাপ বা ভ্যান গগের স্টারি নাইট এমন সব শৌখিন কেক দেখে কেটে খেতেও ইচ্ছা করে না মনে হয় তাদের না ছুঁয়ে, না ঘেঁটে দূর থেকে সৌন্দর্য উপভোগ করি। শৌখিনতার সাথে যেহেতু বিত্তবানের একটা সম্পর্ক আছে তাই বেশিরভাগ ব্রাজিলিয়ানরা নিজের সাধ্যমত বাড়িতেই কেক বানায় যাকে বলে পানেতোনি। আড়ম্বরহীন খুব সাধারণ কেক কিন্তু ভিতরে…
Read Moreএথেনার দেশ—এথেন্সে
পায়ের তলায় সর্ষে চলল ভোলা রইলো ঝোলা এই ভেবে বেরিয়ে পড়তে পারলে আর কোনো চিন্তাই থাকে না। ডেস্টিনেশন গ্রীস ও টার্কি। মার্চ মাসের কোনো এক সন্ধ্যায় অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলাম, অটোয় বসে অনন্ত অপেক্ষা অন্য যাত্রীদের জন্য। বসন্ত নেমে আসা হলুদ হ্যালোজেনের আলোর সাদার্ন এভিনিউ, কাছের বন্ধুরা যে যার মতো বেড়াতে গেছে, কোনো পিছুটান না রেখেই আমিও মাথার মধ্যে প্ল্যান বানাতে থাকলাম। দু তিন বছর আগে আমি আর অদ্রীশ ভেবেছিলাম যাব, আমাদের সেই অসম্পূর্ণ ইচ্ছের বাস্তব রূপ দিতে। পৃথিবীর ইতিহাসের আদিতম রূপকে চিনে নিতে। লিস্টে ছিল রোম, গ্রীস আর ইজিপ্ট।…
Read Moreপিরিয়ড কথা-স্বাভাবিকতা বনাম রাজনৈতিক উদযাপন
আমি তেমন পরিবারেই বড় হয়েছি যেখানে মা প্রথম ঋতুদিনের আগে পর্যন্ত মেয়েকে ঋতুস্রাব সম্পর্কে কোনো কথা বলেন না৷ আমার প্রথম রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল ক্লাস সেভেনের গ্রীষ্মাবকাশে। মা বললেন, ‘এবার থেকে প্রতি মাসে এরকম হবে তিন-চার দিন। হলে আমায় বলবে। পেট ব্যথা হতে পারে। হাত পা যন্ত্রণাও। ঘাবড়ানোর কিছু নেই।’ যাবতীয় পারিবারিক যৌন-শিক্ষার এখানেই শুরু এবং শেষ। ‘মাসিক’ ছাড়া যৌনতার সঙ্গে সুদূর সম্পর্কযুক্ত আর কোনো বিষয়ে মা কোনোদিন আলোচনা করেছেন বলে মনে পড়েনা৷ আর সেই আলোচনাও এত অসম্পূর্ণ যে এরপর রাস্তাঘাটে হঠাৎ শুরু হলে কী করতে হবে, জামা নোংরা হলে কী…
Read More‘নবান্ন হইয়া গেল’
আমাদের কোনও নিজস্ব জমিজমা নেই। নেই সোনা সোনা মাটি কিংবা উগলে হীরে মোতি। আমরা যারা মফস্বলে বড় হয়েছি, শহরকে চেনার চেষ্টা ছিল খুব দূর থেকে। গ্রাম, আমাদের ফ্যান্টাসির পৃথিবীতে সেভাবে আসেনি। অগ্রহায়ণ। শ্রেষ্ঠ ধান্য। কেন শ্রেষ্ঠ? কেনই বা শ্রেষ্ঠ? আমাদের রোজ রাতে রুটি আর আখের গুড়ের পয়সা বাঁচানো নিম্ন মধ্যবিত্ততার ভেতর এসব প্রশ্ন হুমড়ি খেয়ে পড়ত। কারণ সন্ধে হলেই লোডশেডিং। আর অনেক দূরে স্টেশন পেরিয়ে দেখা টিমটিম আলোর গ্রামে ওদের বাড়িতেও সেভাবে আলো থাকত না। ওরা মানে যারা কাজ করে। বৈশাখ। বছরের শুরু। কেন? এত গরম, এত অজস্র দুর্যোগচিন্তার মাঝে…
Read Moreউই আর স্টিল ডেভেলপিং…
মাহেন্দ্রক্ষণ। মানে এ লেখা যখন লিখতে বসছি, ততক্ষণে বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তির উন্মোচনের পর কয়েক ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। ইতিমধ্যে উচ্চতা, বেড়, দৈর্ঘ্য, বানানোর উপকরণ, মোট খরচ, কত সময় লেগেছে ইত্যাদির ‘ভাইট্যাল’ স্ট্যাটিস্টিক্স মিডিয়ার কল্যাণে সকলেরই জানা হয়ে গিয়েছে। আপাতত শুধু খরচটাই প্রাসঙ্গিকতার দাবী রাখে। সূক্ষ হিসাব বলছে দু’হাজার নশো ঊননব্বই কোটি টাকা, রাউন্ড ফিগারে যদি ধরি, তিন হাজার কোটি টাকা। এই টাকায় আরও কী কী হতে পারত, কটা আইআইটি বা কটা সেচ প্রকল্প সবেরই তুল্যমূল্য হিসাব তৈরি হয়ে গেছে বিশেষজ্ঞদের সৌজন্যে। কিছু বিশেষজ্ঞ আবার দেখিয়েছেন, এমন একটি মূর্তি তৈরি হলে ট্যুরিজমে…
Read Moreগল্পের বাড়ি
এ বাড়ির গল্প আমাকে লিখতে হতই। আজ না হোক কাল। যদিও গল্পের আসল লেখক আমি নই। আমার ঠাকুরদা বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। আর এগুলো আসলে গল্পও নয়। সত্যি ঘটনা। কিন্তু কে না জানে সময়ের দীর্ঘ পথ পেরিয়ে আসতে আসতে যে কোনও সত্যির গায়েই গল্পের মুচমুচে সোনালি রং এসে লাগে। খুব ছোটবেলা থেকেই গল্পগুলো আমাকে বলত দাদু। মানে যখনই আমাকে পেত। গরমের ছুটি, পুজোর ছুটিতে আমি আমাদের মছলন্দপুরের পুরোনো বাড়িতে যেতাম। কবেকার এক জীর্ণ বাড়ি। মস্ত মস্ত অনেকগুলো ঘর, প্রশস্ত রোয়াক, উঠোন। বাড়ির থেকে দূরে কুয়োতলা। আসলে কুয়ো নয়, ইঁদারা। পরিত্যক্ত গোয়ালঘর। পিছনদিকে…
Read Moreখুরশেদ মিয়াঁর পরলোক যাত্রা
না ঘুমোলেই হত। এখন মরে গিয়ে মনে হচ্ছে, না ঘুমোলেই হত। জেগে থাকলে টের পাওয়া যেত, হয়তো, মরছি। তাতের লাভের লাভ এই হত যে, হ্যাঁ, এটা তো ঠিক যে গোছগাছের তো কিছু থাকে না; কিন্তু ওই, ঘুমনোর আগে পাখাটা চালিয়ে দিয়ে যাওয়ার সময়ে ঝুনুবউকে একটু ডেকে বসানো যেত। যদি এরকমটা হত, তাহলে খুরশেদ ঘুমের মধ্যে নয়, ঝুনুবউকে দেখতে দেখতেই মরত। কী এমন হত আর একটা বেলা না ঘুমোলে। না ঘুমোলেই হত। এখন মরে যাওয়ার পর, ঝুনুবউকে ভাবলে, মনে হচ্ছে, অনিডা কিংবা সন্তোষের শাদা-কালো পোর্টেবল টিভিতে দেখা ছেলেবেলার রোদ যেন। দেখছি…
Read Moreসুন্দরী, ফ্ল্যাটবাড়ি ও ফিলগুড গল্প
তুমি যে শুধু নিজে অসুখী তা-ই নয়, বাকিদেরকেও সুখে থাকতে দিচ্ছ না পার্থ- কেটে কেটে কথাগুলো বলছিল মৌরিফুল। এটিই তার সঠিক নাম কি না তা কেউ জানে না। কেউ কোনোদিন তার আধার কার্ড দেখেনি বা দেখতেও চায়নি। নাম হিসেবে সে এটাই বলে। এবং মৌরিফুল পদবী ব্যবহার করে না। তার কথা শুনে এই ‘কোপাই’ ফ্ল্যাটবাড়ির যারা জড়ো হয়েছিল, সকলেই মুখ নামিয়ে নিল। পার্থ শুধু মুখ তুলে তাকাল। মৌরিফুল সুন্দরী। টানা টানা উচ্চাকাঙ্ক্ষী চোখ, গৌরবর্ণা, উন্নতনাসার যে সুন্দরীদের একবার দেখে চাইলেও চোখ ফেরানো যায় না, সেরকমই সুন্দরী সে। তীব্র যৌবনবতী, তবে মাপমাপ,…
Read Moreহস্তমৈথুনের মুহূর্তে এরকম ঘটে থাকে
–সেক্স লাইফ ? –নেই । অলমোস্ট নেই…ইন্টারকোর্স করি…খুব অনিয়মিত… –নেই মানে ! উইদাউট সেক্স সারভাইভ করছেন ? কতো বছর ? –কে বলল উইদাউট সেক্স ? মাস্টারবেট করি । রেগুলার… –বাট হোয়াই ডোন্ট য়্যু ট্রাই টু ফাইন্ড আ সেক্স পার্টনার ? –কে বলল পার্টনার জরুরি ? আর আমার পার্টনাররা ছেড়ে চলে গেছে আমায়… –বুঝলাম । শেষ কবে কারো সঙ্গে ফিজিক্যালি মিট করেছিলেন ? –ছ’মাস আগে । জোকার রিসর্টে… –বেশ । কিন্তু কেন ছেড়ে গেল তারা ? –আই নিড পারভারশনস । আই ডেসপারেটলি নিড ইট । –হোয়াট কাইন্ড অফ পারভারশন ? –আই…
Read More