‘অ্যানাদার ডে, অ্যানাদার পিকনিক’ – রাস্কিন বন্ডের আত্মকথা, স্মৃতি-বিস্মৃতির এক পাহাড়ি জার্নি

পুরোনো পাপ দীর্ঘ ছায়া ফেলে দেয় জীবনে। প্রখ্যাত রহস্য লেখিকা আগাথা ক্রিস্টির প্রসঙ্গ টেনে যে বইয়ের শুরু তার পরতে পরতে অবশ্য কোনও রহস্য নেই, আছে নস্টালজিয়া, শান্ত এক রোদেলা দুপুরের মতো আরাম, আবার পাশাপাশি তীব্র এক বিষাদ। অল্প-বিস্তর রাস্কিন বন্ড পড়া পাঠক প্রথম দুটির সঙ্গে পরিচিত হলেও কোথাও মিস করে যাবেন তৃতীয় সেই বিষাদ। ২০১৮-র পেঙ্গুইন ভাইকিং থেকে প্রকাশিত বই ‘Beauty of All My Days’-এ সেই বিষাদ কোথাও তার আগের বছরের অনেক বেশি পরিকল্পিত এবং বহুপাঠ্য বই ‘Lone Fox Dancing’-এর সঙ্গে মিলে গেলেও কখনওই রিপিটিটিভ নয়। আমার, আমাদের প্রিয় রাস্টির…

Read More

নীলাব্জ চক্রবর্তী-র কবিতাগুচ্ছ

  সিনট্যাক্স ভাবতে ভাবতে একটা অ্যালগরিদম সরে পড়ছে দু আঙুলের ফাঁক দিয়ে গলে যাওয়া মানে জ্যোৎস্নার সিনট্যাক্স ভাবতে ভাবতে উপকূলবর্তী শব্দটার ঘ্রাণ কেমন ফারাক এনে এতদূর দৃশ্যচেতনায় বাউন্স করছে একটা কাগুজে ইশারা মাংসের শব্দে শব্দে যে স্মৃতি এক ঘটমান বর্তমান ক্রিয়া হয়ে…   রঙ এক ফ্রেম রঙ এক ফ্রেম ছিঁড়ে ফেলছে জলে পড়া একটা দিনের ভেতর বোটানিকা বোটানিকা উচ্চারণে পাতার বিজ্ঞাপন শান্ত একটা পতাকায় সরে যাচ্ছে একটা ব্যালান্সিং অ্যাক্ট খুব ফিকে ছায়া খুলে ভাঙা ভাঙা লাইন পড়েছে পোড়া ভাষায় যা কিছু জন্মদাগ পর্যন্ত চকোলেট ক্ষেতের আরও ডানদিক বরাবর জ্বর আসার…

Read More

শ্রীদর্শিনী চক্রবর্তী’র কবিতাগুচ্ছ

বর্ষার লেখা ৩ আকাশে প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়, তবুও আষাঢ় তুমি ইদানিং হারিয়েছ পুরাতন গ্লোরি। শহরে কদমের ফুল এখন বাড়ন্ত আর বিরক্ত মুখের কাছে হেরে যাচ্ছে সুখী বর্ণমালা। তাও এই বিকেলের নিজস্ব গহ্বরে ফিরে ঠুমরির বিলাসিতা করি আমি ক্লান্ত নাগরিক – দেশ যে রাগের নাম তাকে ভাঙা যায়নি এখনও।   ৪ বুগেনভিলিয়ার ডাল পাতাশূন্য পুঁতে দিয়ে অপেক্ষায় আছি গোলাপি দুপুরের। কাঁটার স্পর্শে যে ব্যথা – বলে দেয় কিছু তবু হল – তার। এ ঋতু টুকরো থেকে গাছ হয়ে ওঠার কথায় সম্ভাবনার মত মায়া ছড়িয়েছে মাটিময়। তুমি তাকে ভালোবাসো – অপেক্ষা করো দুটি-একটি…

Read More

অনিন্দিতা গুপ্ত রায়-এর কবিতাগুচ্ছ

প্রকৃতি, পরমা এক নিজেকে পড়তে পড়তে প্রতিবার খুঁজে পাই নদীর ওপর ঝুঁকে পড়া গাছ বেগুনী বেগুনী ফুল, কালচে পাতায় ঘুম, মৃত্যুজটিল ফাঁদ। আমার আঙুল সেই গিঁট খুলে খুলে ঘুম দিতে চায়। অবিন্যস্ত মায়া থেকে কাচপোকা বেছে রাখে কলসির অতল গভীরে, গর্ভগৃহে। ভেজা গামছায় ঢাকে গতরাত্রের পান্তা ডোবানো টকজল। কোথাও বৃষ্টি এলে এ পাড়ায় নদী ফুলে ওঠে। কাত হয়ে থাকা নৌকোর খোলে স্যাঁতসেঁতে শীতলপাটির খুলে যাওয়া লেখার পাতার মত অবিকল। পান্ডুলিপির গায়ে জমে ওঠা বাস্পবিতান, মেঘপুরাণের ইতিকথা, জলভারনত অক্ষরমালা। সন্ধ্যাসকাল তবু দেওয়ালের কাছে যাই অভ্যেসবশে। জানলাবিহীন তার দৃষ্টি ছাড়িয়ে উঠে যাওয়া…

Read More

দীপ্তেন্দু জানা’র কবিতাগুচ্ছ

বাকিটা অস্পষ্ট থাক ১) আমারই রচিত রহস্যে আমিই ফেঁসে গেছি জাল ফেলে বসে আছে জেলেরা এত সুর কোথা থেকে আসে ভেবেছো কি তোমাদের বলছি শোনো প্রিয় সন্তান মহামস্তিষ্ককে প্রণাম কর সোজাসাপটা বলছি শোনো প্রিয় সন্তান সব উত্তর জানতে নেই ২) প্রশ্ন একটা পথ উত্তর তাকে সমাপ্ত করে আমাদের ভেতর অপেক্ষা আর অপেক্ষার ভেতর আমরা হেঁটে বেড়াই রহস্য একটা পথ রহস্য তাকে লম্বা করে উদযাপন কর এই রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য নয় ৩) মহাসমারোহে হাঁটো হাঁটতে হাঁটতে নিজের সাথে দেখা হয়ে যাবে ঠিক নিজেকে আর ব্যাখ্যাতীত মনে হয় না খুঁজে পেয়েছি মেধাফুলকি…

Read More

দিব্যেন্দু দলুই-এর কবিতাগুচ্ছ

০.০১ শাপলার বেদনা যেথা রূপ হয়ে ফুটে আছে, সেইখানে মজে গেল ঘুণে-ধরা শালতির গলুই পরিহাস ছলকে ওঠে জোছনার, নির্জন ঢিবির খেদ বিহ্বলতা এনে দেয়— ঝিনুকের বোবা ঘুম, নক্ষত্রের নীচে গূঢ় কালো জলের নির্বন্ধ, টানা ঝিঁঝিঁডাক শুনে যে-শ্রমিক নেমে গেল গহীন পাতালে, তার বুকের কাদায় শিঙিমাছ মরে গেছে বহুদিন: মেয়েটি বাসন মাজছে আঘাটায় বসে দু-চোখে তমালছায়া, থুতনিতে লাজুকতম তিল, ঝুড়ি হাতে জোছনার দশক ডিঙোচ্ছে হাওয়া দিয়েছিল সে আমার অসুখে শেকড়বাটা লেপে কোনো একদিন আমি তার গোলাপি নরম ঠোঁটে রেখেছি বিষের নীল, আজও রাত গেলে বেগনি আভায় ফুটে ওঠে সেই প্রেম শালতির…

Read More