Ricardo Venegas (San Luis Potosí, SLP, Mexico, 1973), always has lived in Cuernavaca, Morelos. He studied Letras Hispánicas in the Faculty of philosophy and letters at UNAM and is master in Mexican literature by the Benemérita Universidad Autónoma de Puebla, BUAP, graduated with honors. Member of the Board of national advisors of the Mexican Academy for education and research in science, arts and Humanities (2015). His texts have appeared in the magazines Siempre, Ulrika, Casa Silva y Arquitrave (Colombia), Buenos Aires Poetry (Argentina), Agulha (Brasil), Siete culebras (Perú), revista de…
Read MoreDay: August 20, 2020
নিউটন
প্রাক কথনঃ ১৬৮৭ তে নিউটনের প্রিঙ্কিপিয়া প্রকাশিত হওয়ার পর, ফরাসি গণিতবিদ দ্য লোপিতাল প্রিঙ্কিপিয়ার প্রাকৃতিক দর্শন ও গাণিতিক সূত্রাবলীর বিপুল কর্মকাণ্ড প্রত্যক্ষ করে গভীর বিস্ময়ে বলে ওঠেন – ‘তিনি কি খাওয়া–দাওয়া করেন? পান করেন? ঘুমোন? আর সব মানুষেরই মতন কি তিনি?’ সতেরো শতকের বিখ্যাত দার্শনিক ও ইতিহাসবিদ গিলবার্ট বারনেট, নিউটন সম্পর্কে অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন এই বলে – ‘সবচেয়ে বিশুদ্ধ হৃদয় সম্পন্ন মানুষ।’ ‘‘Nec fas est propius mortali attingere Divos” লাতিন ভাষায় লেখা এই কথাগুলির বাংলা তর্জমা এইরকম – ‘ঈশ্বরের নিকটতম তিনি। সর্বশক্তিমানের কাছে এরচেয়ে বেশি আর কোনো মানুষের পক্ষে পৌঁছানো…
Read Moreআমেরিকা: এক হিমায়িত চিৎকার-২
নববারোক দল সেই স্বেচ্ছাচারী যে মায়ের থেকে পালায়। বিদায় নেওয়া মানে এক শিশিরবিন্দু চাষ করা যাতে সে লালার ধর্মনিরপেক্ষতায় মিশে যায়। স্বেচ্ছাচারের গভীরতা কখনই তার ফল হরণের পথে যায় না। স্বেচ্ছাচারী তার মাকে দেখা বন্ধ করে। সেই দীর্ঘায়িত হয়ে চলা ঘটমান দিনের অনুপস্থিতি এবং রাত্রিবেলা সেই অনুপস্থিতি ক্রমশ ছুরির মত গভীর হয়ে ওঠে। আর সেই অনুপস্থিতিতে খুলে যায় এক মিনার, সেই মিনারের মধ্যে নাচে এক ফাঁপা আগুন। আর এভাবেই সে নিজেকে পুষ্ট করে, আর মায়ের অনুপস্থিতি এক শান্তিতে থাকা সমুদ্র। কিন্তু সে পলায়নপর দেখেনা সেই প্রশ্নকর্তা ছুরিটিকে, সে ছুরি…
Read Moreপঞ্চ আবের সুরে
সুমিরন কর লে মেরে মন সাল ১৫০৬ খ্রীস্টাব্দ, আনুমানিক। নীলাচল। সন্ধ্যা নেমেছে পুরীতে। দূরে জগন্নাথ মন্দিরে শুরু হয়েছে মঙ্গলারতি। বাজছে ঘন্টা, মন্দ্রিত শঙ্খধ্বনি। সময় হয়েছে মহাপ্রভুর সান্ধ্যভোজের। মন্দিরে পূজারীরা সোনার থালা, বাটিতে একটু একটু করে পরিবেশন করছেন ‘মহাভোগ’। আকাশ-বাতাস ম ম করছে তার অপার্থিব সুগন্ধে। এ সময় ঈশ্বর খেতে বসেন। বড় পবিত্র, বড় মায়াবী এ সময়। সমুদ্রতট থেকে দেখা যাচ্ছে মন্দিরচূড়া। গৈরিক পতাকা উড়ছে হাওয়ায়। চন্দন কাঠের মিষ্টি গন্ধ পাক খাচ্ছে বাতাসে। সেই ঈশ্বরিক পরিবেশ ভেদ করে সমুদ্রের ধারে এসে স্থির হল দুটি ছায়া। দুটি মানুষ। তাদের গায়ে লেপ্টে আছে…
Read Moreপ্রীতম বসাকের কবিতাগুচ্ছ
সেই নিঃসঙ্গ একটি ১. কাহারও ভিতর তুমি নাই। এই অমোঘ শূন্যের মর্মূমলে দাঁড়াইয়া থাকে একখানি গ্রাম্য সরলতা। নিঃসঙ্গতা চয়ন করত তুমি কাহার পায়ে দাও পুষ্পের তির্যক অভ্যর্থনা। তুমি কাহারো অনুষ্ঠান নও। কাহারো ক্ষতির কারণ হইও না— এই ব্রহ্ম বাক্য বলিয়া কেহ যেন বাহির হইয়া গেল পটমণ্ডপ হইতে। তুমি বুঝিলে হাহাকার রচিত হয় মহাকাশ হইতে। তুমি জানিলে কাব্য হইতে চোখের জল নামিয়া ভাসাইয়া লইয়া যায় আদিগন্ত অপূর্ব ও আন্ধার। অতএব মৃণালের বক্ষ লইয়া তুমি কী করিবে! কর্তব্য স্থির করিতে না পারিয়া শোকের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিলে। দেখিলে তোমার ভিতর কেহ নাই।…
Read Moreশ্রেয়সী চৌধুরী’র কবিতাগুচ্ছ
সমস্ত মৃত্যুই রাজনৈতিক, অন্তত আংশিক খুন এইভাবে কতদিন শুয়ে শুয়ে মায়ের গানের সুরে ঘুমিয়ে পড়িনি ভাবতে ভাবতে, চোখ খুলে আমার আততায়ীর চোখে চোখ রাখি। বলি, শান্ত হও, আসতে আসতে শ্বাস, এই তো এভাবে। আমিও নিশ্বাস ত্যাগ করি। গাছ কী এক দোদুল্যমান, মায়ার মতন নমনীয়, কী এক চার বেলা ধরে হাওয়ায় দুলেছে, দুলে দুলে কাকে যেন ডাকে। জানলার ফাঁক দিয়ে পড়শির ছেলের গায়ে কাঁটা কার মৃতদেহ বাঁধা ওইখানে, বাঁধের ওপারে? দূর কে জন পালিয়ে যাচ্ছে ভয়ে, বারবার হাত ধুচ্ছে, চোখে মুখে জল, জেনারেল কম্পার্টমেন্ট, বাথরুম…
Read Moreপলাশ দে’র কবিতাগুচ্ছ
ভবঘুরে অন্ধ বাদ দিই উৎসব থেকে? – হুঁ তাহলে রংপেন্সিল আর ছুঁচোলো করছি না – হুঁ অপমান কী করবো! কদমগাছের নীচে ঝিম মেরে থাকবে চিরকাল? পেরেছি পেরেছি পেরেছি পাতার মুকুট ধরতেই পারেনি চিরকাল প্রস্তুত থেকেছি ভ্রম ও একাকীত্বে ভেবেছে পাল্টামার, ভেবেছে গেরিলা ভাবছো তুমি, এই তো আর কী চাই এক ভবঘুরের উড়োজাহাজ যে কোনো ভ্রমণের এক পাগল থাকে খুব ধীরে ভেদ করতে যাই সে এক বর্ণনার উপাখ্যান একঘেয়ে, বিরক্ত সমেত মাটি থেকে ওইইই দূরে আমরা তখন নিজেই পানকৌড়ি বাকল সরিয়ে দেখি নিঃসঙ্গ খামচে দেখি টেনে হিঁচড়ে দেখি…
Read More