মেহিকোর কবিতা: দাবিদ উয়ের্তা (David Huerta) দাবিদ উয়ের্তার বিষয়ে কথা শুরুর আগে নিজেকে কিছু কৈফেয়ত দেওয়া দরকার। এই লেখা পাঠকদেরও। এই কথাগুলো আমার বলে রাখা দরকার খানিকটা ভূমিকার ছলে, খানিকটা নিজের কবিতা চর্চার পরিধির কৈফেয়ত হিসেবে। খানিকটা নিজের অস্থিরতা কীভাবে নিয়ে ফেলেছিল আরও আরও কবিতার দিকে তা নিজেকেই স্মরণ করানোর জন্য, নির্লেখ দিনে। ২০১০ সালে আসা এক আত্মীক উপলব্ধি আমাকে সবরকমের আখ্যান পড়া ও চর্চা করা থেকে বিরত রেখেছে। ২০১২ থেকে সম্পূর্ণ। আমাদের চারপাশের দুনিয়ার লোকেদের অন্যভাষার সাহিত্য বলতে শুধু তত্ত্ব বা উপন্যাসের নাম ছোঁড়া আমাকে উশকে দেয়। কবিতা তো সহজলোভ্য…
Read MoreDay: September 27, 2020
Monsoon in Kolkata
Photography by Siddhartha Paul ছবি ও লেখাঃ সিদ্ধার্থ পাল প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল আঁকা , তবু জল ঢুকে গেল ক্যানভাসে হেডফোন থেকে পঙক্তি কাশে “কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে … সকাল দুপুর একই রঙের যেমন বিকেল গোধূলি চেনা ঝুলি থেকে বের করেন প্রিয় দালি–মাপের তুলি কোলাকুলি হোক আড়াআড়ি ও সিধে শুভেচ্ছা রইল পবিত্র ঈদের দু‘খানা ঝুমকো বৃষ্টি দু‘কানের দুল তোর ছাই–রঙা স্বপ্ন বুনছি , দু‘কাঁটা সোজা দু‘কাঁটা উল্টো বৃষ্টির অক্ষরময় উপন্যাসের গদ্য কবিতা লেখা সম্ভব যন্ত্রণা না পেলে সদ্য ? ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চিরকাল মন কেমনের স্বভাব তোমাকেও নিজস্ব ভাবলে থাকবে কারণের অভাব ? বৃষ্টির অক্ষরমালাগুলি আলো রং এ ভিজেই আশ্চর্য বাক্য রচনা করে – যার মানে বোঝে না নিজেই মনখারাপের চিঠি দেওয়া নেওয়া করবে বলে বহুদিন ঘুমিয়ে কিছু জানলা এবার উঠল জ্বলে বারংবার আশীর্বাদে ধন্য, অনাবিল নিঃস্বতাই চরম সুখ মৃত্যুর প্রত্যন্ত সহ্যেও যেন পাই এমন প্রশান্ত পরম মুখ ছাতা সঙ্গে থাকতেও ভেজে বৃষ্টিতে এমন মানুষ দেখলাম না জীবনের হিস্ট্রিতে
Read MoreAritra Sanyal in conversation with Alexander Shurbanov
Alexander Shurbanov (Sofia, 1941) has published twelve volumes of poetry and six collections of essays. Shurbanov is the Bulgarian translator of Chaucer’s The Canterbury Tales, Milton’s Paradise Lost and Samson Agonistes, Coleridge’s poetry and prose, Dylan Thomas’s poems, Beatrix Potter’s tales, a collection of nursery rhymes, etc., as well as of Shakespeare’s mature tragedies. He has also translated a representative collection of Rabindranath Tagore’s poetry. For over four decades Shurbanov has taught English literature at Sofia University and has published a number of literary critical books dealing with the English…
Read Moreদিদিমবাড়ি
দিদিম নামের বাৎসরিক বারোমাসের দানের কলসি। মাটির ছায়ার ভরা ছোটোবেলার গ্রাম। তখন তোমার রঙের বয়স ? দেখা হয়েছে দাদাসোনার সঙ্গে ? না না সে তো অনেক পরে। উঠোনে মা-বাবা আমি ছিলাম সবার ছোটোবোন। জংলা ঘাটে খেলার সঙ্গী সেই কবেকার শ্যাওলা ধরা পুকুর তোমার জন্য বারোমাসের জল পাঠাল আজ… প্রেতের যেন কী নাম ? গোত্র কী যেন? বলুন: শান্তি… শান্তি… পুরোহিতের পাশেই রাখা খাট-বিছানা-বালিশ তার ওপরে ঢেউ-এর মতো এই জীবনের রোদ্দুর— নিজের চোখেই দেখছে নিজের পারলৌকিক কাজ ! এখন যত দুপুরবেলা গ্রামের নাম বিরহী সন্ধ্যাদিরা কেমন আছেন ? সাধনা আর…
Read Moreটোমাস ট্রান্সট্রোমারের কবিতা
টোমাস ট্রান্সট্রোমার: কবিতায় যার শেকড় পোঁতা Transtromer’s roots are deep into the land of poetry—Adonis ‘‘সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন একজন মনোবিদ, যিনি তাঁর কাজের অবসরে কালেভদ্রে-লেখা কবিতার ছত্রে তুলে আনেন প্রতিদিনের জীবনরহস্য; গাড়ি চেপে কাজে যান, সূর্য ওঠা দ্যাখেন অথবা রাত নামার প্রহর গোনেন।’’ ২০১১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারজয়ী সুইডিশ কবি টোমাস ট্রান্সট্রোমার সম্বন্ধে এই কথা ক’টি লিখেছিল সংবাদ সংস্থা এপি। গাড়ি চালিয়ে কাজে যাওয়া আর বাড়ি ফেরা নিয়ে, ভোরবেলা সূর্য ওঠা আর গোধূলি নিয়ে বিস্তর কবিতা আছে এই কবির। জীবনের এইসব অতিসাধারণ মুহুর্ত আর নীরব পালাবদলের প্রতিটি সময়খণ্ডকে…
Read Moreশীর্ষা মন্ডলের কবিতাগুচ্ছ
সংসারগাছ আমাদের সংসার এক প্রাচীন বটগাছ – ঝুড়ি ধরে দোল খায় বাবা এক একটি প্রাক্তন বর্তমান ভবিষ্যৎ প্রেমিকার কথা ভেবে। মা ঠায় মাটি থেকে জল আর খাদ্য তুলতে থাকে। মায়ের শাড়ি খসে পড়া তামাটে কোমর – বাবার নন্দলাল দৃষ্টিতে সমস্ত প্রেমিকার কোমর ঠিক এরকম, অবিকল এক। বাবাকে জল আর খাদ্য দিয়ে বাঁচিয়ে রাখবে বলে দান কিংবা বোবার না না সরু রোগাটে নদীর মতো তোমার চলে যাওয়া পড়ে থাকে। পাড়ের মাটিতে ঘুরে বেড়ানো একজোড়া জুতোর ছাপ আঁকা, এলোপাথাড়ি। আমার ঝাল ঝাল হিংসেমাখানো বমিমাখানো অস্পষ্ট-স্পষ্ট ছাপ। নদীর কান্নামাখানো হাওয়া এসে ভিজিয়ে…
Read Moreতমোঘ্ন মুখোপাধ্যায়ের কবিতাগুচ্ছ
ভাণ্ড দেহভাণ্ড উল্টে যায়, মনভাণ্ড নড়ে। নিজ মুণ্ড কাটা গেছে। ধড় মাঠে চড়ে। মাঠে ঘাস, চোখে ঘাস, শিশ্নে ঘাস লেগে; প্রতিটি শ্মশান ফুঁড়ে গাছ ওঠে জেগে। প্রতিটি রমণ ছিঁড়ে জেগে ওঠে তারা; ঢলে পড়ে মহাকাশ। অথচ পাহারা যতদিন দেহ ছিল, দিয়েছিল হাড়। কিছুই হবার নয়, তবুও খাবার ধড়ের ফুটোয় ঢালি, ধোঁয়া ওঠে খুব। রক্তে ভরা স্নানাগার। আস্তে দাও ডুব। হেঁটে যাই খঞ্জ খই ছড়াতে ছড়াতে যে-যার মায়ের মুখে আগুন ধরাতে। ধড় মাঠে চড়ে। আর দ্যাখে কাটা মাথা– গৌতম স্তনের দুধ। অপত্য সুজাতা। পাখিসংসার বিকেলের গাছে বসে আমরা ভাইবোনেরা ঠোঁট…
Read More