চন্দ্রের আকর্ষণ ও প্রহার
ফসল
জোয়ারের প্রবল জলস্রোত।
চন্দ্রের আকর্ষণ ও প্রহার। ধুইয়ে দিয়ে গেছে।
অজস্র নতুন পলি জমেছে আমার দেহে।
অবিরাম ঢেউ শেষে উর্বর শস্যভূমির মতো জেগে
আমার শরীর।
আবাদ করো।
মানচিত্র
কথারা সব চুপ
আর্তিরা চুপ
কেন এটা হল, কেন,কেন
ভুল বুঝেছ, সব অভিযোগ
স্তব্ধ শীত রাত্রির মতো
যেন রাতের সায়েন্স সিটি
বুকের মধ্যে অজস্র স্পন্দন নিয়ে
ঘুমে
যেন অঘ্রানের মাঠ
ফসল কাটার শব্দ নিয়ে নিদ্রিত
যেন মহাকাশ থেকে দেখা রাতের পৃথিবী
কয়েকটি আলোর অগ্রসর নিয়ে ঘুমিয়ে
সম্পর্ক
ইউরেনাস, নেপচুন গ্রহের মতো এখন আমি
তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নীচে
মাইনাস ২৩৫, ২৩৬ ডিগ্রি
কেবল বরফ বরফ আর বরফ
মহাকাশযানের পাঠানো ছবির মতো
আমি এখন দৃষ্টিনন্দন
কোনও অনুভূতির বসবাসযোগ্য নই আর
প্রেক্ষাগৃহের থ্রি ডি চশমা পরা দর্শকের মতো
গ্রহ ছুঁয়ে ছুঁয়ে ভ্রমণ
হিমাঙ্কের এতো কাছে থেকেও
বায়ুমন্ডল স্পর্শ
করছে না
শো শেষে
চশমা খুলে
নতুন চশমা পরে
আবার পৌঁছে যাচ্ছে আর একটা শোয়ে
গ্রাফচিত্র
হাড়িকাঠ। রক্তগঙ্গা।
মন কাটলে শরীর নিধনের থেকেও ভয়ংকর রক্তপাত
সেই অদৃশ্য রক্তিম প্লাবনে একটি মেয়ে
তার কোঁকড়ানো অবিন্যস্ত চুল
তার কপালে আর একটি নয়ন, হাতে ত্রিশূল
বেদনাতে বীজ ফেটে গাছের জন্ম না হয়ে
কখনও ফুলের জন্ম
মাথার মধ্যে ইইজির যে নবগুলো সর্বদা সংযুক্ত
তার প্রবল ওঠানামা কখনও শান্ত
বাস্তুতন্ত্র
মানুষ মানে বাড়ি
পরিচয় মানে বারান্দা
চারদিক খোলা
এই আকাশ, ওই আকাশ
রোদ্দুর, নারকেল বীথি
দূর নাগরিকতা
ডানা মেলে ওড়ে পাখি
ডেকে নেয় খড়কুটো
মানুষ মানে স্নান
আলাপ মানে জন্ম নতুন।