১
মাঘমাসে বৃষ্টি-বৃষ্টি মাত্রা গুনে খুন-জখম হলো
লতানে শিরা থেকে গাছ, গাছের টুনিবাল্ব পাতায়
শুকনো মুখটুকু পড়ে আছে বিবর্ণ আনাজদাগে স্থির
টাটকা খয়েরি দেহ থেকে ছিন্ন তুলে নেব তাকে ?
আমি যে তার শেকল সেটা বুঝিনি, শঙ্খপুষ্পে বাতাস
আলো কেটে-কেটে সারাবেলা পাখিজগত হাসি
ঠিক বুঝতে পারিনি তাও, মনে হয় ব্লেডের কৌশলে তবু
কয়েকটি কাঁপা-কাঁপা রেখা রক্তপ্রবাহে
আঙুলের ফিতে ।।
২
টুনিবাল্ব মুখে পুরে বলেছিলাম এই হল উপগ্রহ
মাঝারি চাপে ভেঙে..গিলে নাও অশ্রুবিগলিত শহর
কাঁচের জমাট ক্লাস্টার বিসর্পিণী জিভের মায়া
লালাভর্তি পৃথিবীতে তোমার স্বর অন্ধকার
বাঁকা ইলেক্ট্রিক
এক-একটি অনুস্বার তন্তু ছিঁড়ে-ছিঁড়ে ধোঁয়াভাপ
সে অর্থে আবহে মেন্ডেলসন কোনো প্রভাব ফেলেনি
কেননা সঙ্গীত যে নালিকায় সচরাচর বাধাহীন
তারও দেওয়ালে তিরতির করছিলো কাঁটাফুল ধূম।।
৩
শিশুমন দীর্ঘ, শিশুমন প্রশ্রয়ে সুনীল ক্লাস্টারে ফুল
পাপড়ি থেকে তাপ আমার দু’চোখ ভরিয়ে তুলেছে
কাঁচ-কাঁচ স্বচ্ছ রেণু, নদীবাঁক সেলাইদাগে তোমার ঠোঁট
কীভাবে তুমি আমার কাদামাটি
কীভাবে তোমার কাছে আমি বাঘনখ
বিদ্যুতের তারে পেঁচিয়ে সে ছিল ভিন্ন উপাচার, রাত্রি
চাঁদের নথ ফেলে গেছে অক্লান্ত ফুটফুটে থাবায়
আর আজ যখন গভীর দাগে বাৎসাল্য নির্মাণ
তোমার ঘুমের কোরকে প্রণাম রাখি অজস্র ছুঁচে।।
৪
যে মন্ত্র ঘুমের মধ্যে ভেসে ওঠে মৃণালিনী আভায়
সহজ অর্থ – তোমার মুখ আমি কাছে রেখে দিয়েছি
টানা বায়ুরেখা সৈকত ভরে ওঠে গাঢ় শঙ্খচূর্ণে
নিঃসীম আকাশ ছড়িয়ে দেয় ডানা, রাত্রিচর আলো
এই আলিঙ্গনই প্রাকৃত, পৃথিবী থেকে সময় কেড়ে নিয়ে
বোধের গভীরে শিশুজ্ঞান, জ্ঞানের স্তরে শতপুষ্প জল
নেমে এসো নিবিড়, যেভাবে পাশে থেকেছি অলক্ষ্যে
অনন্ত এক মাটির গল্পে শান্ত হই
শান্ত হই দু’জন।।