অত্রি ভট্টাচার্য্য

প্রায়োপবেশন


কিশোর ফ্ল্যাটবাড়ি দুমড়ে নামিয়ে এনেছে
যে অংশ আকাশ, অপ্রাপ্ত জলের যে পূর্ণ, তার
উদ্দেশ্যে বৈধ দিই ধৃত বাহিরখন্ড নগ্ন জল্লাদের চিরউত্থিত
সবক’টি। এক এক করে প্ল্যাটফর্ম ছুঁয়ে কাম্য অবশেষ
এলে বন্ধু বকবক জেগে ওঠে।

চতুর কামদানী উপচে গেলেও শব্দ করে না। ওই চিত্তে
অসংজ্ঞাত ফিল্টার জেগে আছে ৷

 


ইদানীংনাম্নীটি উপেক্ষিতা হলে পাপ হয়
সবেধন এক্সকিউজ থেকে ফুলকি উড়ে যায় যেন তার
যমজ হয়েছে। যমজ আমাদের এই মৌচাকের
গোপনতমে যত্ন করে রাখা। চিবুকে পলাশ ঢাকা যেন
তার ঔরসে ধুলো না পড়ে। তাও পড়ে
আমরা সেতু ভাঙতে ভাঙতে এতসর্বস্ব উদ্যত, যে

টুকরোগুলি দেখতেও পাইনা।

 


আর ততোধিক স্বার্থপর যে ঘুম, আচমকা ভেঙে
অর্ধসিদ্ধ যে রাগ – তাকে মুকুট করছি। স্বীকার্য্যে
ঠেকিয়ে দিচ্ছি আসন্ন বজ্রপাত। তোমায়
আমার থেকে বিচ্ছিন্ন করতেই বেসিকালি, এবং লবনের দিব্যি,
যার জন্ম। যার উদ্ভূতে আমাদের ও খবরকাগজের পিঠোপিঠি
কিছু এসে যায় না। পংক্তি দীর্ঘ হয় না দীর্ঘ তো পিঁপড়ের
প্যারেড তাকে ভেজাতে পচা ও আদর্শ ডিম।

অধিকাংশরা আটকে যাবে বাকিদের চলাও
স্থায়ী হবার নিশ্চয়তা নেই।

 


এর পরেও কাটাকুটি হবে। প্রায় শুকনো
মেলানকলিয়ায় পা ডুবিয়ে বসে থাকতে ইচ্ছে করবে। এতপ্রবল
হবে, দাড়িকমা নেই প্রান্তে মানুষ  রয়েছে তাও
বিস্মৃত হবে। এ কিউ-এর জগত এ অপেক্ষার ক্যালকুলাস প্রতিটি
ন্যুব্জ চোখে। আদর্শ ছবিটিও এরা বিপরীতার্থে, অসাম্যের
পরাকাষ্ঠায় মেলে ধরেছে। এদের সঙ্গিন সবকিছুর দিকে তাকিয়ে
কল্পনায় পিছিয়ে যাচ্ছে দিন।

 


তোমার কানের কাছে যে মৌমুক্তি ধারাবাহিকভাবে
ডেকে যায়, তাকে কিছু বলতে পারো না? এ ভাষা তো
প্রলম্বিতের অধিক তাকে ধার করতে পারো না
তবে কিছু লাভ হয়। পথের ধারে বেমালুম দোকান হয়
বাংলাপাতা ফ্লেক দুর্দমনীয় গোপাল। অথবা
এদের কেউ তালিকাভুক্ত না হওয়ায় জন্মের
পূঁজিটুকু উৎরোয় না

আশ্চর্য্য ঘোড়ার টেবিলে।

 


চড়ছি তো প্রায়োপবেশন গিলছি তো জিভ বেরিয়ে
আসছে না কেন? প্রশ্নচিহ্নকে সর্বস্ব দিয়ে খেতে বসতে কার
ভালো লাগে? দোটানায় আলু হোক, অবধ্য ঢেঁকির চিত্তে গুলিবিদ্ধ
চাল। ছটাক ভাষার অপেক্ষা সূর্যাস্ত
হোক তোমার কাছে তার ঢেঁড়া বৈ
কিচ্ছু জুটবে না। সুতরাং রাতবিরেতে, পোশাক বাড়ন্ত হলে
দেখে আসছি ও আমাতেই

ছুটে আসতে অভ্যস্ত।

উন্মাদনাস্পৃহ।

 


শব্দব্রহ্ম হাওয়া দেয়, ধ্রুবতারা
খুনীর মত কান পাতে। মিছিলের ছায়া যে চৌকাঠের প্রতি
দীর্ঘতম, যে ফুটপাথ প্রতিমা আঁকড়ে ঘুমোচ্ছে, তাকে
খুন করবার সনেটোর্ধ্ব অধিকার ঐ চাঁদটির আছে। আমারও
অ্যাক্রোফোবিক পকেটের ভরসা ও ভবিতব্য

ওই চাঁদটিই।

 

Facebook Comments

Related posts

Leave a Comment