নব্বইয়ের কবিতায় যে বিশ্বায়ন এসেছিল, শূন্যের কবিতায় তা যুগোচিতভাবেই সুদূরপ্রসারী । কোনো একটি বিশেষ প্রবণতার দিকে ঝুঁকে দলগতভাবে লেখালেখির উদাহরণ শূন্যে বিরল নয়। শূন্য দশক এই সময়কাল এর মধ্যে অনেকগুলি প্রবণতাকে প্রত্যক্ষ করা যায়। এই বহুমাত্রিক সম্ভাবনা তৈরি করতে পারাই যে কোনো দশকের কবিতাচর্চার সার্বিক সাফল্য। শূন্যে দশকে এসে যন্ত্রসভ্যতার সুফল এবং কুফল দুই-ই মানুষ পেতে শুরু করেছে। যার ফলস্বরূপ ভোগপণ্য, যন্ত্র, পাউচ প্রবণতা মানুষকে সম্যক শান্তি দেয়নি। এখন এই নাথিংনেস যে শূন্যের কবিতায় সঞ্চারিত হবে তাতে বিস্ময় কী ! এই যন্ত্র এবং স্ট্রিট রিয়েলিটি নির্ভর কাব্যচর্চাকে অনেকাংশে ঐতিহ্যরহিত এবং…
Read MoreCategory: ফিরে দেখা শূন্য দশক
“এতই সহজ আমাদের মেরে ফেলা” সাহিত্যে দশক বিলাসিতা ও ‘শূন্যে’র অবস্থান
সৃষ্টির আদিতে শূন্য। অন্তে, অনন্তেও। এখানেই সবকিছুর শুরু। এখানেই শেষ। এত যে শূন্যতা ঘিরে থাকা, তবু শূন্যের প্রতি আমাদের অবজ্ঞা, অচেতনতা, উদাসিনতার বুঝি শেষ নেই। হয়তো এটাই স্বাভাবিক। যা কিছু বোধ বা চেতনের বাইরে, তাকেই ‘অস্বাভাবিক’ বলে দাগিয়ে দেয়া আমাদের ‘স্বাভাবিক’ প্রবনতা। আর সেই ক্ষয়িষ্ণু প্রবনতা ক্রমেই ‘উন্মাদনা’র আকার নেয়, যখন সেই সত্যের প্রকৃত মূল্যায়নে অক্ষম হই আমরা। তা সে দার্শনিক চেতনা, বোধই হোক অথবা বাংলা সাহিত্যের শতক ও দশকের কুম্ভিপাকে পাক খেতে খেতে তিরতিরে, অবিরত জেগে ওঠা ‘শূন্য দশক’ নামক ব-দ্বীপ’টির অস্তিত্ব স্বীকার। কালক্রমে যা বিরাট মহাদেশে রূপান্তরিত হতে…
Read Moreপ্রকৃত বহুরৈখিক ভাষা চরাচরঃ শূন্য দশক
২১ শতকের প্রথম দশক বা ২১ঃ ০ বা শূন্য দশক নিয়ে এই উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে বিশেষত বাংলা ভাষার নিরিখে ভাবতে বসলে প্রথম যে কথাটা মনে আসে সেটা হল তার পূর্বশর্তহীনতা। এই সেই দশক যে তার দু একটি মিসিং লিঙ্ক ছাড়া তার ভাষাকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র করে নিয়েছে। এই সেই দশক যেখানে বাংলাভাষা তার বিভাজিত ভূখণ্ডে সামগ্রিকভাবে দুটি ভাষার প্রবর্তন ঘটিয়েছে। এই পরিবর্তনের সামাজিক ও ঐতিহাসিক উপাদান হয়ত সমাজতাত্ত্বিকের কাজ। কিন্তু কবিতার পরিবর্তনগুলোকে দেখা আমাদের কাজের এক্তিয়ার। প্রেক্ষিত নব্বই দশকের বাংলা কবিতার যে প্রধান বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ ছান্দিক কাঠামোর মধ্যে থেকে বিষয় ভিত্তিক কবিতা…
Read Moreমহাশূন্যের লিটল ম্যাগাজিন
২০০০ সালের মার্চ মাসেই ৫০০০ পয়েন্টের শিখর ছুঁয়ে ফেলেছিল ন্যাসড্যাক। পরের বছরই বিন লাদেনের ফুঁ স্তব্ধ করে দিয়েছিল মার্কিন মুলুক, শিউরে উঠেছিল বিশ্ব। আর, এর চার বছরের মধ্যে, মানে, দশকের প্রায় মাঝামাঝি, ২০০৫ সালে, পৃথিবীর মাত্র কয়েকটি দেশের মধ্যে যে-খেলা চলত, সেই ক্রিকেটে, শুরু হয়ে গিয়েছিল আন্তর্জাতিক ‘কু-কুড়ি’ পদ্ধতি। আপাত বিচ্ছিন্ন তিনটি ঘটনা এই ইঙ্গিতই করে যে পুঁজি, সন্ত্রাস, আর বিনোদন – এই তিন মশলায় মাখো-মাখো হয়ে কীভাবে একটা সময়ের ম্যারিনেশন সম্পন্ন হয়েছিল। গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডার চালু হওয়ার পর পৃথিবীর প্রাণীদের সেই প্রথম কোনো সহস্রাব্দের সূর্যোদয় প্রত্যক্ষ করা। আর আশার বেলুন…
Read More