বিভ্রম যতটা সীমানা তার ততদূর নয় আসমান আলোরা মায়ার মৃগ অন্ধকার বনে অতর্কিতে ফাঁদ পাতে দৃষ্টির আড়ালে অনেক ভ্রমণ শেষে ধ্বংসস্তূপে এখনো দাঁড়ালে কেবল বিভ্রমে কেঁপে উঠি, যাকে এতকাল ধরে খুঁজেছি নিজের ভেবে সাক্ষী রেখে নিজস্ব আয়নায় মিলেনি কিছুই তার দৈর্ঘ্য প্রস্থ মাপ আমিও নকল তাই বিপরীত দিকে আমাকেই ভ্রম ভেবে ছায়া আরও বড় হতে চায় অভিলেখ বিষাদ শূকরী পুুুষি, দিই তাকে প্রভূত খাবার হাঁটু মুড়ে বসে নখ দাঁতসহ, ক্রমে তার ছায়া অন্ধকারে সবেগে ঝাঁপায়। শেষ অব্দি পৌঁছাতে না পেরে ব্যর্থ ওই লাফগুলি জোড় বেঁধে রমণে বেরোয় ফাঁকা কাচঘরে…
Read MoreCategory: এই সময়
দেবব্রত কর বিশ্বাসের কবিতাগুচ্ছ
তোমাকে বলছি, নিজেকে বলছি ৬. বিকেল আর সন্ধের মাঝে যে অন্ধকার সেখানে যখন অঝোর বৃষ্টিপাত হয়, ঠিক তখন সেই আবছায়ার ঘন শীতল হাওয়ায়, বিছানায় শুয়ে শুয়ে তোমার কথা মনে পড়ে আমার মনে হয়, বুকের ভেতরটা একটা ভিজে মাঠ বৃষ্টির জল পড়ে পড়ে নরম হচ্ছে মাটি আমি আর টাল রাখতে পারি না কিছুতেই জল কতরকমের হয় আমি কি জানি না? শুধু কিছুতেই বুঝতেই পারি না কতটা ডুবে গেলে অন্ধকার সয়ে যায় কীভাবে ঘুমোলে নিজেকেই মনে থাকে না আর? ৭. মাঝেমধ্যে পাগল পাগল লাগে আমি একা একা আর নিতে পারছি না…
Read Moreনীলাব্জ চক্রবর্তী-র কবিতাগুচ্ছ
সিনট্যাক্স ভাবতে ভাবতে একটা অ্যালগরিদম সরে পড়ছে দু আঙুলের ফাঁক দিয়ে গলে যাওয়া মানে জ্যোৎস্নার সিনট্যাক্স ভাবতে ভাবতে উপকূলবর্তী শব্দটার ঘ্রাণ কেমন ফারাক এনে এতদূর দৃশ্যচেতনায় বাউন্স করছে একটা কাগুজে ইশারা মাংসের শব্দে শব্দে যে স্মৃতি এক ঘটমান বর্তমান ক্রিয়া হয়ে… রঙ এক ফ্রেম রঙ এক ফ্রেম ছিঁড়ে ফেলছে জলে পড়া একটা দিনের ভেতর বোটানিকা বোটানিকা উচ্চারণে পাতার বিজ্ঞাপন শান্ত একটা পতাকায় সরে যাচ্ছে একটা ব্যালান্সিং অ্যাক্ট খুব ফিকে ছায়া খুলে ভাঙা ভাঙা লাইন পড়েছে পোড়া ভাষায় যা কিছু জন্মদাগ পর্যন্ত চকোলেট ক্ষেতের আরও ডানদিক বরাবর জ্বর আসার…
Read Moreশ্রীদর্শিনী চক্রবর্তী’র কবিতাগুচ্ছ
বর্ষার লেখা ৩ আকাশে প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়, তবুও আষাঢ় তুমি ইদানিং হারিয়েছ পুরাতন গ্লোরি। শহরে কদমের ফুল এখন বাড়ন্ত আর বিরক্ত মুখের কাছে হেরে যাচ্ছে সুখী বর্ণমালা। তাও এই বিকেলের নিজস্ব গহ্বরে ফিরে ঠুমরির বিলাসিতা করি আমি ক্লান্ত নাগরিক – দেশ যে রাগের নাম তাকে ভাঙা যায়নি এখনও। ৪ বুগেনভিলিয়ার ডাল পাতাশূন্য পুঁতে দিয়ে অপেক্ষায় আছি গোলাপি দুপুরের। কাঁটার স্পর্শে যে ব্যথা – বলে দেয় কিছু তবু হল – তার। এ ঋতু টুকরো থেকে গাছ হয়ে ওঠার কথায় সম্ভাবনার মত মায়া ছড়িয়েছে মাটিময়। তুমি তাকে ভালোবাসো – অপেক্ষা করো দুটি-একটি…
Read Moreঅনিন্দিতা গুপ্ত রায়-এর কবিতাগুচ্ছ
প্রকৃতি, পরমা এক নিজেকে পড়তে পড়তে প্রতিবার খুঁজে পাই নদীর ওপর ঝুঁকে পড়া গাছ বেগুনী বেগুনী ফুল, কালচে পাতায় ঘুম, মৃত্যুজটিল ফাঁদ। আমার আঙুল সেই গিঁট খুলে খুলে ঘুম দিতে চায়। অবিন্যস্ত মায়া থেকে কাচপোকা বেছে রাখে কলসির অতল গভীরে, গর্ভগৃহে। ভেজা গামছায় ঢাকে গতরাত্রের পান্তা ডোবানো টকজল। কোথাও বৃষ্টি এলে এ পাড়ায় নদী ফুলে ওঠে। কাত হয়ে থাকা নৌকোর খোলে স্যাঁতসেঁতে শীতলপাটির খুলে যাওয়া লেখার পাতার মত অবিকল। পান্ডুলিপির গায়ে জমে ওঠা বাস্পবিতান, মেঘপুরাণের ইতিকথা, জলভারনত অক্ষরমালা। সন্ধ্যাসকাল তবু দেওয়ালের কাছে যাই অভ্যেসবশে। জানলাবিহীন তার দৃষ্টি ছাড়িয়ে উঠে যাওয়া…
Read Moreদীপ্তেন্দু জানা’র কবিতাগুচ্ছ
বাকিটা অস্পষ্ট থাক ১) আমারই রচিত রহস্যে আমিই ফেঁসে গেছি জাল ফেলে বসে আছে জেলেরা এত সুর কোথা থেকে আসে ভেবেছো কি তোমাদের বলছি শোনো প্রিয় সন্তান মহামস্তিষ্ককে প্রণাম কর সোজাসাপটা বলছি শোনো প্রিয় সন্তান সব উত্তর জানতে নেই ২) প্রশ্ন একটা পথ উত্তর তাকে সমাপ্ত করে আমাদের ভেতর অপেক্ষা আর অপেক্ষার ভেতর আমরা হেঁটে বেড়াই রহস্য একটা পথ রহস্য তাকে লম্বা করে উদযাপন কর এই রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য নয় ৩) মহাসমারোহে হাঁটো হাঁটতে হাঁটতে নিজের সাথে দেখা হয়ে যাবে ঠিক নিজেকে আর ব্যাখ্যাতীত মনে হয় না খুঁজে পেয়েছি মেধাফুলকি…
Read Moreদিব্যেন্দু দলুই-এর কবিতাগুচ্ছ
০.০১ শাপলার বেদনা যেথা রূপ হয়ে ফুটে আছে, সেইখানে মজে গেল ঘুণে-ধরা শালতির গলুই পরিহাস ছলকে ওঠে জোছনার, নির্জন ঢিবির খেদ বিহ্বলতা এনে দেয়— ঝিনুকের বোবা ঘুম, নক্ষত্রের নীচে গূঢ় কালো জলের নির্বন্ধ, টানা ঝিঁঝিঁডাক শুনে যে-শ্রমিক নেমে গেল গহীন পাতালে, তার বুকের কাদায় শিঙিমাছ মরে গেছে বহুদিন: মেয়েটি বাসন মাজছে আঘাটায় বসে দু-চোখে তমালছায়া, থুতনিতে লাজুকতম তিল, ঝুড়ি হাতে জোছনার দশক ডিঙোচ্ছে হাওয়া দিয়েছিল সে আমার অসুখে শেকড়বাটা লেপে কোনো একদিন আমি তার গোলাপি নরম ঠোঁটে রেখেছি বিষের নীল, আজও রাত গেলে বেগনি আভায় ফুটে ওঠে সেই প্রেম শালতির…
Read Moreগৌতম চৌধুরী’র কবিতাগুচ্ছ
অপরগুচ্ছ ১. উঁচুনিচু সাত রকম অন্ধকার। নিজের ছায়াও অচেনা ঠেকিতে পারে। ওদিইকে খেলার প্রহর গড়াইয়া যায়। অবশ্য, খেলিতেই হইবে, এমন কোনও মাথার দিব্য কেহ দেয় নাই। ঘরের কোণে থুম ধরিয়া বসিয়া নেশাভাঙ করিলেই বা কাহার কী! তুই বেটা মর্, মরিস না কেন – বলিয়া ঘুলঘুলির ফাঁক হইতে শাপান্ত করিবে একটি ঘাঘু মাকড়সা। সে ভাবিতেছে, তাহার বাড়া ভাতে বুঝি ছাই পড়িল। ঘর-দুয়ার ফাঁকা থাকিলেই তাহার পোয়াবারো। একটু পরে ছাদের কার্নিসে বসিয়া জ্যোৎস্না ভাঙিতে বসিবে পরীর দল। ঘুলঘুলির ফাঁক হইতে উপুড় হইয়া তাহাদের ঠ্যাঙের দুলুনি দেখিবে মাকড়সা। তাহার দৃষ্টি অতটুকুই। ঠ্যাঙের উপরে…
Read Moreকুন্তল মুখোপাধ্যায়ের কবিতাগুচ্ছ
প্রস্তাব শরীর কেমন আছে ? এ কথার উত্তরে বারবার বলেছি ‘ সুধা তোমাকে ভোলেনি’, দেখো মেনোপজ সন্ধ্য নেমে আসার আগের এই দুপুর, তুমিও রোদের দিকে পিঠ দিয়ে বসে আছ , আমি বাতাসে ভেসে যাবো কীনা ভাবছি কারণ অতীতের সমস্ত উড়ান কোনো দুর্নিবার আকাঙ্খায় নষ্ট হয়ে গেছে , দূরের সপ্তাহের ডানা ভাঁজ করে রাখা আছে ছাদের গোঁসাঘরে , তুমি রৌদ্রের নমিতস্নান সেরে উঠলে দেখতে পাবে যে মাদুরে বসে আছ সেখানের আল্পনা পাল্টে যাচ্ছে , মূলত আমাদেরই সম্পর্কজটিল ঘূর্ণি কী ,এক মিথোস্ক্রিয়ায় , সূর্যের আলোতে বারেবারে পাল্টে যাচ্ছে , বিগত সকালে আমি…
Read Moreসাম্য রাইয়ানের কবিতাগুচ্ছ
অন্ধকাল বেরিয়ে আসতে পারো শামুকী খোলস ছেড়ে দেখতে পারো পুরোটা আঁধার — কতোটা জটিল জ্বালানীবিহীন কী নির্মম এই অন্ধকাল! আকাশে মেঘ নেই, তবু পৃথিবীজুড়ে অন্ধকার নিবিড় অন্ধকার! শাদা প্রজাপতি এইখানে আমি একা, নিঃসঙ্গ পরিব্রাজক। তারপরও সে আছে এখানেই মাড়াইকৃত চালের মতো শুভ্র শরীর নিয়ে এখানেই কোথাও সে রয়ে গেছে অপ্রকাশিত প্রজাপতি হয়ে। শাদা প্রজাপতি এক জীবন্ত এরোপ্লেন। হাত বাড়ালেই তার উন্মাতাল গান উঠে আসে হাতে কান্নার সুর। দৃশ্যের মিউজিয়াম জীবনকে মনে হয় ছায়াশীতল মিউজিয়াম। তুমি কি ধ্বংশমতো কারাগারের রক্ষী? একদিন শাশ্বত হয়ে যেতে পারে সবকিছু,…
Read Moreউজ্জ্বল ঘোষের কবিতাগুচ্ছ
চা খাও, জীবন যদি ভেবে নাও মহাশূন্যে বসে আছে চায়ের দোকানী, তবে হাওয়া ভরে যাবে সুবহ-আড্ডায়, বাঁশবাগানোর মতো ফুটে উঠবে মানুষের রাঙা কলরব। আটখানা দীর্ঘদেহী নারকেল গাছ লম্বা হাত মেলে দেবে তোমার দু’দিকে। নীচে কলা বন, আর হানার দু’ধারে ঝোপঝাড়, কয়েকটা বাড়ি কাছে দূরে। মাঝখানে তুমি, মাটি ছুঁয়ে দাঁড়িয়েছ, মাটির কটোরা। রবিবার শুক্তো রান্না সেরে, চান করে চুল শুকোচ্ছে শ্রীমতী। যদি তুমি শ্রীমতীর কুচি ধরে দাও; যদি সোম-শনি তাকে বাসস্টপে ছেড়ে বল’, “সাবধানে যেও”; তবে ঠিক জেনো মহাশূন্যে উঁকি দেবে কেটলির মুখ, মাটির কটোরা থেকে উৎসারিত হবে ভোলগা-গংগা…
Read Moreতাপস বিশ্বাসের কবিতাগুচ্ছ
দাগ এইখানে দাঁড়ালে ছোট হয়ে আসে সহজের জনপদ। ডানা কাটা বিন্দু যেমন দু’পাশ থাকে না, আমি থাকে। স্বমেহন থাকে। আত্মার চাতুরির মতো শীত থাকে। এই যে পা চিনে চিনে উপায়ের শৃঙ্গ হল এই যে সম্মোহন জমে জমে বাদাম হল তোমার শেখানো ভাষায় নিজেকে কামড়ের অদ্ভুত দাগ হল ডার্করুম ফিল্মে ফুরোচ্ছি যেন আবার। যেন ফিরেও আসছি। চকমকি গানের মতো যেন এও এক বিনিময়। সুতোয় চোখ ভুলে ঝুলে আছি যেন। নিষিদ্ধ হয়ে আছি। যেন চোখেরই অবশিষ্ট কোনও রং। তুমি থেকে থেকে আসছ এমন এক অন্ধতা নিয়ে যার…
Read Moreদিদার মালেকী’র কবিতাগুচ্ছ
সব ডুবে যাচ্ছে, প্রিয়ে করলডেঙা কতো দূর? গরুর গলায় ছুরি গাছের আগায় আগুন করলডেঙা কত দূর? পেটে আসে না পুত্র রাজা ফিরিয়েছে জায়া মেধসমুনিকে স্বপ্নদর্শন! দুর্গতিনাশিনী দেবী তারই দ্বারে কৃতদার আরতিতে জাগছে আশ্রম ‘কোথায় কৈলাশ মাগো সন্ধানে আমি জ্যান্ত লাশ দেখা দাও ফুল দেবো’ পাতা কুড়োচ্ছে দশভূজা তিন প্যাঁচে পরিধেয় তার লোহিত ছুটছে ত্রিনয়ন! ঘৃতমুখি নারীদের জটলা বচসা লেগেছে রমণে কার পান্ডা কতোটা সবল! তারই মাঝে সুফি এক ‘সত্যরে দেখেছি আমি দেখাবো ভক্তিসম্মিলনে’ তারপর জোছনা বালিকা মালিকা গাঁথছে নুড়িতে বসনে তার বাসন্তী চীবর পেট ফুলে গেল তার স্ফীত…
Read Moreরিমঝিম আহমেদের কবিতাগুচ্ছ
রাক্ষস তুমি মাংসখেকো এ কথা জানা– কেন তাও পাঠালাম পাগল নিশ্বাস? ভেতরে এতটা রাক্ষস পুষে দুইবেলা তোমার নিরামিষ ভোজন। তোমার জিভ থেকে, লালা থেকে উদগ্র কামনাগন্ধ তেড়ে আসে। দাঁতে মাংসলাগা হাসি। আমি কি বিষণ্ণ হব? আমি কি কেঁদেকেটে মাথায় তুলব পাড়া? ছড়াব আর্তচিৎকার রাত্রির বিষাক্ত ক্ষরণে? দু’হাতে তোমাকে সরিয়ে দিই। বোধের অঙ্গন থেকে উপড়ে নিতে চাইছি সমস্ত কামনাফল। ছুরির ফলার মতো নখ বিঁধে যাচ্ছে কণ্ঠে, নাভি ও ঊরুতে। স্ববিরোধ অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে আমার মুখ। আর হা করলেই হড়বড় করে বেরিয়ে আসছে লালারক্ত। আমি ধুয়ে নিতে চাইছি তাবৎ রক্তরিরংসা।…
Read Moreগালিব উদ্দিন মণ্ডলের কবিতাগুচ্ছ
রুহুরোপন অথবা জন্মদিনের কবিতা ভোরের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে ঘাস । খুলে গেছে আঁতুড়ঘরের জানালার ছিটকিনি । স্নানের পরে মায়ের থুতনির মতো এই ফজরের আকাশ ।পায়রাছানার মতো ফুরফুরে হাওয়া । এক তাল মাটি থেকে এক-আদমের কারখানা । ডারউইনের চ্যাপ্টার হারিয়ে যাচ্ছে-যাচ্ছে-এমন-দিনে নুহ তার নৌকায় তুলে নিলেন রূপান্তরের সন্দর্ভ । দুই ছিপছিপে এই ঝুমুর গানটি রাখো অনেক দুরের ক্যারাভানটি তোমার সব জয় করো , তৃষ্ণাটুকু হাঁড়ির সরার গায়ে লেগে থাক শালিক পাখির চোখের মতো এই বিস্ময় একদিন আমরা পেয়ে যাব ব্যাঙ্গাচি কেটে কেটে ফিরে আসছে খোলাম উদোম গায়ের ঘুড়ি পাট শাক…
Read Moreপৌষালী চক্রবর্তী’র কবিতাগুচ্ছ
ঠিকা শ্রমিকের ইস্তাহার মথুরানগর থেকে বসন্তে আসেনা আর কোনই মস্তান মুরলিবিহীন পথ ছয়লাপ শুধু আজ ছাদ পেটানোর গানে ধীরে ধীরে ভরে ওঠে শহরের মেধাবী শূন্যতা তবু তো সহজ নয় ভাবি বেদনার পরিবর্তে এই নির্মোহ নির্মাণ… মাঝেমাঝে ওদের, কেউ কেউ পড়ে থাকে নষ্ট ঘিলু যেন থ্যাঁতলানো আপক্ক ফল অক্ষিকোটর ছেড়ে ঠিকরানো তৃণগুল্ম- তাকিয়ে থাকা আর প্রিয় স্পর্শহীন কোনো সমাধিস্থল নৌকাপটু ভীল তরুণীকে চেনাতে চাইলে কেন ট্র্যাফিক সিগন্যাল! খ্রিস্টজন্মের কথা চিনার গাছের পাতা, তোমার উড়ন্ত ছায়ার দিকে আমার কেবলই মনে পড়ে ক্রুশ কাঁধে হেঁটে যাওয়া মেরীর সে ছেলেটির কথা গ্রাম নদী কন্দরের…
Read Moreরুম্মানা জান্নাত-এর কবিতাগুচ্ছ
`মিস করি` সিনট্যাক্সের বাইরে, তোমাকে ২৮ তোমার শৈশব দেখতে ইচ্ছা করে। পেন্সিলের ভাঙা নিব, কবুতর খুঁজতে থাকা বিকাল আমি কল্পনা করেছি৷ ওই পুরানা গড়ের মাঠ আমার বহুবার দেখা৷ তোমাকে লিখেছি, একটা ছবি হয়ে থাকা শাপলার বিলে কখনোই যাওয়া হয় নি আমার৷ আজ পাশাপাশি থাকার সত্যতা জানি। সন্দেহও৷ জানি, তোমার না তাকানোর ভঙ্গিমা কত যুগ ভারি। তোমার বড়শিতে গেঁথে থাকা বৃষ্টির মাস, বেদেনির মুখ- আমাকে আচ্ছন্ন করে। তরুণ হয়ে আসা মুখ, ভাঙা স্বর আমি শুনতে পাই। মনে হয়, তোমার ছেলেবেলা থেকে একটা বাতাস এসে আমাকে ছোট্ট হলুদ ফুলের মতো দোলায়— …
Read Moreশৈবাল সরকারের কবিতাগুচ্ছ
অসুখের ভ্রমণচিহ্নগুলি ১. বাদবাকি ওষুধগুলোর দিকে চেয়ে থাকি প্রতিটি দিনের জন্য এতোগুলো রঙ মেঝে থেকে ওগরানো জলে গুলে যেতে থাকে দূরে কেউ একজন পাগল হয়ে যাচ্ছে এমন স্বর্গীয় মুখোশের দিনে সেই দিকে ছুটে যাচ্ছে সমস্ত হাওয়াগাড়ি তার পাঁজর ভর্তি গাছপালা নিয়ে ২. তারগুলি ছড়ানো রয়েছে যাতায়াত জুড়ে কবরের বোতাম খুলে উঠে আসা বাতাসেরা সেইসব তার বেয়ে ছুঁয়ে আসে ঢেকে রাখা মুখগুলি। এই তাদের শেষটুকু ছোঁয়াচ রঙচটা অসমান একটা অ্যাম্বুলেন্সে চেপে দিগন্তের দিকে ছুটে চলেছে ৩. দিনকাল মেঘলা হয়ে এলো হাতির পায়ের কাছে বসে আছে নিরীহ শহর এক তার ছেঁড়াখোঁড়া জামাখানি…
Read Moreআম্রপালী দে’র কবিতাগুচ্ছ
হুল ১. হে মানবতা, তুমি জানো এখনো শীতকাল আসেনি তবুও বহু শরীর শীতল আলুর গুদামে অথবা দিনের অন্ধকারে আকাশের নিচে থরথর করে কাঁপছে কাঁপতে কাঁপতে ওরা স্থির হয়ে যায় বহু গল্প ভেসে ওঠে, মিলিয়ে যায় ২. এক পৃথুলা অন্ধকারে ঘুমিয়ে আছি কিছু গুলি লক্ষ্যভেদ করে শরীরের ওপর আছড়ে পড়ল শরীর ভেদ করে গাছ হল যার প্রতিটি ফুল একেকটি সদ্যোজাতের মুখ ৩. হে ঈশ্বর, মৃত পাতাটির মত স্থির এক দেশের কথা জেনেছি শুনেছি সেখানে আগ্নেয়গিরি থেকে লাভার বদলে রক্ত বেরিয়ে আসে ৪. ঐ দেখো পিরামিড তৈরি হচ্ছে প্রতিটি স্তরে গুঁজে…
Read Moreরঘু জাগুলীয়া’র কবিতাগুচ্ছ
সারাদিন ১ সারাদিন কীটপতঙ্গের শোভাযাত্রা দেখি পাতায়-পাতায়, এক ডাল থেকে অন্য ডালে, তবু সংসাররূপী গাছ তারও আছে কিছু সংশয় বলো, ভালোবাসা নিয়ে আসে কোন পাখি? কোন নদীর নৌকাগুলি স্মৃতি হয়ে ভেসে আসে? এখানে আলোর ঝর্ণা তোমাকে সাজায় রঙীণ, মাঝে মাঝে সমবেদনার মতন আকাশ নীল দু-একটি প্রজাপতি এদিক-ওদিক উড়ে যায় ওদের পথ হারানোর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখিনি। ২ মোরগের ঝুঁটির মতো বিচ্ছুরিত লাল আকাশ ক্ষীণ একটা রেখায় মিশে আছে বনভূমি এমন একটি নদীর পাশে এসেছি আমি যার বুকের ভিতর পানকৌড়ি, হাসপাখি ডুবে ডুবে খেলা করে আর কূলে কূলে সুন্দরী-বাইন ফল ভেসে আসে…
Read More