সান্ধ্যভাষার জলস্রোত ১. বৃথা মানুষের সঙ্গে দিন কাটে । কতদিন তার সাথে দেখা হল জলে ও জঙ্গলে, আশ্চর্য লাইব্রেরির মাথায়। আজ সে একা হাতে বাজার করে। সবুজে সবুজ হয়ে ঘরে ফেরে মাংসময়। রবিবার। রবিবার নয় এমন দিনে ওই তার উচ্চকিত ফেরা… ২. গান জানো। তবে শোনাও। শ্রোতার চোখ যেন দেখতে পায় দুপুরের জোনাকি। যেন মনে হয় মরু শহরের উটের মালিকের বিষণ্ণতা জলীয় বিষয়। অচেনা হাত এইমাত্র ছুঁয়ে এল কাঁথাবোনা সুর। আমি শীতাতপ গানের মালিক। আমি শ্রোতার চোখ ঘুরিয়ে দিতে পারি ভাঙাচোরা জনতার দিকে ৩. বার্ধক্যভাতার মতো নেমে আসছে বারোয়ারি সিঁড়ি।…
Read Moreপঙ্কজ চক্রবর্তী
জন্ম ১৯৭৭। লেখা শুরু নব্বইয়ের দশকে। পঞ্চাশের বাংলা কবিতার আতিশয্যর বিরুদ্ধে এযাবৎ কিছু কথা বলেছেন। ভ্রমণে তীব্র অনীহা। কিংবদন্তি কবির বৈঠকখানা এড়িয়ে চলেন। এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ - বিষণ্ণ দূরের মাঠ চার ফর্মার সামান্য জীবন, উদাসীন পাঠকের ঘর, লালার বিগ্রহ, নিরক্ষর ছায়ার পেনসিল, নাবালক খিদের প্রতিভা। গদ্যের বই- নিজের ছায়ার দিকে, মধ্যম পুরুষের ঠোঁট। মঞ্চসফলতা কিংবা নির্জন সাধনাকে সন্দেহ করার মতো নাবালক আজও।