নিউটন – ১১

প্রকাশ পেল ‘ফিলসফিয়াই ন্যাচারালিস প্রিঙ্কিপিয়া ম্যাথেমেটিকা’   মায়ের মৃত্যুর পর উলস্‌থর্প থেকে কেমব্রিজে ফিরেই নিউটন হাতে পেলেন রবার্ট হুকের একটি চিঠি। ১৬৭৯-র একেবারে শেষদিক। বিগত কয়েক বছর ডুবে ছিলেন থিয়লজি ও অ্যালকেমির গবেষণায়। হুকের চিঠি, বাধ্য করল থিয়লজি ও অ্যালকেমি চর্চায় সাময়িক বিরতি টানতে। গ্রহ-উপগ্রহদের কক্ষীয় গতির অন্তর্নিহিত কারণানুসন্ধান ও সেই সংক্রান্ত গণিত নির্মাণে ব্যস্ত হয়ে গেলেন নিউটন।  প্রায় একই সময়ে ঘটল এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনা। ১৬৮০-৮১-র সন্ধ্যার আকাশে সুদীর্ঘ পুচ্ছ-বিশিষ্ট এক ধূমকেতুর আবির্ভাব, নতুন করে আকৃষ্ট করল নিউটনকে জ্যোতির্বিদ্যা চর্চায়।   এর কয়েক বছর পর (১৬৮৪), তরুণ জ্যোতির্বিজ্ঞানী, এডমন্ড হ্যালি,…

Read More

ডং গুইশিন এর কবিতাগুচ্ছ

কবি পরিচিতিঃ ডং গুইশিন থাকেন বেজিং শহরে, ‘হাইশিন’ ছদ্মনামেও লিখে থাকেন। চীনের দ্য পোয়েট্রি ইন্সটিটিউট এর সদস্য। ‘পোয়েম সিলেকশন ম্যাগাজিন’, ‘ইয়ানহে রিভার’ ইত্যাদি জার্নালে শতাধিক কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর নতুন কবিতার সংকলন ‘ফ্লুরোসেন্স’ প্রকাশিত হয়েছে ২০২০ তে।         ইন শিয়াওজুয়ায়েনঃ কবি, সম্পাদক, অনুবাদক। এনসাইক্লোপিডিক স্কুল অফ পোয়েট্রি’র প্রতিষ্ঠাতা। একাধিক ভাষায় লেখেন। কবিতাও অনূদিত হয়েছে বহু ভাষায়। নানান পুরস্কারে ভূষিত।           ডং গুইশিন -এর কবিতা ইংরেজি তর্জমা: ইন শিয়াওজুয়ায়েন বাংলা অনুবাদ: অনিমিখ পাত্র       চাইনিজ ক্যালিগ্রাফি ১. তাদের প্রবাহঃ যেন চ্যাংজিয়াং নদীর*…

Read More

বর্ণালী দত্ত’র কবিতাগুচ্ছ

  ১. যেখানে পথ নেই   মৃত্যুর পথে যেতে ভয় পাই। তীব্র মাথা যন্ত্রণার ভিতর তোমাকে মনে করা আরও ভয়ানক। রেল লাইন পার করলেই তোমার বাড়ি পৌঁছানো যাবে, তারপর একটা ছোট ডোবা, তারপর তুমি। শান্তির জন্য তোমার বাড়ি পৌঁছে যেতে চাই বারবার কিন্তু ডোবা পার করতে পারিনা। আমার অনির্দিষ্ট বাড়িতে কোনো সচল জীব আসেনা যখন থেকে বড় হলাম। তুমি অবধি পৌঁছানো বেঁচে থাকার চেয়েও জটিল ভাবলে আশ্চর্য হই।     ২. তুমি একটি অবলুপ্তির মত   একতলা বাড়ির মাথা ভেঙে যাওয়ায় যে অপমান লেগে থাকে, সেখানে মার্কেজ আমি লুকিয়ে রাখি…

Read More

ডলি জুম

  আপাতত তার মুখটাই শুধু দেখা যাবে ক্যামেরার সামনে । ঠোঁটের কোণে একটু হতাশা লেগে থাকবে। দু চোখে থাকবে স্থির দৃষ্টি। সেই দৃষ্টি  নিষ্পলক , ভিতর পড়ে নেবে  যেন। কোথায় যেন গ্রন্থি গুলো শিথিল হয়ে যাবে , সেই চোখের দিকে তাকিয়ে।  তার এই মুখ আপাতত থাকবে আমাদের ক্যামেরার সামনে। আমরা সবাই এসে গেছি, হিরোইন মেক আপ করে এসে গেলই , মালবিকাদি শট টা আরেকবার তাকে ভালো করে বুঝিয়ে দেবে। সব সেট হয়ে গেলে, তারপরে আমাদের কাজ শুরু হবে।  সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে আমার এটা দ্বিতীয় কাজ। এখনও ইন্ডাস্ট্রির অনেককে ভালো করে চিনিনা।…

Read More

সুমন সাধু’র কবিতাগুচ্ছ

১ বিষাদ ভুলিয়ে দিচ্ছেন জীবন যেন তাকের আড়ালে রাখা ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ ধুলো ঝেড়ে নাম লেখাচ্ছে হিজড়েদের দলে আর পাড়ায় জমছে অশান্তিতুতো হ্যান্ডসামরা যেদিকে তাকাই শুধু ধূ-ধূ শরীর যত্নআত্তি না পেয়ে ক্রমশ শরীর শুকোচ্ছে মন রয়ে যাচ্ছে মনে দ্রুত ব্যস্ততায় হাতে সময় থাকছে না মানুষ মানুষকে ভালোবাসছে না আর         ২ বর্ণময় অতীতের কাছে ফেলে আসছি ঘুম জীবদ্দশায় আর কোনো অশান্তি থাকছে না তোমার স্পর্ধার গায়ে এঁকে দিচ্ছি কালচিহ্ন অকস্মাৎ শরীরে ক্ষয় হৃদয়ে জলজ ডানার আর্তি এ নশ্বর দেহ তোমায় উৎসর্গ করে যাব হে ক্ষণকাল, হে পরাগমিলন      …

Read More

হিন্দোল ভট্টাচার্য’র কবিতাগুচ্ছ

  অস্ত্র   যেখানে দাঁড়াই, দেখি, মূর্তিগুলো ভাঙা, পড়ে আছে যুদ্ধে মৃত সৈনিকের রক্তমাখা শরীর যেমন। চকচকে ধারালো অস্ত্র দিনে দিনে মরচে পড়ে যায়। প্রতিটি মূর্তির কিছু কথা আছে, জানেন ভাস্কর। প্রতিটি অস্ত্রের থাকে বেদনা, বিষাদ। ক্ষতস্থান থেকে শুধু রক্ত পড়ে। রক্ত, প্রাণ নয়। ভাস্কর জানেন, তিনি কার মূর্তি গড়তে গিয়ে কাকে গড়ে তুলেছেন একা। যুদ্ধক্ষেত্র জুড়ে পড়ে থাকে তার ক্ষয়।     অভিশাপ   যে বিষাক্ত হয়ে আছি, এই বিষ তোমাদের দেওয়া। আমার ওষুধ নেই, অপমান আছে। মনে হয় এ কথাটি বলেছি আগেও; মনে হয় খোকা খোকা মুখ করে…

Read More

অনুপম পোল্লে’র কবিতাগুচ্ছ

    শূন্য ক্ষতস্থান   প্যাঁচার নির্জনতা বাড়ায় যে নক্ষত্র তাকে আমি ছেড়ে এসেছি- জ্যোৎস্নায় আধো ডোবা অবৈধ মৃত্যুর লোভে ভালোবেসেছি বিষণ্ন রাতের জবানবন্দী জুড়ে ছেঁকে ওড়া জোনাকির মতো ফুটে থাকা তোমার গন্ধরাজ, শৈশবের রঙীন নদী যত; হারানো বাড়ি-চিঠি-স্নেহ ফিরিয়ে আনে সমুদ্র বারবার তোমাকে কীভাবে ভোলে শূন্য ক্ষতস্থান তোমাকে কীভাবে ভোলে কবিতা আমার! শৃগাল ক্ষুধার্ত হলে রাত্রি বেড়িয়ে পড়ে সম্ভোগ শিকারে; হুহু মেঘ-চোখে, তুমি আড়াল হয়েছো দীর্ঘ শ্রাবণের ভারে যেন উড়ন্ত চিলের আদলে ছেড়ে যাচ্ছ প্রতি পিছুটান যেন পিছু নাও অন্তহীন মর্মরের যা স্বপ্নকে ঘর বলে মানে আর হাওয়ায় হারিয়ে…

Read More

আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতাগুচ্ছ

পার্শ্ব চরিত্র   ১ পিছিয়ে রয়েছে ভাষা অনিবার্য প্রজন্মের ফাঁক যে লোকটি তুলে আনে বিতর্কিত এই শব্দ কপালে রেখেছি তার চুম্বন পুরোনো প্রয়োগে সতত পিছনে হাঁটা প্রতিদিন চাল ডাল কেনা উত্তরের গাড়ি ধরা বিজ্ঞানও সেসব জানে না জানে না অফিস গেলে দু’বাক্স সিগারেট রোজ কীভাবে ফুরিয়ে যায় ভদ্রতার খাতির বশত ২ বয়স তিরিশ ছোঁবে, বাবা-মা’র ষাটের স্তবক সামান্য ঘুমের শব্দে হেরফের কানে আসে যদি শরীরে রক্তের স্রোত জল হবে কেননা সময় বড় বেয়াদপ তাকে বাঁচিয়ে খারাপ কবিতায় পুষেছি বেআব্রুভাবে তুমি তার সাক্ষী হও যদি দুবেলা ভাতের পরে চাইব না নরম…

Read More

অর্পিতা কুণ্ডু-এর কবিতাগুচ্ছ

বিকল্প ১ নিজেকে দেখার চেয়ে বড় খেলা পৃথিবীতে নেই আমি কী কী পারি আর কতটা পারি না কতটা ক্ষমতা আর কীভাবে বৃত্তের শেষে পরিধি পেরোই, কীভাবে জলের পাশে বেজে ওঠে ড্রাম, বিউগল স্তব্ধতার বুক চিরে কীভাবে ছিটকে ওঠে কান্নার ফোয়ারা, তাই দেখি, তাই দেখি, সেভাবেই খেলা জমে ওঠে… ২ ছিঁড়ি ছিঁড়ি ভাব করি, ধুয়ো তুলি এই ছিঁড়লাম ধাবিত রক্তের পাশে ফেলে রাখি মরচে-ধরা ব্লেড মাথার ভেতর খুঁজি গলি-ঘুঁজি, পর্দা তুলে নামি পরবর্তী পর্দা খুলে যায়, মজার খেলা রে ভাই, হাওয়ার রেখায় আর কালের রেখায় আলো সরে সরে যেতে থাকে, নিভে…

Read More