Three Poems of Yuan Hongri

Translated by Yuanbing Zhang Bio:Yuan Hongri (born 1962) is a renowned Chinese mystic, poet, and philosopher. His work has been published in the UK, USA, India, New Zealand, Canada, and Nigeria; his poems have appeared in Poet’s Espresso Review, Orbis, Tipton Poetry Journal, Harbinger Asylum, The Stray Branch, Pinyon Review, Taj Mahal Review, Madswirl, Shot Glass Journal, Amethyst Review, The Poetry Village, and other e-zines, anthologies, and journals. His best known works are Platinum City and Golden Giant. His works explore themes of prehistoric and future civilization. Yuanbing Zhang (b.…

Read More

খুঁজতে খুঁজতে যতদূর

প্রাচীন দুনিয়ার দিকে একটি ভূমিকা  ফিরি ইউরোপে। ২০০২ সাল থেকে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে এই মহাদেশের সঙ্গে ২০০৭ সালে গিয়ে সে পৌঁছলো এক প্রত্যক্ষতায়। এই বিষয়ে নানা লেখা ছড়িয়ে আছে, কৌরবের পাতায়, অন্যান্য জায়গায়। এই গদ্যমালায় আমি লিখতে চাই কীভাবে ইউরোপে রচিত এস্পানিওল ভাষার কবিতা এবং সরাসরি এস্পানিয়া নামক দেশের পাঠ সংস্কৃতি আমার সামনে এক অন্য দুনিয়া খুলে দিয়েছে। আর সেই প্রসঙ্গে ফিরতেই হয় ২০০৭ সালে। খুয়ান রামোন খিমেনেস এর একটি প্রকাশিত কবিতার বই প্রকাশ পাচ্ছে। সে বই বিস্ফোরক কারণ সে এক তীব্র মাংসল প্রেমের কবিতা, কবির উত্তুঙ্গ যৌবনের চিহ্ন।…

Read More

গালিব উদ্দিন মণ্ডলের কবিতাগুচ্ছ

রুহুরোপন অথবা জন্মদিনের কবিতা ভোরের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে ঘাস । খুলে গেছে আঁতুড়ঘরের জানালার ছিটকিনি । স্নানের পরে মায়ের থুতনির মতো এই ফজরের আকাশ ।পায়রাছানার মতো ফুরফুরে হাওয়া । এক তাল মাটি থেকে এক-আদমের কারখানা । ডারউইনের চ্যাপ্টার হারিয়ে যাচ্ছে-যাচ্ছে-এমন-দিনে নুহ তার নৌকায় তুলে নিলেন রূপান্তরের সন্দর্ভ ।   দুই ছিপছিপে এই ঝুমুর গানটি রাখো অনেক দুরের ক্যারাভানটি তোমার সব জয় করো , তৃষ্ণাটুকু হাঁড়ির সরার গায়ে লেগে থাক শালিক পাখির চোখের মতো এই বিস্ময় একদিন আমরা পেয়ে যাব ব্যাঙ্গাচি কেটে কেটে ফিরে আসছে খোলাম উদোম গায়ের ঘুড়ি পাট শাক…

Read More

পৌষালী চক্রবর্তী’র কবিতাগুচ্ছ

ঠিকা শ্রমিকের ইস্তাহার মথুরানগর থেকে বসন্তে আসেনা আর কোনই মস্তান মুরলিবিহীন পথ ছয়লাপ শুধু আজ ছাদ পেটানোর গানে ধীরে ধীরে ভরে ওঠে শহরের মেধাবী শূন্যতা তবু তো সহজ নয় ভাবি বেদনার পরিবর্তে এই নির্মোহ নির্মাণ… মাঝেমাঝে ওদের, কেউ কেউ পড়ে থাকে নষ্ট ঘিলু যেন থ্যাঁতলানো আপক্ক ফল অক্ষিকোটর ছেড়ে ঠিকরানো তৃণগুল্ম- তাকিয়ে থাকা আর প্রিয় স্পর্শহীন কোনো সমাধিস্থল নৌকাপটু ভীল তরুণীকে চেনাতে চাইলে কেন ট্র্যাফিক সিগন্যাল! খ্রিস্টজন্মের কথা চিনার গাছের পাতা, তোমার উড়ন্ত ছায়ার দিকে আমার কেবলই মনে পড়ে ক্রুশ কাঁধে হেঁটে যাওয়া মেরীর সে ছেলেটির কথা গ্রাম নদী কন্দরের…

Read More

উলটপুরাণ

দিল্লী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলে মনে হয়, ইন্দ্রপ্রস্থে এলাম। চারিদিকে হাতি ঘোড়া নৃত্যরতা তন্বীর সোনালী মূর্তি, কাজু বরফি, চন্দন কাঠের দোকান। পারলে একটা রাধামাধবের মন্দিরও গড়ে ফেলে! ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া নাম দিয়ে এরকম একটা দেখনদারি ভারতবর্ষ গড়ে তোলা হয়েছে হচ্ছে কয়েক দশক ধরে তিলেতিলে। যে ভারত আসলে নেই, কখনো ছিল না, শুধু দেখানোর জন্য আছে। পেটোয়া শিল্পী, ইতিহাসবিদ, সংগীতজ্ঞ, দার্শনিক, আর্কিটেক্ট, রেস্তোরাঁ মালিক, ক্রিকেটার, সাহিত্যিক সবাই মিলে এই মিথ্যে ভারত গড়ে তুলেছে। খাঁটি নির্ভেজাল ভারতীয় মিথ্যা তথা মিথ। মিথ মানেই মিথ্যা আখ্যান। একদা কামধেনু নামের গরু বা রাম নামে প্রজাবৎসল রাজা ছিল…

Read More

রুম্মানা জান্নাত-এর কবিতাগুচ্ছ

`মিস করি` সিনট্যাক্সের বাইরে, তোমাকে ২৮ তোমার শৈশব দেখতে ইচ্ছা করে। পেন্সিলের ভাঙা নিব, কবুতর খুঁজতে থাকা বিকাল আমি কল্পনা করেছি৷ ওই পুরানা গড়ের মাঠ আমার বহুবার দেখা৷ তোমাকে লিখেছি, একটা ছবি হয়ে থাকা শাপলার বিলে কখনোই যাওয়া হয় নি আমার৷ আজ পাশাপাশি থাকার সত্যতা জানি। সন্দেহও৷ জানি, তোমার না তাকানোর ভঙ্গিমা কত যুগ ভারি। তোমার বড়শিতে গেঁথে থাকা বৃষ্টির মাস, বেদেনির মুখ- আমাকে আচ্ছন্ন করে। তরুণ হয়ে আসা মুখ, ভাঙা স্বর আমি শুনতে পাই। মনে হয়, তোমার ছেলেবেলা থেকে একটা বাতাস এসে আমাকে ছোট্ট হলুদ ফুলের মতো দোলায়—  …

Read More

শৈবাল সরকারের কবিতাগুচ্ছ

অসুখের ভ্রমণচিহ্নগুলি ১. বাদবাকি ওষুধগুলোর দিকে চেয়ে থাকি প্রতিটি দিনের জন্য এতোগুলো রঙ মেঝে থেকে ওগরানো জলে গুলে যেতে থাকে দূরে কেউ একজন পাগল হয়ে যাচ্ছে এমন স্বর্গীয় মুখোশের দিনে সেই দিকে ছুটে যাচ্ছে সমস্ত হাওয়াগাড়ি তার পাঁজর ভর্তি গাছপালা নিয়ে ২. তারগুলি ছড়ানো রয়েছে যাতায়াত জুড়ে কবরের বোতাম খুলে উঠে আসা বাতাসেরা সেইসব তার বেয়ে ছুঁয়ে আসে ঢেকে রাখা মুখগুলি। এই তাদের শেষটুকু ছোঁয়াচ রঙচটা অসমান একটা অ্যাম্বুলেন্সে চেপে দিগন্তের দিকে ছুটে চলেছে ৩. দিনকাল মেঘলা হয়ে এলো হাতির পায়ের কাছে বসে আছে নিরীহ শহর এক তার ছেঁড়াখোঁড়া জামাখানি…

Read More

আম্রপালী দে’র কবিতাগুচ্ছ

  হুল ১. হে মানবতা, তুমি জানো এখনো শীতকাল আসেনি তবুও বহু শরীর শীতল আলুর গুদামে অথবা দিনের অন্ধকারে আকাশের নিচে থরথর করে কাঁপছে কাঁপতে কাঁপতে ওরা স্থির হয়ে যায় বহু গল্প ভেসে ওঠে, মিলিয়ে যায় ২. এক পৃথুলা অন্ধকারে ঘুমিয়ে আছি কিছু গুলি লক্ষ্যভেদ করে শরীরের ওপর আছড়ে পড়ল শরীর ভেদ করে গাছ হল যার প্রতিটি ফুল একেকটি সদ্যোজাতের মুখ ৩. হে ঈশ্বর, মৃত পাতাটির মত স্থির এক দেশের কথা জেনেছি শুনেছি সেখানে আগ্নেয়গিরি থেকে লাভার বদলে রক্ত বেরিয়ে আসে ৪. ঐ দেখো পিরামিড তৈরি হচ্ছে প্রতিটি স্তরে গুঁজে…

Read More

রঘু জাগুলীয়া’র কবিতাগুচ্ছ

সারাদিন ১ সারাদিন কীটপতঙ্গের শোভাযাত্রা দেখি পাতায়-পাতায়, এক ডাল থেকে অন্য ডালে, তবু সংসাররূপী গাছ তারও আছে কিছু সংশয় বলো, ভালোবাসা নিয়ে আসে কোন পাখি? কোন নদীর নৌকাগুলি স্মৃতি হয়ে ভেসে আসে? এখানে আলোর ঝর্ণা তোমাকে সাজায় রঙীণ, মাঝে মাঝে সমবেদনার মতন আকাশ নীল দু-একটি প্রজাপতি এদিক-ওদিক উড়ে যায় ওদের পথ হারানোর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখিনি। ২ মোরগের ঝুঁটির মতো বিচ্ছুরিত লাল আকাশ ক্ষীণ একটা রেখায় মিশে আছে বনভূমি এমন একটি নদীর পাশে এসেছি আমি যার বুকের ভিতর পানকৌড়ি, হাসপাখি ডুবে ডুবে খেলা করে আর কূলে কূলে সুন্দরী-বাইন ফল ভেসে আসে…

Read More

নিউটন – ৭

লুকাসিয়ান প্রফেসর ১৬৬৯ সাল। নিউটনের জীবনের সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছর। ওই বছরের একেবারে গোড়ার দিকে লন্ডন নিবাসী এক ভদ্রলোক সদ্য প্রকাশিত একখানি গণিত বই প্রফেসর ব্যারোকে ডাক মারফত পাঠালেন। ভদ্রলোকের নাম জন কলিন্স। ব্যারোর পূর্বপরিচিত। কলিন্স এক অদ্ভুত  চরিত্রের মানুষ। পেশায় সরকারি কেরানি, কিন্তু গণিত তাঁর নেশা। রয়্যাল সোসাইটির সদস্যও তিনি। ইউরোপের কোথায় গণিতে নতুন কি আবিষ্কার হল, নতুন কি প্রকাশ পেল, সেসবের সমস্ত খবরাখবর সংগ্রহ করে বেড়ান। ইউরোপের প্রথম সারির প্রায় সব গণিতজ্ঞের সাথেই নিয়মিত যোগাযোগও রাখেন। ব্যারোকে অঙ্কের যে বইটি পাঠিয়েছেন, তার লেখক নিকোলাস মার্কেটর। মার্কেটর, তাঁর এই…

Read More

আফগান কবিতা

অনুবাদঃ ঈশিতা ভাদুড়ী কবি-পরিচিতি লায়লা সারাহাত রুশানি ১৯৫২ থেকে ১৯৫৪-র মধ্যে কখনও জন্মগ্রহণ করেছেন, কাবুলের উত্তরে পেরওয়ান প্রভিন্সের রাজধানী চারিকারে। তিনি লায়লা নামেও পরিচিত ছিলেন। ১৯৭৭এ কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। তাঁর বাবা সারশার রুশানি সাংবাদিক ছিলেন, ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল সারশার রুশানিকে। সারাহাত রুশানি কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তাঁর বোন অস্ট্রেলিয়ায় মারা যায় এবং তার পরপরই শোকে তাঁর মার মৃত্যু হয়।  তিনি বেশ কয়েকটি কবিতা-সংকলন প্রকাশ করেছিলেন, যার মধ্যে প্রধানত আধুনিক ফার্সি কবিতা ছিল। তাঁর কবিতায় মূলত দুঃখ-যন্ত্রণার বহিপ্রকাশ দেখা যায়, যে অভিজ্ঞতা তাঁর আফগানিস্তানের যুদ্ধ থেকে হয়েছিল।…

Read More

চার্লস সিমিক -এর কবিতা

অনুবাদঃ শৌভিক দে সরকার    চার্লস সিমিকঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম কবি চার্লস সিমিকের জন্ম ১৯৩৮ সালে যুগোস্লাভিয়ার বেলগ্রেড শহরে। ষোল বছর বয়সে তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে আমেরিকায় চলে এসেছিলেন। ১৯৬৬ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ,‘হোয়াট দা গ্রাস সেস’। ‘আনএন্ডিং ব্লুজ’,‘হোটেল ইনসোম্যানিয়া’,‘নাইট পিকনিক’ তাঁর বিখ্যত কাব্যগ্রন্থ। ১৯৯০ সালে ‘ দা ওয়ার্ল্ড ডাজ নট এন্ড’-এর জন্য পুলিৎজার পুরষ্কার পেয়েছেন সিমিক। এছাড়া গ্রিফিন ইন্টারন্যাশনাল পোয়েট্রি প্রাইজ, ওয়ালস স্টিভেনস অ্যাওয়ার্ড- এর মতো পুরষ্কার পেয়েছেন চার্লস সিমিক। ইউনিভার্সিটি অফ নিউ হ্যাম্পশায়ারে দীর্ঘদিন অধ্যাপনার পাশাপাশি ‘প্যারিস রিভিউ’ পত্রিকার কবিতা বিভাগটি সম্পাদনা করেছেন তিনি।     আমার ডান…

Read More

বন্ধুর কথায় বন্ধু

(গৌতম বসুর স্মরণসভায় স্মৃতিচারণা) শহরটা তখন বদলে যাচ্ছে। শহরের দেওয়ালে চেয়ারম্যান মাও এর ছবি ক্রমশ মলিন হয়ে আসছে, তার বদলে এশিয়ার মুক্তিসূর্য’র ছবি। কলেজ স্ট্রিটে রোজই গণ্ডগোল লেগে থাকে, নকশালদের সঙ্গে কংগ্রেসের। তার আঁচ কলেজের (প্রেসিডেন্সি কলেজ) ভেতরেও টের পাই। এইসময়, প্রথম প্রায় দেড় বছর, গৌতমের সঙ্গে আমার অতটা বন্ধুত্ব হয়নি। এটার একটা কারণ সম্ভবত এই যে, তখন কলেজে পরিষ্কার দুটো রাজনৈতিক দল ছিল – একটা বামভাবাপন্ন দল, পুরনো নকশালরা অনেকেই ছিল তার মধ্যে, আরেকটা অবাম, কংগ্রেসই বলা যায়। আমি সেই অ-বাম দলটিতে ছিলাম, ইলেকশনেও দাঁড়িয়েছিলাম, ছাত্র পরিষদের হয়ে। এবং…

Read More