লুসিয়া কুপার্তিনো’র কবিতা 

মূল ইতালিয়ান থেকে ইংরাজি ভাষান্তরঃ পিনা পিক্কোলো। বাংলা অনুবাদঃ অনিমিখ পাত্র।   কবি পরিচিতিঃ লুসিয়া কুপার্তিনো’র জন্ম ১৯৮৬, ইতালির এক সৈকতশহরে। তিনি একজন সাংস্কৃতিক নৃতত্ত্ববিদ, কবি (ইতালিয়ান ও স্প্যানিশ) ও অনুবাদক। বর্তমানে থাকেন কলম্বিয়ায় যেখানে তিনি পরম্পরাগত দেশীয় কৃষিপদ্ধতি এবং পরিবেশবান্ধব জীবনযাত্রার ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। ইতালীয় সাহিত্য জার্নাল Nuovi Argomenti, Fili d’aquilone, Iris di Kolibris ইত্যাদিতে কবি, সমালোচক ও অনুবাদক হিসেবে অংশ নিয়ে থাকেন। তিনি La Macchina Sognante এর একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং একজন বর্তমান সম্পাদক যার ফোকাস বিশেষত দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা, দেশীয় জনগোষ্ঠী, চিরাচরিত কৃষি ও গাছপালা এবং…

Read More

অমিতরূপ চক্রবর্তী’র কবিতাগুচ্ছ

পিঠ এই আশ্চর্য হাওয়ার মধ্যে দূরে চলে যাওয়া আঙুল ও জাহাজের আলো ফিরে আসবে । তখন টিপটিপে বৃষ্টি শুরু হবে অনেকটা রহস্য গল্পের মতন । চাঁদ পুরোপুরি মুছে যাবার পর আকাশ অন্ধকারে গিয়ে দাঁড়াবে । একটি গাছে জোনাকির ফুল । এই আশ্চর্য হাওয়ার মধ্যে দূরে চলে যাওয়া আঙুল ও জাহাজের আলো ফিরে আসবে । তোমার শীতল পিঠ থেকে অনেকগুলি পোকা বেরিয়ে উড়ে যাবে সঙ্গীর খোঁজে আজ প্রত্যেকে অনুভব করবে উরুতে পোশাক যেন অতিরিক্ত মাত্রায় খসখস করছে । অনুভব করবে শিরদাঁড়া বরাবর যেন হেঁটে , মাংসের খোঁজে চলে যাচ্ছে কোনওকিছু ।…

Read More

রাজদীপ রায়ের কবিতাগুচ্ছ

নীরব বেহাগ১মৃত্যু নিয়ে আদিখ্যেতা করা, এসব মানুষের স্বভাবহাসিমুখে কাউকে বিদায় জানানো—তারপর তার কথা ভেবে সহজে চোখের জল ফেলা…এসব স্ববিরোধ নিয়েই তো বেঁচে থাকাজনরুচি মেনে লেখা কবিতার মতোযার কয়েক পঙক্তি পড়েই তুমিথুতু ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলে—ছ্যা ছ্যা আত্মহননের দিন শেষ হয়ে এল তাড়াতাড়িএবার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হবেতার আগে প্রস্তুতির পর প্রস্তুতিদৃশ্য আবছা হয়ে আসে দূরের গেরুয়া রং দেখে ঠিকবোঝা যায় না তেমন, সূর্যোদয় না কিসূর্যাস্তের ভাষা ছড়িয়ে পড়েছে…তুমি হাঁটু মুড়ে প্রার্থনায় বোসো—জন্মদিন লুকিয়ে ফেলাসব থেকে প্রশ্নাতীত কাজ…   ২ওই পথ ছেড়ে এই পথে এসোএই পথ ছেড়ে ওই পথে চলে যাও—তেমন সমস্যা…

Read More

অরিন্দম ভূঞ্যা’র কবিতাগুচ্ছ

ঠিকানা হারিয়ে যায় এসব গলিপথ মনের মধ্যে কোথাও ছিলযখন শৈশবে বুকভর্তি শ্বাস নিতামখুলে যেত হাওয়ার এক একটি মাঠক্রমশ মাঠের ধারে ঘর বসালামঘরের ফাঁকে ফাঁকে প্যাঁচ খুলে ছড়িয়ে দিলাম শিরা ও ধমনীতার ওপর আকাশের সরু করে কাটা একফালি দিলাম সেঁটেএইভাবে আমাদের নতুন একটি ঠিকানা হলকিন্তু, ঠিকানা খুঁজতে গিয়ে মানুষ এবং কুকুরেরাদূর সেই অচিন শহরে গেল হারিয়েউদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরল এদিক ওদিক,এক সন্ধ্যায়, গলির ভেতর ঠিকানা খোঁজা মানুষের সঙ্গেআশ্রয় খোঁজা একটি কুকুরের দেখা হয়ে গেল,সেই চোখ, সেই দুজনের থমকে যাওয়া,তারা কি পরস্পরকে তাড়াবে? নাকি বন্ধু হয়ে যাবে?দুজনেরই চোখ সন্ধ্যার আকাশে জ্বলছেমনে পড়ছে কতকাল…

Read More

ঋপণ আর্য’র কবিতাগুচ্ছ

শার্লক হোমস যেভাবে ওয়াটসন হয়ে ওঠে ❑– ভোগের সঙ্গে ব্যর্থতার সম্পর্ক কী হোমস? — হাহাকারের — ধর্ম তো কাউকে কোনো দিন হত্যা করেনি, হত্যাকরেছে ধার্মিক। ধর্মের ত্যাজ্যপুত্ররা। প্রথমে তারা ধর্মঅর্থাৎ পিতৃহত্যা করেই মানুষ হত্যাকে আরো সহজকরেছে, কী এক অতৃপ্ত বাসনা যেন! তাহলে কি ধর্মেইধর্মের শেষ? — ধর্মের চেয়ে ধর্ম বড় হলেই এমন হয়! আমিও তোমারমতো বুঝতে ব্যার্থ হই ওয়াটসন, ধর্মের সঙ্গে ধার্মিকেরচিরকাল এই বিশাল দূরত্ব কেন থেকে গেল! ❑ — হারানোর দিবাস্বপ্নে খামতির হয়রানি ফুরোচ্ছে কই?মাশুল গুনতে বসে তোমার সাথেও নিজেরে তোফারাক দেখিনে ওয়াটসন!কীর্তি কি আদৌ এতটা ম্লান… যেন একমাত্রঅভাবগুলোই…

Read More

জিয়া হকের কবিতাগুচ্ছ

শিশু বিভাগ ১কহতব্য নয় এ মদীয় যন্ত্রণাভালবাসা বয়ে আনে কুকুর প্রস্তাবনালেজ যেভাবে বক্র এবং যেভাবে লেজ ব্যথাস্তন্যপায়ী কুকুরশিশু জানে না কে পিতাতেমন একটা জন্তু আমার হাড়ের ভেতর জাগেআনুষ্ঠানিক পানমশালায় কান্না কান্না লাগেহৃদয় যাদের পাতার মতো শীতপ্রবাহে ভিজেনিজের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধে শয্যাগত নিজেএমন লোকই বলে, ‘বাবা, কোন জায়গায় লাগা?’অজস্র লাল জলের মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক থাকা-আমি কেবল নানারকম নাট্য বলতে থাকিভিজে মানুষ বলেই শুধু— বুঝেছি, বাদবাকি?খবরকাগজ পড়েন যারাই ভালো থাকতে পারে?‘মাঝিসদৃশ তুমি কেন যাবে গো দরবারে?’নৌকো আমার সজনে কাঠের, সমুদ্রে তার যাওয়াছদ্ম হাওয়ার বৃদ্ধ হাওয়ার প্রাচ্যদেশী হাওয়াঅসহায়ক, পাহাড় প্রমাণ বৃষ্টিতে দেয় নুড়ি বারুইপুরের যাত্রী…

Read More

তপেশ দাশগুপ্ত’র কবিতাগুচ্ছ

শিমুল আঁকতে যাওনি পলাশের ছবি এঁকেছপলাশের চোখ নাক মুখ সঠিক বসিয়েছশিমুলের ছবি আঁকনিশিমুল অত সঠিক হয়নি কোনদিনওবীজ ফেটে উড়ে যায় লালঘাঘরা ইন্দুবালা নাম্নী মহিলাটিকে আমি পেলামগানের মধ্যেমনের মধ্যে গান হয়ে সে তার লালঘাঘরা দেখায়তাকে দেখায় না ময়ূর আমার কবিতা তু্মি ভালবাসনিআমার হাত ভালবেসেছআমার হাতের দিকে তাকিয়ে ময়ূরের খোঁজ করি ঢেউ একটা কবিতার বই দাঁড়িয়ে থাকেনিজের পায়ে আসতে বলেপড়তে পড়তে আসে যদি কেউ বসে আছি ছোটবেলার উঠোনে বসে বসেই দেবহাওয়ায় হাওয়ায় এগিয়ে আসছে গাছ ইট বের করা দেওয়ালের বাড়ি কিছুই তো ছিল নাকতদিন পর একটা পায়খানা হল বলো তোজামরুল গাছ জঙ্গল…

Read More

স্বাধীনতার চরাচর : ওক্তাবিও পাস

কবির ভূমিকা, কবির সামাজিকতা ও কবিতার সমান্তরাল চলন, এইসব প্রশ্ন হয়ত আমাদের সকলকেই, মানে যারা কবিতায় সম্পৃক্ত তাদের বিব্রত করেছে বা রেখেছে। আমরা যদি আমাদের প্রথম কবিতা জগতে আসার সময়টা মনে করি দেখব শুধু কয়েকটা নামকেই আমরা কবি হিসেবে চিহ্নিত করতাম আর সেই সব নামেদের একটা সামাজিক ভূমিকা ও বক্তব্য ছিল। কিন্তু কবিতা জগৎ যে বস্তুত বহুত্বময়, বস্তুত এক সমান্তরাল দুনিয়া, খানিকটা আন্ডারওয়ার্ল্ডই বলা যায়, তা আমাদের দৃষ্টিপথের বাইরে থাকে। এবং সেইসব কবিদের সামাজিক ভূমিকা একেবারেই গুরুত্ব রাখে না বৃহত্তর মানসে কারণ সেই কবির নাম খবরের কাগজে নেই। এইবার আরও…

Read More