ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী

ডলি জুম

 

আপাতত তার মুখটাই শুধু দেখা যাবে ক্যামেরার সামনে । ঠোঁটের কোণে একটু হতাশা লেগে থাকবে। দু চোখে থাকবে স্থির দৃষ্টি। সেই দৃষ্টি  নিষ্পলক , ভিতর পড়ে নেবে  যেন। কোথায় যেন গ্রন্থি গুলো শিথিল হয়ে যাবে , সেই চোখের দিকে তাকিয়ে।  তার এই মুখ আপাতত থাকবে আমাদের ক্যামেরার সামনে। আমরা সবাই এসে গেছি, হিরোইন মেক আপ করে এসে গেলই , মালবিকাদি শট টা আরেকবার তাকে ভালো করে বুঝিয়ে দেবে। সব সেট হয়ে গেলে, তারপরে আমাদের কাজ শুরু হবে। 

সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে আমার এটা দ্বিতীয় কাজ। এখনও ইন্ডাস্ট্রির অনেককে ভালো করে চিনিনা। কথা বলতে অসুবিধা হয়। স্বচ্ছন্দ নই। আমিয়দার সহকারী হিসেবে কাজ করছি আপাতত।   

ক্যামেরায় আমাদের ডলি জুম করে শটটা নিতে হবে। আমরা সবাই অপেক্ষা করছি কখন হিরোইন আসবে।  আমারা “একশন”বলতে শুনব আর আমরা ক্যামেরা আস্তে আস্তে  সাবজেক্টের মুখ থেকে দূরে নিয়ে যাব। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জুম করতে হবে যাতে মুখের সাইজ  একই থাকে। ছোট  যেন না হয়। 

আমরা এক বাড়ির ছাদের পাঁচিলের সামনে দাঁড়িয়ে আছি ক্যামেরা নিয়ে। উলটোদিকের বাড়ির ছাদে হিরোইন আসবে। এখানে হিরোইন একজন ২২ বছরের কিশোরী। উলটোদিকের বাড়ির (আমরা যে বাড়িতে আছি) ছেলেটির সাথে তার খুব প্রেম। প্রেম প্রায় ৪ বছরের ।  সব কিছু ভালো জিনিস শেষ হয়ে যাবার মত প্রেমও একদিন শেষ হয়ে যায় । ভুল বললাম শেষ নয়, শেষ করে দেবার পরিকল্পনা করা হয়। মেয়েটির বাবা, মা, এখানকার বাড়ি ছেড়ে দিয়ে অন্য কোথাও চলে যাচ্ছে। নিজের ইচ্ছেয় নয়, তবে তাদের চলে যেতে বলা হয়েছে।   আজ ছেলেটি শেষবারের মত মেয়েটিকে দেখবে। ছেলেটির পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে শটটা হবে। ডলি জুম  শট নিতে হবে। মেয়েটি ফোকাসে থাকবে। ডলি দিয়ে ক্যামেরা পিছনে সরাতে হবে। মেয়েটির মুখটাকে জুম ইন করে পিছনে সরতে হবে। যাতে মনে হয় মেয়েটির আশে পাশের জিনিস ছেলেটির থেকে দূরে সরে গেলও মেয়েটি যেন একই দুরত্মে রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রেম  যেন একই থেকে যাচ্ছে। এই হচ্ছে গল্পের নিরিখে শটের বর্ণনা যা মালবিকাদি আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছিল। 

আপনারা হয়তো নিশ্চই জানেন ডলি জুমের কথা। তবু যারা জানেননা তাদের জন্য একবার বলে রাখি যে হিচকক সম্ভবত প্রথম চিত্র পরিচালক যে ডলি জুম ব্যবহার করেছিলেন। অবাক করা এই ক্যামেরার টেকনিক। মনে ক্রুন  আপনার সাবজেক্টকে সামনে রেখে ক্যামেরা পিছনে নিয়ে যাচ্ছেন। সব কিছু ছোট হওয়ার কথা ক্যামেরা পিছিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে। সেই সঙ্গে যদি সাবজেক্টকে ফোকাস করে  জুম ইন করা হয় তাহলে সাবজেক্ট একই থাকবে কিন্তু তার আশে পাশের জিনিসপত্র ছোট হতে থাকবে।

হিচককের সেই সিনেমার নাম ছিল  ভারটিগো, যেখানে সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠার সময় ভারটিগো এফেক্ট বোঝাতে ডলি জুম ব্যবহার করা হয়েছিল।  তারপর অবশ্য বহু জায়গায় এর ব্যবহার আমরা দেখেছি। কোনও কিছু অবাস্তব যা সাবজেক্টের বাস্তব অস্তিত্ব ভেঙ্গে দিচ্ছে তা বোঝাতে ডলি জুম ব্যবহার করা হয়েছে ।

আপনাদের হয়ত জানতে ইচ্ছে করছে যে আমাদের এই সিনেমার নাম কি? ভারি চমৎকার নাম আমাদের এই সিনেমার । নাম ‘দুটি ছাদের গল্প’। এই ছাদে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এরকম গল্প তৈরি হয়। দেখা সাখ্যাতের মধ্যে দিয়ে। অজস্র গল্প জমে থাকে বিকেলবেলায়। আমরা যারা নব্বই দশকে কলকাতার পাড়ায় শৈশব কাটিয়েছি, তাদের অনেকেরই অনেক গল্প এরকম ছাদে বা ছাদের ঘর গুলিতে জমা হয়ে থাকে। দুই ছাদের মাঝখান দিয়ে চলে যাওয়া তারের উপর বসে থাকা পাখিরা সেই সকল গল্পের সাক্ষী হয়ে থাকে। 

………………………………………………………………………

বাড়ি ধরে ধরে দৃশ্য বদলে যায়।ক্যামেরা রোল হতে থাকে । পৌঁছে যাওয়া যায় এক আলাদা টাইম জোনে।  হাওয়ার মত শন শন করে ওঠে বিকেলের পুচকা, কলেজ থেকে ফেরা। কোনরকমের খেয়ে ছাদে উঠে আসা। দেখে নিই জামার ফাঁকে বেঁকে যাওয়া বাঁচিয়ে রাখা একটা সিগারেটের পুরুষ অনুভূতি। যা ছাদে দাঁড়িয়ে নেওয়া ধোঁয়ার মত সবসময় থেকে যেত। কোনও এক লাল শাড়ির সাথে অভিসারের উদ্দেশ্য আস্তে আস্তে বিলি কাটতে কাটতে চলে যেত। দশবারে যদি একবার দেখা হত, সেই দেখা হওয়া যেন প্রতিবার আগের মতই থেকে যেত।

কানে কানে কে যেন এসে বলে যেত,

“তুমি কাছেরও না বা দুরেরও না”

তখন শুধু এইটুকই জেনেছিলাম যে  সামনের বাড়ির দোতলায় নতুন ভাড়াটেরা এসেছে। এক শনিবার কলেজ ছুটির দিনে বিকেলে ছাদের একপাশের দাঁড়িয়েছিলাম, তখনই প্রথম দেখা। তারপর অবশ্য অনেকবার দেখা হয়েছে। সেই সকল দেখা এক নির্দিষ্ট ব্যাস রেখা রেখে আমার চারপাশে ঘুরে যাচ্ছিল। বৈশাখ মাসে ঝড় আসত আর শাড়ি গুলো দিকচক্রবাল আলো করে উড়ত। এই বুঝি শাড়ি গুলো তুলতে এলো  সে। হাতের কাছে সিগারেট খুঁজতাম, আমার পৌরুষের একমাত্র চিহ্ন স্বরূপ। পাঁচিলের  সামনে দাঁড়িয়ে জোরে শ্বাস নিয়ে এক অদৃশ্য প্রতিরোধ সৃষ্টি করতাম ঝড়ের সাথে । মনে মনে বলতাম, “আসুক না, যতই ঝড় আসুক না… ”

“বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন কেন?” ওপারের প্রশ্ন শুনে কাল্পনিক যুদ্ধের বিরতি হত। থিতু হয়ে বলতাম,  

“আপনিও তো বৃষ্টিতে ভিজছেন”

“আমি তো কাপড় তুলতে এলাম, আর আপনি?”

“আমি এমনি দাঁড়িয়ে আছি।”

কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকত আমার এমনি দাঁড়িয়ে থাকা। ভিজে যেতাম তবু এই অসহ্য বোকামোর সংজ্ঞা দিতে পারতাম না। ঝড় থামলে ব্যাঙ ডাকত, প্রতিশ্রুতি দেবার মতন। এরপর আকশের ওঠা  পূর্ণ চাঁদের সাথে জ্বর এসেছিল। এসেছিল প্রলাপ। সেখানেও এক যুদ্ধ, আর জ্বর ছাড়লে যুদ্ধ জয়ের অনুভূতি। 

 এই ভাবে ছাদের গল্প বাড়ত।  এক আশ্চর্য সমাপতন ঘটত ক্যামেরা ও সাবজেক্টে। তোমার মুখ যেন আমার কাছে একই থেকে গেছে। অনেক বছর পেরিয়ে গেছে, পুরানো পাড়ার  বাড়ি , ক্লাব হল,  বিকেল দাঁড়িয়ে থাকা দিন গুলো আজ ছোট ছোট লাগে।

একবার কি হয়েছিল জানেন ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে ঘুড়ি সামনের বাড়ির ছাদে পড়ে গিয়েছিল। খুবই কাকতালীয় ব্যাপারটা, ঠিক যেমন সিনামায় হয়। এত বাড়ি থাকতে এই বাড়িতে পড়বে কেন? সে ঘুড়ি পাঁক খেতে খেতে এসে ওই বাড়ির ছাদে পড়ল। ছোট ভাই দেখে বলল,

“আমি গিয়ে নিয়ে আসছি।”

“না দাঁড়া, তুই উপরে থাক আর লাটাই এর দিকে নজর রাখ। আমি গিয়ে নিয়ে আসছি।”

আমার এ কথায় সে ভীষণ অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। অবাক হবারই কথা। যে আমি ছাদে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে রাস্তায় বল পড়লে একবারও নিয়ে আসিনা, সে আমি কিনা তাকে না পাঠিয়ে নিজেই ঘুড়ি আনতে গেলাম। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন আকাশে তখন গভীর মেঘ করেছে। কালো মেঘের প্রেক্ষাপটে বিন্দু বিন্দু রঙিন  ঘুড়ি আমাকে এক অজানা উত্তেজনা দিচ্ছিল। ছুটে গিয়ে ঘুড়ি পেয়েছিলাম বটে কিন্তু দেখা পায় নি।  

ছাদে দাঁড়িয়ে কথা হত আমাদের। কখন মনে হয়েছে যে রাস্তায় বা অন্য কোথাও দেখা করি। কিন্তু যতবার বলতে গেছি সে কথাটা কোনও ভাবে বলা হয়ে ওঠেনি। কোনও কথা না থাকলে কালো আকাশের উপর পাখির দলের ঘরে ফেরার দিকে তাকিয়ে বলেছি,

“দেখেছেন? কি দারুণ না?”

“হ্যাঁ, এই বর্ষার মেঘ আমার খুব ভালো লাগে। এই মেঘকে কি বলে জানেন?”

“হ্যাঁ, কিউমিউলাস ক্লাউড বলে না?”

“হ্যাঁ ঠিক, আচ্ছা এই মেঘে কেমন একটা মন খারাপ করা জড়িয়ে থাকে না?”

“সেই,…  তবে সেই মন খারাপের উপর দিয়ে এমন সুন্দর পাখির দলও চলে যায়।  মেঘ যদি মন খারাপ হয়, তবে পাখিরা এখানে কি তাহলে?”

“কি জানি ?  হয়তো আরও মন খারাপ?”

কথা বলতে বলতে বৃষ্টি নেমে যেত। সারারাত ধরে ঘর ও বাইরে বৃষ্টি হত। পড়া শুনা হয়ে গেলে খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়তাম। পরেরদিন আবার কলেজ।  ঘর থকে বেরিয়ে  একবার ও বাড়ির পাঁচিলের দিকে তাকিয়ে হাঁটা দিতাম। বেরোনোর সময় কখনও তাকে দেখতে পাইনি। আশ্চর্যজনক ভাবে  ওই ছাদের বাইরে কোনদিন তাকে দেখিনি। যেন মনে হত ওই ছাদে তার শুরু আর ওই ছাদে তার শেষ। সারাদিন সেই শুন্য পাঁচিলের   দৃশ্য মনের মধ্যে বসে থাকত। জানতাম বিকেল বেলা হয়তো দেখা হতে পারে। 

সবচেয়ে আশ্চর্য ব্যাপার যে তার নামটা আমার আজও জানা হয়নি। বললে কেউ বিশ্বাস করবে না। কিন্তু ব্যাপারটা সত্যি! নাম জিজ্ঞেস করলে হয়তো কথা এড়িয়ে গিয়ে জানতে চাইত

“আপনি খুব সিগারেট খান বুঝি?” এটা ভালো না খারাপ অর্থে বুজতে না পেরে আমতা আমতা করে বলেছিলাম,

“না না সেরকম না, দিনে দু চারটে আর কি”

“কেন খান?”

“তা তো জানিনা। তবে ভালো লাগে। ”

“আচ্ছা আমায় একদিন একটা সিগারেট খাওয়াবেন।”

ঠাণ্ডা নদীর জলের মধ্যে চান  করতে করতে আমি বলেছিলাম,

“হ্যাঁ নিশ্চয়ই খাওয়াব একদিন। ”

“ঠিক আছে তাহলে আপনার থেকে নেব একদিন, এবারে ঘরে যাই, পরে কথা হবে।“

“আচ্ছা”। যাবার আগে আকাশের দিকে তাকিয়ে তুমি বলেছিলে,

 আজ শুধু মেঘই করল এক ফোঁটা বৃষ্টি এল না। দেখি যদি সিগারেট খেলে বৃষ্টিটা আসে।”

নদীর অনেক  স্রোত বয়ে গেছে তবু কখন সিগারেট খাওয়ানো হয়ে ওঠেনি। পরে মনে হত শুধু নাম না, অনেক কিছু জানার বাকি রয়ে গিয়েছিল।  একবছরের এই কথোপকথনে বিশেষ কিছুই জানতে পারিনি। শুধু জেনেছিলাম, সেও কলেজে পড়ত। জেনেছিলাম মেঘ তার খুব প্রিয় ছিল। আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা আর মেঘ দেখা এক ধরণের নেশা ছিল তার কাছে। এক বছর পরে তারা বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। নতুন ভাড়াটে আসে। সে থাকার সময়  যে বাড়ির ছাদ আর তার চারপাশটা  দূরে সরে যেত আর মুখটা একই জায়গায় ফোকাস থাকত, চলে যাবার পর বাড়ির চারপাশটা এগিয়ে আস্তে লাগল যেন। ওই বাড়ির ছাদের প্রতিটি অঞ্চলে তাকে নতুন করে খুঁজতে লাগলাম। কোথাও তাকে পেলাম না।  সেই হাসি আর মুখ একই দুরত্মে রয়ে গেল। চলে যাবার আগে একবারও জানিয়ে গেল না। অন্য ভাড়াটেদের ছাদে আসতে দেখে খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম যে আগের ভাড়াটেরা চলে গেছে। ওরা চলে যাবার পর ওই বাড়ির ছাদের উপর পাঁচিলের ধারে পায়রা  বাসা করল। কিছু দিন পর ডিমও দিল। পায়রা গুলো দেখতাম আর খালি মনে হত যেন পায়রা গুলো  এদিকেই তাকিয়ে আছে। 

 আমরাও ওই বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছি। দুটো ছাদ পাশাপাশি আজও দাঁড়িয়ে আছে। এক বছর সময় ধরে বলা কিছু অকিঞ্চিৎকর কথাবার্তা তারা মনে রাখে না। আশাও করি না। বছর ও জায়গা বদলে যায়, আর পয়েন্ট অফ ভিউও এক থাকেনা। দুটো  ছাদের গল্প পাল্টে যেতে থাকে।    

……………………………………………………

“কি রে? ঠিক করে ফোকাস করছিস তো?” 

“হ্যাঁ দিদি একদম পারফেক্ট আসছে। ” মালবিকা দির প্রশ্নের উত্তরে আমি জানাই

“দেখিস ঝোলাস না যেন- ডিফিকাল্ট শট, যেন ভালয় ভালয় হয় । এই সুবিনয় দা ওকে একটু হেল্প করনা।

সুবিনয় চেয়ার থেকে হাত নাড়িয়ে বলে 

“দেখছি “।  

“আমি কত দিকে মাথা দেব বল? তুমি এদিকটা এসে দেখ না। একা ওর ওপরে সবটা ছেড়ে দিয়ও না। ডলি জুম বলে কথা।”

সুবিনয়দা চেয়ার ছেড়ে উঠে আসে। আমার পাশে এসে বলে, 

“হ্যাঁ, দেখছি”  

আমার চোখ তখন সামনে, আমি  ক্যামেরার দিকে ফোকাস করে দেখছি  আমাদের হিরোইন  দাঁড়িয়ে আছে। মুখে তার অদ্ভুত বিষাদ। চুল গুলো খোলা। দমকা হাওয়ায় তার চুল গুলো উড়ছে। মালবিকা দি ‘একশন’ বলাতে ক্যামেরা রোল করা শুরু করল। আমরা আস্তে আস্তে ক্যামেরা পিছোছি আর সাবজেক্ট কে জুম ইন করছি। মেয়েটির চারপাশের জিনিস সব সরে যাচ্ছে। অথচ জুম ইন করার জন্য ওর মুখটা একই দুরত্মে থেকে গেছে।  আকাশের চার পাশে কালো মেঘ জমতে শুরু করছে। ঝড়ো হাওয়া দিচ্ছে। ছাদে দড়িতে শাড়ি গুলো দিকচক্রবাল  আলো করে উড়ছে।  ছাদের চারপাশ ছোট হতে হতে স্থান ও কালে হারিয়ে যেতে থাকে। সামনে শুধু একটাই সত্য থাকে , তোমার মুখ, যে মুখ হেসে প্রশ্ন করে, 

“বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন কেন?”

আমি অস্পষ্ট স্বরে বলি,

“এমনি।”

………………………………………………………………………………………………………………………………………

Facebook Comments

Related posts

Leave a Comment