আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়

আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতাগুচ্ছ

পার্শ্ব চরিত্র
 

পিছিয়ে রয়েছে ভাষা অনিবার্য প্রজন্মের ফাঁক
যে লোকটি তুলে আনে
বিতর্কিত এই শব্দ
কপালে রেখেছি তার চুম্বন পুরোনো প্রয়োগে
সতত পিছনে হাঁটা
প্রতিদিন চাল ডাল কেনা
উত্তরের গাড়ি ধরা
বিজ্ঞানও সেসব জানে না
জানে না অফিস গেলে দু’বাক্স সিগারেট রোজ
কীভাবে ফুরিয়ে যায় ভদ্রতার খাতির বশত


বয়স তিরিশ ছোঁবে, বাবা-মা’র ষাটের স্তবক
সামান্য ঘুমের শব্দে
হেরফের কানে আসে যদি
শরীরে রক্তের স্রোত জল হবে
কেননা সময়
বড় বেয়াদপ তাকে বাঁচিয়ে খারাপ কবিতায়
পুষেছি বেআব্রুভাবে
তুমি তার সাক্ষী হও যদি
দুবেলা ভাতের পরে চাইব না নরম তোশক


কবিতা নির্লজ্জ তাই এতখানি পিছিয়ে শামুক
পুনরায় সিঁড়ি চড়ে
আমি তার ধৈর্যশীল মনে
ক্রমাগত পদাঘাতে আরও আরও নিচে টেনে আনি
যদিও প্রাণিটি জানে দীর্ঘতর যাত্রাপথ শেষে
এটুকু পিছিয়ে যাওয়া
তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়


এখানেই হেরেছি বোধহয়
নতুন লিখব ভেবে ততোধিক চর্চার অভাবে
যাকিছু পড়েছি তাকে অন্যহাতে কলমে ধরেছি
অথবা নিজস্ব যুক্তি, সততার প্রশ্নপত্রে
লিখে আসা মুখস্থ জবাব
যেটুকু ধারণ করি সেটুকুই লিখে যাব
ক্রমশ সরল হবে আমাদের অনাথ অক্ষর


এ লেখা হারিয়ে যাবে প্রতিদিন ব্যস্ততার ভিড়ে
যেভাবে জিভের নিচে হারিয়েছি জ্বরের ওষুধ
এখনও জানি না তবে জেনে গেলে কবিতার ভাষা
হয়তো বাবার সঙ্গে ক্রমাগত স্নেহের বিবাদ

অনায়াসে থেমে যাবে, অনর্থক মাটিকাটা রোজ
অন্যের কবিতা থেকে সমীহের দূরত্বে দাঁড়িয়ে
নিজেকে গুছিয়ে নেব অভাগার গৃহস্থে খানিক
বিষণ্ণ জীবনানন্দ জিরোবেন মাত্রাবৃত্ত শেষে

Facebook Comments

Related posts

Leave a Comment