লবণহীন বাকি বয়স
লবণের দাগ। ভীতু ফুল। আর সমাপতনের ভেতর সংশয়ী রেণু ফেটে পড়েছে অযুত।
হ্যালুশিনেশন ঘেরা আমিই তোমার সেই প্রথম অভব্য। পশমের বিপরীতে ক্রমাগত লাল হচ্ছে শালগ্রাম শিলা।
সাদা পাতাটির মাঝে তুমিও পেরিয়ে গেলে
আমি নীল শোকে রেখে যাই তোমার বয়স…
তদন্ত
আশাহত চিরুনি। তদন্ত করি রোজ, নাড়ি থেমে গেছে, আহা বিভ্রম!
ছুরির গায়ে মরিচের দাগ, চমৎকার মৃত্যুর পাশে সমস্ত পরিকল্পনা, ঋজু স্মৃতির দিন…
থেমে থেমে উর্বর হয় পাড়ি, প্যাডেলের বীজগণিত —
একমাত্র তুমিই জানো, হে আততায়ী বালিকা, রি-সাইকেল বিন থেকে উদ্ধারের পদ্ধতি!
ফাঁসুড়ে
কারা যেন শিস্ দেয়, আর্দ্র সন্ধ্যার প্রহরে
বিধি ভাঙা পাখিদের ডাক। অনুবাদ করি
পহেলা রোদের দিনে, তবু এমন ছিল না স্বর
দেহজ বলয় ছিল, খাঁ খাঁ মার্বেলের মাঠ
আজ দেখি ক্রমশ হরিণ থেকে,
খুলে যাচ্ছে তামাম চামড়া —
মাটির শরীর থেকে
খুলে যাচ্ছে ঠাঁট…
ছুরিকাহত
অনাথ বিকেল। ভাঙা তানপুরা হয়ে পড়ে থাকি, বিচ্ছেদ
ছক ভাঙা নামতা, সন্ধ্যা, সন্দিহান গন্ধের ভেতর পড়ে আছে আততায়ী অক্ষত ছুরিটি …
নিজেকে সাজাও দিয়ে তুমুল নির্দোষ বর্ম
যারা জানে তারা জানে বিচ্ছেদ ছুরির ধর্ম
সোহাগী বোতল
১.
শূন্য, সোহাগী বোতল। চুড়ির শব্দ হয়ে কামড়ে ধরছে আখা। আশ্চর্য রিপু এই হুইস্কি। হিংসুটি। তুমি যেমন —আঙুলেই আটকে গেছে ভ্রমণ। বান্ধবীদেহ, কৃষ্ণগহ্বর হয়ে তুমি বসে আছ বেশ্যার তলপেট ছুঁয়ে ।
২.
নিরুক্ত অন্ধকার। ব্রেইলের ছাঁচে ঢুকে পড়ে খামারের খোলস। বাতিল শস্য। অপ্রিয়। শীতের শোকে তুলে রাখছি বৈশাখ। বিচ্ছেদ ছিল ইতির অস্ত্র। সময় শানের পাথর।
৩.
গবেষণা নয়। তাঁবুর কারণ। আদিম গুহায় ঢুকি। আহত পরিব্রাজক। সারারাত নিরর্থ সিনেমা! দেয়ালে দেয়ালে ফুটে ওঠে দাঁত, বিষদাঁত, জীবন্ত জীবাশ্ম।