অসুখের ভ্রমণচিহ্নগুলি
১.
বাদবাকি ওষুধগুলোর দিকে চেয়ে থাকি
প্রতিটি দিনের জন্য এতোগুলো রঙ
মেঝে থেকে ওগরানো জলে গুলে যেতে থাকে
দূরে কেউ একজন পাগল হয়ে যাচ্ছে
এমন স্বর্গীয় মুখোশের দিনে
সেই দিকে ছুটে যাচ্ছে সমস্ত হাওয়াগাড়ি
তার পাঁজর ভর্তি গাছপালা নিয়ে
২.
তারগুলি ছড়ানো রয়েছে যাতায়াত জুড়ে
কবরের বোতাম খুলে উঠে আসা বাতাসেরা
সেইসব তার বেয়ে ছুঁয়ে আসে ঢেকে রাখা মুখগুলি।
এই তাদের শেষটুকু ছোঁয়াচ
রঙচটা অসমান একটা অ্যাম্বুলেন্সে চেপে
দিগন্তের দিকে ছুটে চলেছে
৩.
দিনকাল মেঘলা হয়ে এলো
হাতির পায়ের কাছে বসে আছে
নিরীহ শহর এক
তার ছেঁড়াখোঁড়া জামাখানি গায়ে
পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে শবযাত্রা
পৃথিবীর দীর্ঘতম শ্মশানে
নতুন এক কবি উঠে আসে
তার দুই হাত তখনও বিষ দিয়ে ঢাকা
৪.
নিঃশ্বাস নিচু করে বেরিয়ে আসি
যে পথে ইঁদুর আসে ঘুমের ভেতর
সেই পথে কয়েক টুকরো গেরস্থালী
ঘিরে লোককথা,
হিসেবের দুই পিঠে
একলা একটা অ্যাম্বুলেন্স
শুধু পায়চারি করে
৫.
দূরে কোথাও রাত হচ্ছে
সেই শব্দে ফলন মিহি হয়ে আসে
বর্ষা শেষ হতে এখনো অনেক বাকি
মুখোশের ভেতরে পলি জমে
হাঁটু অব্দি ঢাকা
প্রাচীন এক সায়রের জল
একই তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সকলের কষ্টগুলো
ধরে আছে বহুকাল ধরে