কলঙ্কের কথা
গাড়ির বাইরে চাঁদ ভিজে যায় স্নানে
তারারা কোথায়?
খোলামেলা নিপুণ ভঙ্গিমা
চাঁদে শিশিরকণায় মুখ দেখেছিল একবার
সে ছিল বর্ষার কাব্য―–কালো রাতে অসুখী শরীর
হাত ছুঁয়ে দেখে নেয় শিউলি গাছের ডালগুলি
সে ছিল শ্যামলা মেয়ে মুখচোরা এমনই পুতুল
কলঙ্কে ফেলেছে আলো বিপুল আভায়
তখনও বাইরে চাঁদ মেঘের আড়ালে
আঙুল ভিজিয়ে নিয়ে এঁকেছিল ঢেউ
স্নান শেষ হলে বারবার রাতগুলো দেখে
মনে হবে শূন্যতায় বুঝি গরাদ এঁকেছে কেউ।
রাস্তা
রাস্তা থেকে আলো সরিয়ে নিল কেউ
বড়ো রাস্তা জুড়ে মানুষের ভিড় গিজগিজ করছে
তুমিও লুকিয়ে বারান্দায় কাঁদছিলে সেদিন
তোমার মুখ ও চোখের ভাষা আরও করুণভাবে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ছিল
পাশের দর্জির দোকানের বাইরে
সেলাইকলের একঘেয়ে আওয়াজ
তোমাকে সেলাইয়ের রকমফের বোঝাচ্ছিল কেউ কেউ
শহরের ভেতর হাসতে পারবে না
রাস্তার ওপর গীতবিতান হাতে দাঁড়িয়ে থাকার দিনও শেষ
তোমাকে বোঝাচ্ছিল কেউ―–
এই রাস্তায় শুধু হরিণ শাবকদের দুষ্টুমি দেখতে পাবে
এই রাস্তায় আজ
আঁধার বিষয়ক কোনও গল্পকথাও ছড়িয়ে পড়তে পারছে না।