সুবোধ সরকার

লিটল ম্যাগাজিনের সম্রাট

মণীন্দ্র গুপ্তকে আমি বলি, মনে মনে এবং প্রকাশ্যে বলি, তিনি হলেন লিটল ম্যাগাজিনের সম্রাট। তাঁকে কোথাও দেখা যেত না। কোনো বড়ো কাগজে তাঁর লেখা থাকত না। বড়ো কাগজ মানে আমি বলছি আসলে ‘বড়ো’ কাগজ। সমস্ত মাস মিডিয়া থেকে তিনি দূরে থেকেছেন। দূরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। দূরে থাকতে চেয়েওছেন। আজ থেকে তিরিশ বছর আগে আমি কৃষ্ণনগর থেকে এসে প্রথমে ওঁর হিন্দুস্থান পার্কের বাড়িতেই গিয়েছিলাম। হিন্দুস্থান পার্কে তাঁর ফ্ল্যাটে গিয়ে মনে হয়েছিল তিনি একটা হিমালয়ের গুহার মধ্যে বসে আছেন। গুহার মধ্যে বসে আছেন – এই মেটাফরটা আমার মাথায় এসেছিল কেন? গুহার মধ্যে বসে একজন মানুষ কী করেন? সাধারণ ধারণায় জপতপ করেন আর কী! সন্ন্যাসধর্ম পালন করেন। কিন্তু এই গুহা তো আর সত্যি গুহা না, এই গুহা তাঁর সংসার। তাঁর ছেলে সঙ্গে থাকত না, রাতের বেলা এসে খেয়ে যেত। আমি কোনো কোনোদিন সেই ছেলের সঙ্গে একসঙ্গে বসে খেয়েওছি! মণীন্দ্রবাবুকে দেখেছি তাঁর ছোট্ট সোফাটায় একেবারে ফিট ইন করে চুপচাপ বসে থাকতেন। ছেলেও খুব চুপচাপ খাওয়াদাওয়া করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে চলে যেত। আমি এই গল্পটা বললাম এই কারণে যে, সংসার অনেক রকম হয়। এটা ছিল তাঁর সংসার। আবার একইসঙ্গে সেটা ছিল একটা গুহা। তার ভেতর বসে তিনি বাংলা ভাষায় লেখা সমস্ত কবির লেখা পড়তেন। সে একেবারে চর্যাপদ থেকে শুরু করে একদম সদ্য একজন তরুণ কবি যার বই বেরিয়েছে কিংবা বেরোয়নি কিংবা বেরোতে চলেছে — সকলের। আমাদের চোখে যারা সিনিয়র কবি ছিলেন সেই সময়, এই ব্যাপারটা এত তীব্রভাবে আমি আর কারো ক্ষেত্রে দেখিনি। আমরা যখন লিখতে এসেছিলাম সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, তখন আমাদের বয়স পঁচিশের এদিক-ওদিক। তারপরের পঁচিশ বছরেও দেখেছি তিনি সমানভাবে ওই পঁচিশের এদিক-ওদিক নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। অর্থাৎ তরুণ কবিদের প্রতি ওঁর অদ্ভুত একটা টান ছিল।

আমি দেখেছি ‘আবহমান বাংলা কবিতা’ ধীরে ধীরে তিনি তৈরি করছেন। ওটা তো একটা মাইলস্টোন! এইসময়ে আমি তাঁকে ‘পরমা’ সম্পাদনা করতে দেখেছি। পরমা তারপরে বন্ধ হয়ে যায়। এটা এমন একটা সময়, সত্তর দশকে, যখন কবিতা নিয়ে খুব একটা পরিসর ছিল না। ‘পাবলিক স্পেস’ যাকে বলে ইংরাজিতে, সেটা ছিল না। কিন্তু লিটল ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে তখন একটা চূড়ান্ত প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার পর্ব চলছিল। কবিতা ও সাহিত্যজগতে তখন এবং এখনও প্রতিষ্ঠান বলতে আনন্দবাজারকেই বোঝায়। আজকে একজন তরুণ কবি যে কোনো জায়গায় লিখতে পারেন। তাতে তার কোনো মানহানি হয় না। তার নামে কেউ রিপোর্ট করে না। কিন্তু আমাদের সময়টায় ‘প্রতিষ্ঠানে লিখবো কি লিখবো না’ এই সিদ্ধান্ত নিতে নিতেই দশবছর কেটে গেছে। এবং কী ভাবছি সেটা যে কোনো সময় যে কোনো হেডকোয়ার্টার্সে পৌঁছে যেতে পারতো।

লিটল ম্যাগাজিন মানে তো এক একটা ছোট ছোট গুপ্তসমিতি! সেই গুপ্তসমিতির চাপ, বাঁ পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ডানপাশে দাঁড়িয়ে থাকা বন্ধুদের সবরকম মতামত! আমরা কেউ কেউ ভেবেছিলাম যে, আমি একজন লেখক – যে আমার লেখা ছাপবে, আমি সেখানেই লিখবো। একটা সহজ ধারণা থেকে লেখালিখি শুরু করেছিলাম। শুরুর দিকে মণীন্দ্র গুপ্ত এবং দেবারতি মিত্রর সঙ্গে আমার একেবারে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। আমাকে প্রায় ছেলের মতো ভালোবাসতেন। তখন আমার ‘ঋক্ষ মেষ কথা’ বেরবে। উনি রাত জেগে আমার বইটা তৈরি করে দিয়েছিলেন। তার প্রত্যেকটা বানান, ফুলস্টপ, কমা – সব দেখে দিয়েছিলেন। কোনো কোনো জায়গায় যদি তাঁর মনে হয়েছে যে একটা কি দুটো শব্দ পালটানো যেতে পারে, সেটাও সাজেস্ট করেছিলেন। এইভাবে কেউ আর কোনোদিন আমার বই দেখে দেয়নি। মণীন্দ্রবাবু এই বইটির প্রচ্ছদ পর্যন্ত করে দিয়েছিলেন। আমি কৃষ্ণনগর থেকে এসেছি, উনি রাত্রি একটা দুটো অবধি জেগে বসে লেখা দেখে দিয়েছেন। ওঁর বয়স তখন ষাটের ওপরে। তখন কলকাতায় এলে আমি দুটো জায়গায় এসেছি – এক, মণীন্দ্র গুপ্তর বাড়ি আর দুই, কলেজ স্ট্রিটের পাতিরাম। ক্কচিৎ কফি হাউস। তো, সেই সময়টায় মণীন্দ্র গুপ্ত আর রমেন্দ্রকুমার আচার্যচৌধুরি – এই দুটো নাম বিশেষ করে খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুধু আমার ব্যক্তিগত জীবনের কারণের নয়, বাংলা কবিতার ইতিহাসেই গুরুত্বপূর্ণ।

উনি একজন বিরাট পাঠক ছিলেন। এতো মন দিয়ে সবার লেখা পড়তেন! কার কোথায় দাগ আছে, কার কোথায় আঁচিল আছে এটা উনি জানেন। মানুষের শরীর খুলে এই দাগকে জানা ডাক্তারের কাজ। কবিতার ক্ষেত্রে এটা জানা যায় টেক্সট পড়েই। সেই টেক্সট পাঠ করে উনি সেটা বুঝতে পারতেন। তাঁর ‘লাল স্কুলবাড়ি’ বেরল, আমাদের কৃষ্ণনগরে পৌঁছল সেই বই। আমার মনে পড়ে, আমি ওখানকার একটা কাগজে খুব প্যাশনেট একটা রিভিউ করেছিলাম। উনি মাঝখানে তো বেশ কিছু বছর লেখেন নি। ‘লাল স্কুলবাড়ি’টা ছিল কামব্যাক। ওঁকে কোনো দশকে ফেলা যাবে না। দরকারও নেই। কবি তো কবিই। তিনি কী জামা পরছেন, জিনস না ধুতি সেটা ইম্পর্ট্যান্ট নয়। তাঁর প্রায় প্রতিটি কবিতা তখন আমি মুখস্থ বলতে পারতাম। এর পর থেকে উনি যা লিখেছেন, প্রায় তিরিশ বছর, আমি খুব জোর দিয়ে বলবো, আমি মণীন্দ্র গুপ্ত’র কোনো খারাপ লেখা পড়িনি। অত্যন্ত খারাপ জায়গায় হয়তো ছাপা হয়েছে তাঁর কবিতা। কিন্তু তাঁর কবিতা পড়ে চমকে উঠিনি এরকম হয়নি। এটা আমার খুব কম কবির ক্ষেত্রে হয়েছে। অনেকে আছেন যাঁরা ‘পাবলিক স্পেস’ এ অনেক বড় কবি। কবিদেরও থাকে একটা ‘পাবলিক স্পেস’ আর একটা ‘প্রাইভেট স্পেস’। আমি ছোটবেলা থেকেই মণীন্দ্র গুপ্ত’কে ‘প্রাইভেট স্পেস’ এর কবি হিসেবে শনাক্ত করেছি। কোনো কোনো কবি থাকেন যিনি এই দুটো স্পেসকেই অসামান্য ব্যবহার করে একটা বড় জায়গায় পৌঁছে যান। যেমন জীবনানন্দ প্রাইভেট স্পেসটাকেই খুব বড় করে তুলেছিলেন। মণীন্দ্র গুপ্তর কবিতার পাঠক আরও ব্যাপক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কী একটা কারণে তাঁর কবিতা ‘পাবলিক স্পেস’ এ উঠে দাঁড়াতে পারেনি।

যখন আমি ‘অক্ষয় মালবেরি’ পড়েছি তখনও আমি কৃষ্ণনগরে। অক্ষয় মালবেরি আমরা বইয়ের আগেও ‘পরমা’ তে পড়েছি। ‘পরমা’টাও খুব অভিনবভাবে উনি বের করতেন। যেটাকে ইউরোপ আমেরিকায় বলা হয় ‘বুক ম্যাগাজিন’। মানে একটা ম্যাগাজিন ‘অ্যাজ গুড অ্যাজ আ বুক’। এই কনসেপ্ট উনিই প্রথম বাংলায় আনেন। এবং সমস্তটাই উনি করতেন ওই হিন্দুস্থান পার্কের ছোট্ট এক কামরার ফ্ল্যাট এ বসে যাকে আমি হিমালয়ের গুহা বললাম। লেখাটা সম্পূর্ণই হৃদয় এবং মস্তিষ্কের জায়গা – এটা উনি সারাজীবন বিশ্বাস করে এসেছেন। ঠান্ডা মাথায়, কীটনাশক না দিয়ে, নিজের লেখাগুলোকে কালের গর্ভে রেখে চলে গেছেন। উনি নিজের লেখায় কীটনাশক দিয়ে যাবার কথা উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু আমি বলছি, উনি কীটনাশক দিয়ে যেতে পারেননি। কীটনাশক তো সমাজ দেবে!

তিরিশ বছর আগে ওঁর দুটো জিনিষ দেখে আমার খুব অবাক লাগত। ওঁর নাম তো আর খবরের কাগজে বেরতো না। ওঁর নাম তো রেডিওয় শোনা যেত না! তখন সবে টেলিভিশন এসেছে। সেখানেও দেখা যেত না। এইগুলো ছাড়াই উনি তরুণ মনকে আকর্ষণ করতে পারতেন, শুধুমাত্র লিটল ম্যাগাজিনে লিখে। ছোট কাগজ –তার হয়ত তিনশ পাঠক। এই যে আন্ডারগ্রাউন্ড লিটারেচার, এই প্রাইভেট স্পেসটাকে কীভাবে আরও বৃহত্তর পরিসরে নিয়ে যাওয়া যায় – সেই কাজটা উনি ওঁর গুহাতে বসে করে গেছেন। এর জন্য আমি ওঁকে কুর্ণিশ জানাই। অ্যাপারেটাস বলতে হাতে ছিল ‘পরমা’ আর সারা পশ্চিমবঙ্গের লিটল ম্যাগাজিন। এছাড়া ওঁর কোনো মুখপত্র ছিল না। এই জায়গায় থেকে নিজের লেখাটা লিখে যাওয়া এবং বাংলা কবিতাকে খুব ভেতর থেকে পাঠ করা – এই জিনিষটা সম্পূর্ণ একটা ব্যতিক্রম করে তুলেছে তাঁকে বাংলা কবিতায়।

মণীন্দ্রবাবুর অনেক ব্যাড লাক থাকলেও, একটা গুড লাক তাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। সেটা হল বয়স।আমি যদি এভাবে দেখি যে তাঁর পুনর্জন্ম হল ষাটের পর এবং নব্বই অতিক্রম করলেন – এই তিরিশ বছরের সময়টাতেই তাঁর লেখালিখিতে দশহাতে নেমে পড়া। ওই পরমার সময়টাতে। পরমার আগেও তিনি একটা কাজ করেছেন। বাঙালি কবিরা তো চিরকালই একটু কফিহাউস পলিটিক্স পছন্দ করে! আমাদের সময়ের সেই কফিহাউস পলিটিক্স এখন ফেসবুক পলিটিকসে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ নরক সবসময় থাকে। নরক সবসময় ছিল। তো, কফিহাউসের কিছু কবি সেই কাজটা বন্ধ করে দেন। সেটা আমৃত্যু অর্থাৎ গত তিরিশ বছর ধরে যদি চলত! বাংলা কবিতার ইতিহাসে প্রথম চ্যাপ্টারটা লিখেই সেই কাজটা বন্ধ হয়ে গেছে। উনি একটা বার্ষিকী করতেন। প্রতিবছরের শ্রেষ্ঠ কবিতা নিয়ে একটা সংকলন। এটা ১৯৭৪-৭৫-৭৬ – তিনবছর কি চারবছর বেরিয়েছে। লেখা হত ‘একবছরের শ্রেষ্ঠ কবিতা’। মূলত লিটল ম্যাগাজিনের লেখা থেকেই সংগৃহীত হত। এছাড়া দেশ, অমৃত এইসব বড় কাগজ থেকেও লেখা উনি নিয়েছেন। লেখাটাই প্রধান বিষয় ছিল। লেখা নির্বাচন হওয়ার পরে, উনি এবং রঞ্জিৎ সিংহ মিলে করতেন, একটা করে পোস্টকার্ড পাঠাতেন কবিদের ঠিকানায়। সম্মতি চাইতেন। সংকলনে উনি ওঁদের পছন্দ অনুযায়ী কবিতা রাখতেন, কবির নাম অনুসারে নয়। একবার এরকম হয়েছে যে, কবি বীতশোক ভট্টাচার্যের একাধিক কবিতা ছাপা হয়েছে, কিন্তু শক্তি চট্টোপাধ্যায় বা শঙ্খ ঘোষের একটি করে। এই ব্যাপারটা সবাই মেনে নিতে পারেননি। বিশেষত লেট সিক্সটিজ এবং সত্তরের শুরুতে যাঁরা কফিহাউসে সম্রাটের মতো বসে থাকতেন। আমি তাদের নাম করছি না – আমরা খুব ভয় পেতাম তাঁদের, তাঁদের হাতে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ ছিল। কফিহাউসটাও তখন ছিল বাংলা কবিতায় ক্ষমতা প্রদর্শনের একটা কেন্দ্র। বাংলার রাজনীতিতেও কফিহাউসের একটা ভূমিকা ছিল। তখন কফিহাউসে কারা কারা যেতেন! সত্যজিৎ রায়, লর্ডসেই বেশি যেতেন, ওখানেও যেতেন। এক কোণায় বসে বিনয় মজুমদার কবিতা লিখছেন এরকম দৃশ্য দেখা গেছে। সুনীল-শক্তি-সন্দীপন কফিহাউস থেকে বেরিয়ে ভুবনডাঙার দিকে চলে যাচ্ছেন! এসব তো অহরহ ঘটেছে! তো, কফিহাউসকে তখন একটা ক্ষমতাকেন্দ্র হিসেবে দেখা হত। ওই ক্ষমতাকেন্দ্রে আমাদের ইমিডিয়েট সিনিয়র যারা ছিলেন, তাদেরই কেউ কেউ মণীন্দ্রবাবুর এই কাজটা বন্ধ করে দেন। তারা বহুজনকে বলেন যে, সম্মতি দেবেন না। আমি মণীন্দ্রবাবুকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘কী হয়েছিল বলুন তো?’ বললেন, ‘কী আর হবে! এরা সব সম্মতি দেওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে।‘ আমি বললাম, ‘তাও করুন না! আমি তো কৃষ্ণনগরে থাকি, ওখানে বসে তবু পড়তে পারি সবার লেখা।‘ উনি উদাহরণ দিয়ে বললেন, ‘সেটা তো ঠিকই আছে, কিন্তু কীভাবে চালাব? ধরো, ১০০ জন কবিকে আমরা চিঠি পাঠালাম সম্মতির জন্য। তাদের মধ্যে যদি ১৫-২০ জন কবিও সম্মতি না দেন, তাহলে তো জিনিষটা দাঁড়ালো না! যে টোটালিটির ব্যাপার আসছিল, সেটা বন্ধ হয়ে যায়।‘ ফলে ওঁরা সিদ্ধান্ত নেন বন্ধ করে দেবার। সে বিষয়ে ওঁরা জ্যোতির্ময় দত্ত’র কাগজে লিখেওছিলেন যে কেন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।

পাঠক এবং সম্পাদক হিসেবে উনি নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পেরেছিলেন যে আজকে ভাবলে অবাক হতে হয়। শেষ যে কথাটা আমি বলবো তা হল, মণীন্দ্র গুপ্ত তাঁর কবিতার জন্য বাংলা কবিতায় অমর হয়ে থাকবেন। তাঁর কবিতা এমন একটা ভাষায় লেখা হয়েছে, এমন একটা ভাষা তিনি তৈরি করে দিয়ে গেছেন যে ভাষার কাছে বাংলা কবিতা আবার ফিরে আসবে। আমার মনে হয়, তাঁকে এখনও আমরা পুরোটা আবিষ্কার করতে পারিনি। বেশি লেখেন নি উনি। খুব বেশি বই তাঁর নামের সঙ্গে নেই। কিন্তু যা লিখে গেছেন তাতে আমার মনে হয়, এই তাঁর মৃত্যুর পরে তিনি এবার গুহা থেকে বেরিয়ে আসবেন। সমস্ত ভালো কবিই মৃত্যুর পরে আবার হাঁটতে শুরু করেন। আমার মনে হয় তাঁর সেই পদধ্বনি আমরা শুনতে পাচ্ছি।

Facebook Comments

Related posts

One Thought to “লিটল ম্যাগাজিনের সম্রাট”

  1. Borshakarmakar

    বেশ ভাল লাগলো পড়ে…

Leave a Comment