শিমুল আঁকতে যাওনি
পলাশের ছবি এঁকেছ
পলাশের চোখ নাক মুখ সঠিক বসিয়েছ
শিমুলের ছবি আঁকনি
শিমুল অত সঠিক হয়নি কোনদিনও
বীজ ফেটে উড়ে যায়
লালঘাঘরা
ইন্দুবালা নাম্নী মহিলাটিকে আমি পেলাম
গানের মধ্যে
মনের মধ্যে গান হয়ে সে তার লালঘাঘরা দেখায়
তাকে দেখায় না
ময়ূর
আমার কবিতা তু্মি ভালবাসনি
আমার হাত ভালবেসেছ
আমার হাতের দিকে তাকিয়ে ময়ূরের খোঁজ করি
ঢেউ
একটা কবিতার বই দাঁড়িয়ে থাকে
নিজের পায়ে আসতে বলে
পড়তে পড়তে আসে যদি কেউ
বসে আছি ছোটবেলার উঠোনে
বসে বসেই দেব
হাওয়ায় হাওয়ায় এগিয়ে আসছে গাছ
ইট বের করা দেওয়ালের বাড়ি
কিছুই তো ছিল না
কতদিন পর একটা পায়খানা হল বলো তো
জামরুল গাছ জঙ্গল চোখের সামনে ভেসে ওঠে
বোঁটার থেকে
ভাবছ যা তা নয়
আমি খুব আলগা হয়ে আছি
দেখছ আমার তাকিয়ে থাকা
ছুপা রুস্তম
দরজা আটকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে যারা
তার বাইরে হ্যাট কোট টুপি পরে দাঁড়িয়ে আছি
পাখি
তোমার ভালবাসার থেকে দূরে গিয়ে
গাছ পাখি নিয়ে আমার কবিতা হচ্ছে-
পাখি জড়ো হচ্ছে তোমার কাছে
অনুসন্ধানী
ফেলুদা সিগেরেট খায়
ব্যোমকেশ সিগেরেট খায়
মিসির আলি সিগেরেট খায়
সিগেরেট খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর
দোমোহনি
ও মেসো তোমাদের ঐ দিকে আলেয়া
মার্স গ্যাস
দপ করে জ্বলে ওঠে
যখন তখন এতদিন পরে
ঝর্ণা কলম
সোনা মোড়ানো ফাউন্টেন পেন আমার আছে
অজিতেরও
রেখে দিয়েছি দুইজনে সুতপাকে লিখব বলে
সোনা মোড়ানো ফাউন্টেন পেন আমাদের শেষ অস্ত্র
কে
পায়ের শব্দ শুনে শুনে আমি ওকে চিনি
নখরঞ্জনির গন্ধে ওকে আমি চিনি
শব্দ এবং গন্ধ অফ্ হয়ে গেছে
সিঁড়ি দিয়ে কে উঠে আসে
আমার আঠাশ বছর বয়েস