মরে গেছি তবু
১.
রাষ্ট্র তোমায় দেবতা ছাড়া দেয়নি কিছু।
নীচু
তাই বুকের থেকে অনেক নীচু
পেটের কাছে-
সেই ভগবান ভাতের মতো দাঁড়িয়ে আছে।
২.
শব গুনতে ভুল করেছি,
গুনেছি কেবল কার্তুজ;
আত্মহত্যাকে কবির বিষাদ ভেবে
গিয়েছি স্নানে
নদী খুঁজি –
সে তো গেছে শব গুনতে, ক্ষেতের মাঝখানে।
৩.
দুর্ঘটনা একলা ঘটে।
আমরা যারা চারপাশে তার হঠাৎ জুটি,
তারা জানি
সুরক্ষিত রাগ বিদ্বেষ হাল্কা কত,
হৃদয় কেমন শয্যাশায়ী ;
ভোর হলে তো সেই দেখা যায় অক্ষত মুখ,
মুখোশ পরে রাষ্ট্র জাগে চিরস্থায়ী।
৪
রাষ্ট্র কেন নিয়ম দিল,
প্রেম দিল না?
প্রেমের কেবল বাতাস ছিল,
দেশ ছিল না-
জানত বলেই বিষাদ এবং বিষই খোঁজে
ক্লান্ত দেহ;
সব দেবতাই গ্রহণ করেন নিত্যপুজোয়-
একটু আগুন,
বন্ধ দু’চোখ ও সন্দেহ।
রাধামন
সংসারী লোক
একবার প্রেম বললে বউ ঘুরে তাকায়,
দুইবার প্রেম বললে বন্ধুরা ঘুরে তাকায়,
তিনবার প্রেম বললে সকলে মুখ ঘুরিয়ে নেয়-
সে নিজের দিকে তাকায়।
তিনবার প্রেম বললে
এক সত্য প্রকাশিত হয়-
এক ধূ ধূ ছড়িয়ে পড়ে গোল হয়ে ;
যে বৃত্তের ভিতরে কোন সংসার নেই
যে বৃত্তের ভিতরে
প্রেম বললে
কেন্দ্রে তৈরী হয় এক হা-মুখ গহবর,
সে বৃত্তের ভিতরেই,গহবরে
এক সংসারী লোকের কৃষ্ণজন্ম হয়-
নিজের ভিতরে নিজেকে টেনে নিতে নিতে
বয়ে চলে যায়
এক ধারা ধারা ধারা…
…রাধা রাধা রাধা শব্দ ওঠে।
এখন চৈত্রমাস
বসন্তের রাস্তায় তবু ধুলোবালি ঘোরে
শহরের রাস্তায় অপেক্ষা
জরুরি বিষয় নয়
গতিময় এই রাস্তায় পালটে পালটে যাচ্ছে সব ছবি-
এত পোস্টার
এত মুখ
এত পতাকা
অতি দ্রুত বদলে যাচ্ছে সব তোমার মুখে!
এ রাস্তায় আমি সামান্য বেঁটে মানুষ,
কোন ছবি গড়তে বা ভাঙতে পারি না
গাড়ীর হর্ন ম্লান হয়ে বদলে যাচ্ছে
এক পুনরাবৃত্ত গানে…
হর্ন শুনতে পাচ্ছি না।
তুমিময়, তুমিহীন
এই শহরের পথ
এখন দুর্ঘটনাপ্রবণ।
মৃত্যু আমার প্রিয়,
তবু মৃত্যু নয়,
ধুলোবালি হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি কীসের অপেক্ষায়!
দেখছি শেষ যৌবনের রাস্তায় ধুলোবালির জীবন-
ওহ! কিছুতেই
বসন্তকে এ পৃথিবীতে ফেলে রেখে
মরে যেতে পারছি না।
সে বা ভালবাসা বিষয়ক
১.
আমাদের বলতে হবে,বলতে হবে…
বলতে বলতে কত লোক জড়ো হলো সভায়;
সভা ছেড়ে যে বেরিয়ে গেল শুরুতেই,
মনে হলো তাঁর তখন ভালবাসতে ইচ্ছে করছিল খুব।
২.
তাঁকে আমি মানুষের দলে দেখেছিলাম বলে
ভালবাসা বুঝি দ্রুত সরে গেল!
গাছেদের দলে দেখলে নিশ্চয় এমন হতো না।