সঙ্ঘমিত্রা হালদার

ইউরেকা!

জাফরির ফাঁকে তখন দুপুরের আলোখেলা। জানলা দিয়ে সোজা তাকালে তখন আশেপাশের চুনকাম করা হাল্কা রঙের বাড়িগুলোয় পাকারঙ লাগতে শুরু করেছে। আহিরা সেদিকে তাকিয়ে ছিল। কিন্তু আহিরা সেদিকে দেখছিল না। তার সমস্ত ইন্দ্রিয় তখন ঘড়ির কাপড় কাচার শব্দে আস্তে আস্তে বুঁদ হয়ে আসছিল। ঘাড় ফিরিয়ে যে ঘড়িটার দিকে তাকাবে, সে শক্তিও প্রায় ছিল না। তবু সে একসময় ঘাড় থেকে প্রায় পাথর সরানোর মতো শক্তি প্রয়োগ করে ঘুরে তাকায় আস্তে করে ঘড়িটার দিকে। তার আস্ত শরীর তখন নিজেই নিজেকে ছেড়ে দিচ্ছে। কোনওমতে ও দেখল, মানে দেখতে পেল– ওর সমান্তরাল দুই হাত মিনিট আর সেকেন্ডের কাঁটা, জড়ো করে রাখা দুই পা ঘন্টার কাঁটা হয়ে তখন ঘড়ির ভিতর ঢুকে পড়েছে।

ওর দুই হাত—মিনিট আর সেকেন্ডের কাঁটা, দুই জড়ো করে রাখা পা, অর্থাৎ ঘন্টার কাঁটা; এক অতল ও অপরিসীম শীতলতায় স্থির হয়ে আছে। ওর নিজের পিঠ সেই প্রাচীন বৃক্ষ, যার ভিতর কোনও প্রবঞ্চনা নেই, নিশ্চিন্তে হেলান দেওয়া যায়। ও যখন নিজের গায়ে নিজে হেলান দিয়ে ভীষণরকম স্থির ও কানফাটানো নিস্তব্ধতার মধ্যে সবে নিজেকে সবটুকু ছেড়ে দেবে ভাবছে–  হৃদয় অব্দি খস্‌খস্‌ করে উঠল, এক চাপা অস্বস্তিতে। যতটুকু সম্ভব ইন্দ্রিয় টানটান করে দেখল, মানে শুনল, কেউ একটা কাপড় কাচছে। ঘড়ির মধ্যে আড়াআড়ি বসা ডালে পাখিটা আর নেই। সেই ডালটায় প্রায় মধ্যবয়স উত্তীর্ণা এক মহিলা কাপড় কাচছেন। আর মেঘ করে কালো হয়ে থাকা সময়-ঘরের দাগগুলো থেকে অঝোরে বৃষ্টি নেমে পাখি বসে থাকা ডালের নিচের সাদা অংশটা জল থইথই করছে।

আহিরার কানে সেই জলের গুঞ্জন এসে ঢোকে। পরক্ষণেই তার খেয়াল হয়—সে তো চোখ বুজেই আছে। কিন্তু এত স্পষ্ট, এত স্পষ্ট, চলমান এগিয়ে যাওয়া রিলের মতো কান্ডগুলো সে দেখছেই বা কী করে? তার গায়েও তো জলের ঝাপটা এসে লাগছে ছিটে ছিটে? তাহলে কি ওর ইন্দ্রিয় সংবেদনের অবস্থান পালটে গেছে? ও চোখ দিয়ে দেখার বদলে চামড়া আর রোমকূপের ছিদ্র দিয়ে কি ছবির মতো এগিয়ে চলা রিল কে দেখতে পাচ্ছে? খুব ভয় করল, খুব। খুব চেষ্টা করল অন্তত সামান্য একটুও যদি হাত-পা’কে নাড়ানো যায়। কিন্তু ও দেখল, এই প্রবল ইচ্ছেটার উপর কে যেন পাথর চাপা দিয়ে গেছে। ওর শরীরটা যেন কার শরীর হয়ে গেছে। যাকে ও একটু একটু চেনে। চেনে তবু চেনেনা, কে সে?

দাঁতে দাঁত চেপে ইচ্ছের ঘাড়টাকে মাত্র এক-ইঞ্চি পরিমাণ নাড়াবার চেষ্টা করেও ও যখন বিফল হল—দেখল, ও এই ইচ্ছের বেশি কিছু নয় আর। হাত পা নড়ানোর শক্তি তো গেছেই, তারও আগে ও খেয়াল করল, ওর ইন্দ্রিয় সংবেদনের ঘর পাল্টাপাল্টি হয়ে গেছে। ও চোখ দিয়ে দেখছিল না, দেখছিল কান দিয়ে, কিছু শব্দ শোনার মধ্যে দিয়ে দেখছিল ও। চামড়া দিয়ে স্পর্শের বদলে দেখছিল ও। দেখছিল রোমকূপের ছিদ্রগুলো।

আহিরা ভীষণরকম ঘাবড়ে গিয়ে প্রবল বিপদের ঘূর্ণিপাকের মধ্যে ডুবে যেতে যেতে মাত্র একবারই মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করল প্রাণপণে। আস্তে আস্তে বুঝতে পারল—এখনও অব্দি ওর যা নিজের, আয়ত্তে, কেবল কিছু ইচ্ছের বিজকিরি—যার যে ইচ্ছের আবার কুটোটিও নড়াবার ক্ষমতা নেই। আর চিন্তার ক্ষমতা। চিন্তার ক্ষমতাটা এখনও ওকে ছেড়ে যায় নি। কিন্তু স্নায়ু, স্নায়ু কি আর ওর অধীন? কতক্ষণই বা এই জড়ের শরীরে ইচ্ছে আর চিন্তার ক্ষমতাটুকু বেঁচে থাকবে? ও কি মারা যাচ্ছে? পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ছে কি ও?

মৃত্যু তবু ভালো। তবু কিছুতেই পক্ষাঘাতগ্রস্ততা মেনে নেবে না ও। কিন্তু ওর তো এখন ইচ্ছেমৃত্যুরও উপায় নেই। অন্তত নিজের মনের ভাবটা জানাবারও উপায় নেই। যে ও ইচ্ছামৃত্যু চায়। ওগো তোমরা দয়া করো শেষবারের মতো, এই পৃথিবীর জলহাওয়া-আকাশ-মানুষের কাছে ওর শেষ কথাটা—একটা পটাশিয়াম সায়ানাইড বড়ি চেয়ে নেওয়ারও ক্ষমতা নেই! গোল চ্যাপ্টা ঘড়িটার কথা আবার মনে হয় আহিরার। যেটার মধ্যে ঢুকে ও ক্রমে ঘন্টা-সেকেন্ড আর মিনিটের কাঁটা হয়ে আছে। ওর মনে পড়ে সেই দেয়ালটার কথা, যেখানে টাঙানো থাকতো ঘড়িটা। সেই বাড়িটা, যেটা ওর আর আবিরের বাড়ি ছিল। রাত আটটার পর বারবার ও ঘড়িটা দেখত। আটটা পেরিয়ে মিনিটের কাঁটাটা যত এগোত, ওর মনের কাঁটাটাও সমানে পাল্লা দিত। দরজায় থেকে থেকেই শুনত ডোর-লকটার আওয়াজ। গিয়ে দেখত নেই। আবার ফিরে আসত। ওদের সেই বাড়িটা, আবির কেউই আজ পাশে নেই। ও একা পরিত্যক্ত হয়ে আছে। হঠাৎ তীব্র, গা ঝলসানো ভয় আর বিদ্যুৎ যেন ওর সারা শরীর বেয়ে কিলবিলিয়ে উঠতে লাগল। পক্ষাঘাতগ্রস্ত আহিরার সেই স্পর্শের বিরুদ্ধে এখন সামান্য বিরক্তিটুকুও প্রকাশ করবার অধিকার নেই।

বিরক্তিতে ও যখন ইচ্ছেটুকুকেও ছেড়ে দেবে ভাবছে, তখন দেখল আসলে ইচ্ছেও ওর অধীন নয়। ইচ্ছেটুকু তাকে ব্যবহার করতে দিচ্ছে মাত্র, কিছু সময়ের জন্য। ও বুঝল, ওর ইচ্ছেটুকুও একসময় চলে যাবে। ওই অপরিসীম চিন্তাময় শূন্যতায় ও কী নিয়ে থাকবে তখন? ও কি চিন্তা করার ক্ষমতাও একসময় হারিয়ে ফেলবে? ও কি তখন নিজেকে শনাক্ত করতে পারবে, জীবিত বলে? ওর একমাত্র অধীন ইচ্ছে, আর চিন্তাকে নিয়ে যতদূর পারা যায় ও হাঁটবে এখন। খুব হাঁটতে ইচ্ছে করছে আহিরার।

হাঁটতে বেরিয়ে, থুড়ি, আহিরার হাঁটার ইচ্ছে ঘুরে বেড়িয়ে দেখল—ও আসলে একটা প্রায় পৃথিবীর মতো, কিন্তু নিশ্চিতভাবেই পৃথিবী নয়, অন্য একটা গ্রহে এসে পড়েছে; যে কিনা অনেকটা ওর আগের জীবনের অনেক ওঠাপড়ার সাক্ষী হাওড়া স্টেশনটার বড় ঘড়িটার মতো। হঠাৎ ওর ফুসফুস অব্দি হু হু করে উঠল। মোচড় দেওয়া একটা কান্না প্রবল বেগে সবকিছুকে অতিক্রম করে বেরতে চাইল ওর ভিতর থেকে। এবং পৃথিবীর সব আশ্চর্যকে ছাপিয়ে গিয়ে দেখল যে ইচ্ছে আহিরার শরীর থেকে আহিরার ইচ্ছে হয়ে হাঁটতে বেরিয়েছিল, সে এখন একটা মাছি! সে এখন মনে মনে আহিরার ইচ্ছে নিয়ে একটা পরিত্যক্ত গ্রহ দেখে বেড়াচ্ছে। কিন্তু তার একটা শরীর হয়েছে- মাছির!

মাছি নানা অস্থানে কুস্থানে, পরিত্যক্ত পথ-ঘাট-প্রান্তরে উড়ে উড়ে দেখতে লাগল। দেখতে দেখতে একসময় আহিরাকেও দৃষ্টিসীমানায় পেল, দূর থেকে। দেখল ঢিপির মতো উঁচু হয়ে পড়ে আছে আহিরা। ‘দ’ হয়ে মুড়ে থাকা দু-পায়ের উপর মাথাটা একদিকে হেলে আছে, হাতদুটো শিথিল—ঝুলছে। মাছির ইচ্ছে হল এক ছুটে সে আহিরার কাছে আবার আগের মতো পুরোটা আহিরার ইচ্ছে হয়ে থেকে যায়, আহিরার ভিতর, নিষিক্ত হয়ে। লালায়-ক্ষরণে। কিন্তু মাছির ততক্ষণে শুঁড় গজিয়েছে। সে তখন কিছুটা আহিরার, কিছুটা মাছির।

আহিরা যে হাঁটতে বেরিয়েছিল, মানে আহিরার ইচ্ছে যে হাঁটতে বেরিয়েছিল তা একটু পথ যাওয়ার পরই সে প্রায় ভুলে যেতে বসেছিল। ইচ্ছের জোয়ারে ভাঁটা পড়ে আহিরা তখন ভাবছিল পৃথিবী থেকে দেখা তার অতীত জীবনের চাঁদের কথা। তার কলঙ্কের কথা। নুড়ি-পাথর আর বালির কথা। তার এই পরিত্যক্ত পৃথিবীর বিপ্রতীপে তার অতীত জল-মাটি-সবুজ পৃথিবীর কথা। ভাবছিল, আর খুব আশা করছিল যেন একটা সায়েন্স ফিকশান মুভির চরিত্র সে। যে কিনা কোনওভাবে অন্য একটা টাইম জোনে, অন্য একটা গ্যালাক্সিতে এসে পড়েছে কোনওভাবে। যেখানে সময় থেমে আছে। হয়ত কোনও স্পেসশিপে ওকে নিয়ে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে! ‘সময়’ শুরু হলে হয়ত ওরও এই জড়ত্ব ঘুচবে।

আর মাছি, যে কিনা কিছুটা আহিরার ইচ্ছের, আর কিছুটা মাছির– সে তখন আহিরার বেশ কিছুটা কাছে এসে পড়েছিল ঘুরতে ঘুরতে। দেখল—আহিরা ক্রমে মাটির নড়বড়ে ঢিপি থেকে ক্রমে শক্ত হয়ে যাচ্ছে। পাথর হয়ে যাচ্ছে আহিরা। তার মুহূর্তের জন্য আহিরার কাছে ফিরে যেতে ইচ্ছে হ’ল। কিন্তু ডানায় একটু উড়তে না-উড়তেই তার মাছি-শরীর তাকে টানল। ইচ্ছেমাছি উড়ে বসল আহিরার হাঁ হয়ে কিছুটা খুলে থাকা দু-ঠোঁটের মাঝে। মাছি জানে মাছি কী পেল; সে আবার উড়ল, ঘুরে বেড়াতে লাগল আহিরার শক্ত আর শিথিল হয়ে আসা প্রতিটি প্রত্যঙ্গে, রোমকূপে। তারপর প্রচন্ড অশান্ত হয়ে উড়ে উড়ে ঘুরতে লাগল আহিরার চারপাশে।

আহিরা, যার কিনা ইচ্ছেটাও নিজের কোষ থেকে বিযুক্ত হতে চলেছে, যাকে সে এখনও পর্যন্ত আহিরা বলে ভাবতে পারে তার অধীন থেকে মুক্ত হতে চলেছে যে সাধের ইচ্ছে, সেই ইচ্ছেকে আহিরার খুব জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করল। তীব্র, তীব্রতম আশ্লেষ ও ঝাঁকুনিতে। আহিরার মনে পড়ল এরকমই ঝাঁকুনি আর আশ্লেষে সে পৃথিবীর এক বাড়ির সিঁড়িতে জড়িয়েছিল একবার, এক পুরুষকে। এই প্রথম সে বুঝতে পারল আহিরা আসলে সেই পুরুষকে যত না জড়িয়েছিল, তার চেয়েও বেশি জড়িয়ে ধরেছিল আসলে তার ইচ্ছেকে। কিন্তু আহিরা এই পরিত্যক্ত গ্রহে এখন এই পক্ষাঘাতদশায় কিভাবে তার ইচ্ছেমাছিকে জড়াবে?

ভেবে যখন অথই জলে, আহিরা বোজা চোখ আরও তীব্র বুজে মনে মনে ইচ্ছেমাছিকে জড়িয়ে ধরল প্রবলভাবে। এমন প্রবলভাবে, যেন আর তাকে না ছাড়তে হয়। দেখল তার আকাঙ্ক্ষা আরও বেড়ে যাচ্ছে, ক্লাইম্যাক্স যখন মনে মনে ও প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে আহিরা  বুঝল এই ইচ্ছে আর ওর অধীন থাকবে না। এবার থেকে মাছির। মাছির ইচ্ছে হবে সে। যার ডানায় হয়ত তার কিছু আঁশ লেগে থাকবে। কিন্তু তার শরীর যখন নিজের ছিল, ইচ্ছে যখন একান্তই নিজের অধীন ছিল, সে তো এমন ক্লাইম্যাক্স চূড়ায় উঠতে পারেনি। পেরেছিল কী!

আহিরার মনে পড়ল, সে পড়েছিল—অণু’কে ভেঙে পরমাণু। আর পরমাণু ভেঙে উৎপন্ন হতে পারে তীব্র শক্তি। খানিকটা হাসির উদ্রেক হ’ল যেন বা তার নিজের মনে। সে কি তবে ওই অণু, যাকে ভেঙে আবার তার ইচ্ছেমাছি? তার ভাবতে ভালো লাগল এই মাছিই তার ফেলে আসা পৃথিবীর সমান শক্তি ধরে আছে। যার উৎপত্তিই হয়েছিল একদিন তারই ইচ্ছে থেকে। তার ইচ্ছেয় যে কখন মাছির ইচ্ছে এসে বসল বুঝতেও পারেনি সে ভালোভাবে। শুধু এই মুহূর্তে তার চিন্তা-ক্ষমতাটুকু আছে, তাই দিয়ে সে স্পর্শ করবে তার মাছিকে। তার একদা ফেলে আসা পৃথিবীকে। সে ক্রমে পাথর থেকে আরও পাথর হবে, তবু তার ভাবনারা, তার চেতনারা একদিন সব-সবকিছু ছুঁয়ে থাকবে। সে যা পারে না, সব, স-অ-ব পারবে তারা। তারা ভোগ করবে একে অপরকে। ছুঁয়ে থাকবে তারা একে-অন্যকে। সে থাকছে না, তবু সে-ই তো থাকছে দুনিয়াজুড়ে!

বড় লোভ হ’ল আহিরার, আরও পাথর হয়ে যেতে যেতে।

হঠাৎ-ই তীব্র ঝাঁকুনির মতো একটা অভ্যেস যেন ফিরে এল ওর সারা শরীরে। তারপর বুঝতে পারল ও চাইলে যেন চোখও মেলতে পারবে। খুব ভয়ে একবার চেষ্টা করে দেখল আহির। নাহ্‌… কিন্তু ওর কানে যেন কী একটা প্রতিধ্বনিত হতে লাগল, যা ওর বহু বহুকাল আগে হারিয়ে যাওয়া একটা চেনা অভিব্যক্তি, যাকে কিনা ও ধুকপুক বলে এই মুহূর্তে চিহ্নিত করতে পারল। ইউরেকা! ইউরেকা!

ও পেরেছে জেগে উঠতে! স্বপ্ন ভেঙে আরও এক স্বপ্নে এসে পৌঁছাতে!
এক স্বপ্ন ভেঙে আরেক স্বপ্নে জেগে উঠতে কি ব্ল্যাক-হোল পেরোতে হয়?

Facebook Comments

Related posts

One Thought to “ইউরেকা!”

  1. Shuvroneel Sagar

    অদৃশ্যমান মনোজগতের এমন দৃশ্যমান চিত্র কেবল একজন কবির পক্ষেই আঁকা সম্ভব বলে বিশ্বাস করি। গল্প লিখতে আসা কবি সেই বিশ্বাস অক্ষুণ্ন রেখেছেন। কাজেই আহিরার অন্তর্জগত পরিভ্রমণে মোটেও অসুবিধা হয়নি। আহিরাকে অনুভব করতে পারি। তবে গল্পে আহিরা শব্দটির অতিব্যবহার মনে হলো, কিছু জায়গায় বিরক্তি এনেছে। গল্পকারের ইচ্ছাকৃত ব্যবহারও হতে পারে।
    হায়দ্রাবাদে আজ সকাল থেকে বৃষ্টিমুখর। ঠাণ্ডা বাতাসের ঝাপটায় কাথা মুড়ে ছয় গল্প নিয়ে শুয়েছিলাম। কিঞ্চিৎ পক্ষপাতে আগেই পড়লাম তিন পরিচিত প্রিয়জন অনিমিখ দা, দেবব্রত দা আর সঙ্ঘমিত্রা দি’র গল্প। ইউরেকা ছিল তিন নাম্বারে। আমার রাজকীয় আলস্য জমিয়ে দিলো এই আয়োজন…

Leave a Comment