ঋত-এর পথে

প্রকাশনা জগতে ঋত পা রাখে ২০১৫ সাল। তখন নাম ছিল শুধুই ‘ঋত’। দলে ছিলাম আমরা তিনজন। আমি, সুমিতা সামন্ত এবং অন্য আরেক বন্ধু। ঠিক হয়েছিল ঋত প্রকাশ করবে শুধুমাত্র নানা বিষয়ের বই– কবিতা, গল্প, স্মৃতিকথা ইত্যাদি। আমাদের প্রথম প্রকাশিত বই নীলা দত্ত-এর স্মৃতিকথা ‘ছিন্নমূলের ডায়েরি’। চারফর্মার পেপারব্যাক বই। শুরু হল তুমুল উদ্যম। ওই একটি বই নিয়েই তখন কত ভাবনা। ধীরে ধীরে এগিয়ে এল বইপাড়ার বিপনন কেন্দ্রগুলি, বিশেষত দে’জ। স্থির হয়েছিল ঋত একবছর সময় হাতে নিয়ে বেশ কিছু বই প্রকাশ করবে, তারপর ২০১৭-র কলকাতা বইমেলায় পূর্ণমাত্রায় আত্মপ্রকাশ। উৎসাহ দিয়েছিলেন পাশে এসে…

Read More

শাশ্বতী সরকারের কবিতাগুচ্ছ

১.  আজ তুমি আমাকে কী কথা বা মনে করাবে? কোন কাজ বাকি রয়ে গ্যাছে? অন্য দেশ, অন্য নগর-গ্রাম, ভুল পিনকোড আসন্ন সমুদ্রে রাত কাটে, দিনগুলি বেলা হলে দূরে চলে যায় আরও দূরে নক্ষত্রবীথিটি, বজ্র এসে দাগ কাটল–সে দিবাবসানে তোমার পিঠের ‘পরে মনে করো নখরাভিঘাত… চিনেবাদামের খোসা উড়েছে অঢেল, নীলাভ জঙ্গল–তাকে খুঁজে নিতে গেছি তোমার কোলের কাছে পড়ে আছে হাত, ঢেউয়ে বিক্ষত সেই হাত-কে জাগাও? এখন, অন্য কোথাও যাওয়া রোদে সাঁতলানো ভাতের থালার পাশে গেরস্থ ছবিটি আমার মুখের পাশে চুল তোমার কাঁধেও গতচুম্বনের জ্বালা, দাগ আজ তুমি ফের বলো কী মনে…

Read More

শৈলেন চৌনীর কবিতাগুচ্ছ

লবণহীন বাকি বয়স লবণের দাগ। ভীতু ফুল। আর সমাপতনের ভেতর সংশয়ী রেণু ফেটে পড়েছে অযুত। হ্যালুশিনেশন ঘেরা আমিই তোমার সেই প্রথম অভব্য। পশমের বিপরীতে ক্রমাগত লাল হচ্ছে শালগ্রাম শিলা। সাদা পাতাটির মাঝে তুমিও পেরিয়ে গেলে আমি নীল শোকে রেখে যাই তোমার বয়স…   তদন্ত আশাহত চিরুনি। তদন্ত করি রোজ, নাড়ি থেমে গেছে, আহা বিভ্রম! ছুরির গায়ে মরিচের দাগ, চমৎকার মৃত্যুর পাশে সমস্ত পরিকল্পনা, ঋজু স্মৃতির দিন… থেমে থেমে উর্বর হয় পাড়ি, প্যাডেলের বীজগণিত — একমাত্র তুমিই জানো, হে আততায়ী বালিকা, রি-সাইকেল বিন থেকে উদ্ধারের পদ্ধতি!   ফাঁসুড়ে কারা যেন শিস্…

Read More

হিয়া মুখোপাধ্যায়ের কবিতাগুচ্ছ

মন্টানা হোমস্টে ১. সরলরেখার মত দিনগুলো কাটছে৷ অনুত্তেজক। অনুশোচনাহীন। মাঝেমধ্যে টুপটাপ রক্তপাত। সেটুকু অভিপ্রেত। বাকিটা ঘুমঘুম কমফর্টার। রোদে জড়ানো ফার্নে বিকেলের ছায়া দোলে। মৃদু পোর্সিলিনের নীচে বসে ছড়া গাঁথার দিন এসব। শিস দিতে দিতে টি এস্টেটের আলোগুলো একে একে নিভিয়ে দেওয়ার দিন। আপাতত সব ঠান্ডা। দু একবার শিরশিরে হাওয়া দিলে শুধু সবার অলক্ষ্যে ট্যাবলেটের ভাষায় তুমি জানি কাকে ডেকে উঠছো।   ২. আবার এসেছো তুমি বিষণ্ণ গ্রীলের পাশে। অতর্কিতে আবার দাঁড়িয়েছো হা হা করা খাদের পাঁচিলে। হাওয়ায় পাইন দুলছে। নিভু নিভু শ্রমিক কলোনী। দূরদূরান্ত অব্দি কেউ নেই, শুধু একা তুমি।…

Read More

মৈমনশাহী উপাখ্যান – ৭

১২.       বিপুল অবাক হয়ে শুনছিল অস্থির মিঞার কথা। অতীন হতবাক। বিপুলের মনে হলো এ সেই অথৈচন্দ্র, হাতিখেদা থেকে বেঁচে আছে এতকাল ধরে। তা না হয়ে হয় না। সুধীন্দ্রর কাহিনি আর অতীনের কাহিনি যেভাবে এক হয়ে যায়, ঠিক সেই ভাবে এর কাহিনি আরো কিছু উপাদান যোগ করে দিল মৈমনশাহী পালায়। অস্থির মিঞা  বলছে সেই মেয়ে লীলাবতী না লীলাময়ীর রোষ ছিল খুব। তার মা জননী গারো পাহাড়ের মেয়ে, এই কংস নদীর ধারের এক বামুনের পোলার হাত ধরে নেমে আসে, তার ভিতরে পাহাড় ছিল।       সেই কইন্যা ডাকসিল হস্তী, তুমু ঠিক বলতিস ? চন্দ্রকুমার…

Read More