মৈমনশাহী উপাখ্যান – ৩

৫.   পাহাড় পিছিয়ে যেতে লাগল। কে কইসে পাহাড় পিছিয়ে গেছে ?  কংস নদীর ওপারে যাও, একটু বাদে আর পাহাড় দেখা যাবে না। আগে দেখা যেত। মৈমনসিং নগর থেকেও দেখা যেত। এখন নেত্রকোনা থেকে দেখা যায় না। কিন্তু পাহাড় তো নিশ্চল। সে কী করে  পিছিয়ে যায় ? তা কখনো হয়। এই যে তোমার ক্ষেত-জমি, তা তো তার জায়গাতেই থাকে। এই যে তোমার ভিটে-বাড়ি, তা কি মাইল মাইল দূরে চলে যায়। রাজার বাড়ি, রাজার বাড়ি তো রাজার বাড়িতেই থাকে। সেই যে কমলা সায়র, সে কি তার নিজের জায়গায় নেই?  কংস নদী পার…

Read More

নো রিফিউজাল নো অনার

আনন্দ সিনেমা হলের মুখের উল্টোদিকে, চোরাই জুতো বিক্রির গুটিয়ে থাকা দোকানগুলোর চোখের সামনে একটা কুণ্ডলী- সোৎসাহে ঝুঁকে পড়ে, বিবেচনাপ্রসূত হয়েই আশপাশের সন্দেহজনক পরিবেশ কুণ্ডলীটাকে একটা দুর্বোধ্য বৃত্ত হয়ে উঠতে যথাসম্ভব সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বৃত্তটার ঘনত্ব ক্রমশ বাড়ছে, বাড়ছে তাপমাত্রাও, পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করতে নিঃশ্বাসের চেয়ে মোক্ষম অস্ত্র আর কি-ই বা আছে? তবে ঘটনাটা ঠিক কী, তা আন্দাজের আওতায় পড়ছে না এখনও। ‘কিছু বুঝতে পারছেন?’ বৃত্তটাকে পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে সাহায্য করর একজোড়া বাটা স্যান্ডেলের দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বলে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ফুলহাতা শার্টের পকেট। পকেটের কাছে টাকা নেই, আছে একটি বলপয়েন্ট পেন,…

Read More

নারীর কবিতা, মানুষের কবিতা

ভাবনা কোথা হতে আসে ! ভাবনারও নিশ্চয় প্রেক্ষাপট আছে , আর সে প্রেক্ষাপট ভিন্ন কবি কি লিখতে পারে ? কবির অন্তর্গত ক্ষরণ, বেদনা, হাহাকার, সুখানুভূতি ব্যতিত ভাবনার উদয় হয় কি! সেসব অনুভূতিসমূহের আন্দোলন ছাড়া তো ভাবনা আসে না। কবিতা কবির কাছে নৈঃশব্দ্য ধ্যানের এক নাম। সমস্ত যাপন থেকে ইচ্ছে পালানোর নাম। মেঘের ওড়া, বৃষ্টির ঝরেপড়া, পাতার মর্মর, ঘাসের ডগায় ফড়িঙের বসার ভঙিমা এসব চিরাচরিতের মাঝে নতুর রঙ এনে দেয়া এক হকিয়ার। কবিতা কবির একচিলতে উঠোন যেখানে ইচ্ছেমত পাতা ফেলা, নিকোনো, ঝাটপাট দেয়া, রোদ পোহানো, কিংবা জোছনা মেখে শুয়ে থাকা চলে।…

Read More