গজদন্তের মেয়ে
১.
যেন সেনাপতি, কোনো এক কোন ঘেঁষে
এগিয়ে, উজ্জ্বল; যুদ্ধক্ষেত্রে প্রস্তুত রমণী
ভাবছি সমর্পন করবো। প্রতিকীর
সামনে দাঁড়িয়ে বলবো, কবুল, কবুল, কবুল
২.
মাঝে মাঝে নিজেকে অদ্ভুত লাগে
সব অভিযোগ জড়ো করি; সেরে উঠব ভাবি
সচেতন যুবক হিসাবে জানানো জরুরি
তোমার হাসির আরও ভেতরের কোণে
রাখা আছে পুরুষের ছোঁয়াচে অসুখ
৩.
জ্বর নয়। এ এক অদ্ভুত স্বপ্নদোষ
তাড়া করে; ঘুমোতে পারি না বেশিক্ষণ
আবহাওয়া থমথমে। তোমাকে দেখার পর
যেকোনো স্বাভাবিকতায় ঈষৎ ভিজে যায়
৪.
সাদা সংলাপ, পাতার পর পাতা; মনে হয়
জ্বরের ওষুধ; আমাদের অবয়ব জুড়ে শুয়ে
বন্ধু করিনি অথচ; কতখানি ন্যাওটা দেখো
এত ভালোবাসা, স্নেহ, যত্ন দেখার পরেও
হেসে ওঠে, পিছু নেয়, বাতিল অর্কিড
৫.
সমস্ত, সমস্ত রহস্য গড়িয়ে যাচ্ছে
তুমুল বর্ষণে; আমাদের দেখা হওয়াগুলো
এভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়; বাধা আসে, তবু সে অদম্য
যেন কিশোর হোঁচট বাঁচতে বাঁচতে মৃদু পায়ে
নিজেকে সামলায়; ব্রণ আসে
কোনো একদিন চুম্বনে ফেটে পড়বে বলে
৬.
বিষণ্ন আড়াল গজিয়ে উঠেছে
বাইশের মেয়ে; এসমস্ত ভাল্লাগেনা
চায় বয়ে যাক, ভেসে যাও খানিক দামাল, অঙ্ক খাতা
প্রিয় নদী, যা কিছু তোমায় যুবতী হতে দিচ্ছে না
দুনিয়াদারি কবিতা ও অন্যান্য লেখা নিয়ে বেশ আকর্ষণীয় ।