নির্মাণ
আমার শরীর নেই
আমি থাকি কিছুটা শরীরে
বাকি সব ঝুলকালি
কুয়াশা কুয়াশা বোঝাপড়া
তোমার শরীর ছুঁয়ে
ফিরে এসে মনে হয়
আসলে শরীর নেই
যা আছে ভীষণ মনগড়া !
সংকেত
নৈ:শব্দ কিছুই নয়
ঝিম হয়ে রয়েছ আড়ালে
শুকনো পাতারা দূরে
ঝরে ঝরে ক্ষয়ে গেল আয়ু
নৈঃশব্দ কিছুই নয়
মর্মগহীনের নিচে থেঁতলে যাওয়া
কিছু বাদাবন
আমার আরতি জাগে প্রত্যেক মায়াবী ঘোরে
নৈঃশব্দ কিছুই নয়
একটি রমণ ভেঙে
অসংখ্য রমণ…
সংলাপ
ছোবল মারোনি তাই
প্রতি রাতে আক্ষেপ বেড়েছে
ছোবল মারোনি তবু
অতিবিষে নীল হয়ে যাই
তোমার ফাটানো জিভ
অতিচেতনার কালো ভ্রমে
চেরা লকলকে ক্ষত
কশ হয়ে নিজেকে গড়াই
নিজেই পড়াই আয়ু
ধুনি জ্বেলে মরে স্নায়ুসাপ
কামুক রোদের আঁচে
আমাদের জন্মদিন হয়
ছোবল মারোনি তাই
সানুদেশ নগ্ন করে ফেলি
রতিরক্তে বাহুপাশ
জড়াজড়ি শেখাই প্রণয়
এবার ছোবল মারো
যেন ছিঁড়েখুঁড়ে মরে যাই
ছিন্ন করো ভিন্নতার
পরিত্রাণহীন কিছু প্রাণ
আমার ছোবলে তুমি
যতখানি কাঠ হয়ে আছো
ব্যর্থ শরীরের শোকে
আমি ঠিক ততোটা পাষাণ !
বিষ
তোমার বয়সী মেঘ
আমার বয়সে গলে জল
কে? কার? উত্তাপ মাখে?
বেড়ে নেয় জন্মসফল
জন্মও নিয়তিমাত্র
জরায়ু তো সবুজ- অলীক
স্মরণীয় হয়ে থাকে, মধুভাণ্ডে ; যেটুকু গরল !
যাওয়া
আজ কোনো বিষণ্ণতা নেই
বুকের হাতল ছুঁয়ে
মাঝরাতে পালিয়েছে চাঁদ
সে যাওয়ার পথটুকু চৌচির ভাবে ঝুলে আছে
একান্ত নিসর্গ তুমি, কার ঘুম ? কার জাগা চোখ ?
দমকা হাসির শব্দে এঁটে থাকা মায়াবী লজিক
পুনঃ পুনঃ পাঠ করি, শরীরে রোমাঞ্চ জেগে যায়
ধু ধু পথ খাঁ খাঁ পড়ে নিজেকেই আঁকিবুঁকি কাটে
বুকের হাতল ছুঁয়ে, চাঁদ যায়…
আবার যায়ও না !
জন্ম
বিনুনি পুরনো শব্দ
তাকে আজ ঝুঁটি নামে ডাকি
অনুসঙ্গে চেরাজিভ, রজঃরক্ত….
আগুনখোরাকি
যে তুমি সে তুমি মাত্র
তুমি মাত্র রক্তমাংসসার
দুমড়ে যাওয়া দাবানলে
ভাঙাচোরা পাখির সংসার
থমকে যাওয়া মরুজ্যোৎস্না
অস্ত যাবে কিছুটা মিলন
কুসুমের দেহ খুবলে
খুঁজি জন্ম ; ছিটেফোঁটা মন
সাঁতার সম্পূর্ণ হয়
ভাসাভাসী জলজ বিকেলে
প্লাসেন্টা ঠিকরে জ্বলি
নিতান্তই দুধশিশু, ছেলে…
দেহ
সাঁকোর ওপারে ছিল স্থলপদ্ম – মালতী ও জুঁই
এসো তবে প্রাণসখী আজন্ম উজাড় করে শুই
তিল ও তৃষ্ণাময় উপকথা আর কেরদানি
বিভাজিকা ভেঙেচুরে জড়ো করি ব্যথার পারানি
মাদলে ইশারা রাখো ধ্রুবপদ রাখো পোড়া বুকে
যেন ভূপতিত হই মূর্ছা যাই ঘেন্না ওঠে মুখে
সাঁকোর ওপারে ছিল স্থলপদ্ম, আকারে ভীষণ
ঈষৎ নীচের দিকে নুড়িবালি…ঘনকৃষ্ণ বন…
sundar kobita. khoob bhalo laglo. Dirghajeebi hou.